নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
খুলনার কয়রা উপজেলায় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজের সময় শেষ হয়ে গেলেও শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় সাংসদ মো. আকতারুজ্জামান বাবুর পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় তিনি কাজ করতে দিচ্ছেন না।
ঠিকাদারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান বাবু গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিনিস-পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদার এখন কাজ করতে চাইছেন না, এ জন্য এমন অভিযোগ তুলছেন। উনি তো নির্মাণস্থলে কোনো সামগ্রী নিয়ে যাননি, কেউ বাধাও দেয়নি। আর এমন অল্প টাকার কাজে কে বাধা দেয় বলেন? তা ছাড়া, ঠিকাদারের উচিত স্থানীয়ভাবে সমন্বয় করে কাজটা করা।’
কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেইনবো এন্টারপ্রাইজের স্থানীয় প্রতিনিধি মো. খুরশিদ আলম অভিযোগ করেন, ‘এমপির পছন্দের ঠিকাদার কাজটি পায়নি বলে কাজ করতে দিচ্ছেন না। আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি জমির লে-আউট (কোথা থেকে সীমানা-প্রাচীর হবে, তা ঠিক করে দেওয়া) করে দেন। তিনি বলছেন এমপির নিষেধ আছে। ফলে কাজ করতে পারছি না।’
নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ শেষের জন্য আরও কিছু সময়ের আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম আলী শেখ। সাংসদ কাজে বাধা দিচ্ছেন কি না –জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকে এমন বলছেন শুনেছি, তবে কেউ অভিযোগ করেননি।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কয়রা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ প্রকল্পের আওয়ায় তিনটি গুচ্ছ প্রকল্পের ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা-প্রাচীর নির্মাণের জন্য ই-টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত বছরের ২৩ জুলাই। ১ কোটি ২৬ লাখ ২৫১ টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়। কাজটি পায় জেলার দিঘলিয়া উপজেলার মেসার্স রেইনবো এন্টারপ্রাইজ। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজ শেষ করার সময় ছিল চলতি বছরের ২২ এপ্রিল।
স্থানীয় বাসিন্দা, ঠিকাদার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, ৩ নম্বর কয়রা, বামিয়া, মসজিদকুড়, শিমলার আইট আদর্শ, কালনা, লোক, আন্তাবুনিয়া, খড়িয়া, খিরোল রওশানারা আহম্মেদ ও উত্তর মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নেই। ফলে শিশুশিক্ষার্থীরা যখন-তখন বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আশপাশের রাস্তার ওপর চলে যায়। এতে ঘটে দুর্ঘটনা। তা ছাড়া, স্কুলে অবাধে ঢোকে মানুষসহ নানা রকম যানবাহন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। সমস্যা সমাধানে সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ই-টেন্ডার আহ্বান করা হলে সাংসদ বাবুর পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়নি। কাজটি পায় রেইনবো এন্টারপ্রাইজ। তখন সাংসদ এই কাজে বাদ সাধেন। একপর্যায়ে খিরোল রওশানারা আহম্মেদ বিদ্যালয়ের কাজটি সাংসদের ঘনিষ্ঠ একজনকে দিয়ে দেন ঠিকাদার। এতে খড়িয়া বিদ্যালয়ের কাজ ঠিকাদার শুরু করতে পেরেছেন। এই দুটি কাজ কিছুটা এগিয়েছে। বাকি ৮টি কাজ শুরুই করা যায়নি।
মসজিদকুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইবাদুল হক বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়টি পাইকগাছা-কয়রা প্রধান সড়কের পাশেই। বাচ্চারা কারণে-অকারণে, যখন-তখন সড়কে চলে যায়। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ফলে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ খুবই জরুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়রা উপজেলা যুবলীগের এক সহসভাপতি বলেন, ‘ঠিকাদারির সব কাজ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেন এমপি। তাঁদের মাধ্যমে তিনি এই কাজ করেন। ই-টেন্ডার হওয়ায় এবার তাঁর পছন্দের ঠিকাদার কাজ পাননি। যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তিনি এমপিকে টু পাইস (টাকা) দিচ্ছেন না। ফলে এমপি কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।’
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেম কুমার মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবু ভাই এলজিইডির দ্বিতীয় শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। ফলে তিনি ঠিকাদারি কাজটা ভালো বোঝেন। তা ছাড়া, এলজিইডির প্রায় ঠিকাদার তাঁর আগের থেকে পরিচিত। তিনি যদি মনে করেন কোনো কাজ তিনি করবেন, তাহলে ওই ঠিকাদারকে কাজটা দিয়ে নিজে করেন। পরে ঠিকাদারকে কিছু দেন।’
খুলনার কয়রা উপজেলায় ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণকাজের সময় শেষ হয়ে গেলেও শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় সাংসদ মো. আকতারুজ্জামান বাবুর পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় তিনি কাজ করতে দিচ্ছেন না।
ঠিকাদারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান বাবু গতকাল শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিনিস-পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদার এখন কাজ করতে চাইছেন না, এ জন্য এমন অভিযোগ তুলছেন। উনি তো নির্মাণস্থলে কোনো সামগ্রী নিয়ে যাননি, কেউ বাধাও দেয়নি। আর এমন অল্প টাকার কাজে কে বাধা দেয় বলেন? তা ছাড়া, ঠিকাদারের উচিত স্থানীয়ভাবে সমন্বয় করে কাজটা করা।’
কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেইনবো এন্টারপ্রাইজের স্থানীয় প্রতিনিধি মো. খুরশিদ আলম অভিযোগ করেন, ‘এমপির পছন্দের ঠিকাদার কাজটি পায়নি বলে কাজ করতে দিচ্ছেন না। আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি জমির লে-আউট (কোথা থেকে সীমানা-প্রাচীর হবে, তা ঠিক করে দেওয়া) করে দেন। তিনি বলছেন এমপির নিষেধ আছে। ফলে কাজ করতে পারছি না।’
নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদার কাজ শেষের জন্য আরও কিছু সময়ের আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম আলী শেখ। সাংসদ কাজে বাধা দিচ্ছেন কি না –জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকে এমন বলছেন শুনেছি, তবে কেউ অভিযোগ করেননি।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কয়রা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ প্রকল্পের আওয়ায় তিনটি গুচ্ছ প্রকল্পের ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা-প্রাচীর নির্মাণের জন্য ই-টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত বছরের ২৩ জুলাই। ১ কোটি ২৬ লাখ ২৫১ টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়। কাজটি পায় জেলার দিঘলিয়া উপজেলার মেসার্স রেইনবো এন্টারপ্রাইজ। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজ শেষ করার সময় ছিল চলতি বছরের ২২ এপ্রিল।
স্থানীয় বাসিন্দা, ঠিকাদার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, ৩ নম্বর কয়রা, বামিয়া, মসজিদকুড়, শিমলার আইট আদর্শ, কালনা, লোক, আন্তাবুনিয়া, খড়িয়া, খিরোল রওশানারা আহম্মেদ ও উত্তর মদিনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নেই। ফলে শিশুশিক্ষার্থীরা যখন-তখন বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে আশপাশের রাস্তার ওপর চলে যায়। এতে ঘটে দুর্ঘটনা। তা ছাড়া, স্কুলে অবাধে ঢোকে মানুষসহ নানা রকম যানবাহন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। সমস্যা সমাধানে সীমানাপ্রাচীর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ই-টেন্ডার আহ্বান করা হলে সাংসদ বাবুর পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়নি। কাজটি পায় রেইনবো এন্টারপ্রাইজ। তখন সাংসদ এই কাজে বাদ সাধেন। একপর্যায়ে খিরোল রওশানারা আহম্মেদ বিদ্যালয়ের কাজটি সাংসদের ঘনিষ্ঠ একজনকে দিয়ে দেন ঠিকাদার। এতে খড়িয়া বিদ্যালয়ের কাজ ঠিকাদার শুরু করতে পেরেছেন। এই দুটি কাজ কিছুটা এগিয়েছে। বাকি ৮টি কাজ শুরুই করা যায়নি।
মসজিদকুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইবাদুল হক বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়টি পাইকগাছা-কয়রা প্রধান সড়কের পাশেই। বাচ্চারা কারণে-অকারণে, যখন-তখন সড়কে চলে যায়। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ফলে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ খুবই জরুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়রা উপজেলা যুবলীগের এক সহসভাপতি বলেন, ‘ঠিকাদারির সব কাজ বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেন এমপি। তাঁদের মাধ্যমে তিনি এই কাজ করেন। ই-টেন্ডার হওয়ায় এবার তাঁর পছন্দের ঠিকাদার কাজ পাননি। যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তিনি এমপিকে টু পাইস (টাকা) দিচ্ছেন না। ফলে এমপি কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।’
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রেম কুমার মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাবু ভাই এলজিইডির দ্বিতীয় শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। ফলে তিনি ঠিকাদারি কাজটা ভালো বোঝেন। তা ছাড়া, এলজিইডির প্রায় ঠিকাদার তাঁর আগের থেকে পরিচিত। তিনি যদি মনে করেন কোনো কাজ তিনি করবেন, তাহলে ওই ঠিকাদারকে কাজটা দিয়ে নিজে করেন। পরে ঠিকাদারকে কিছু দেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে