বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানের লামায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাড়াগুলোতে ‘খাদ্যসংকটের’ বিষয়টি তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল গঠন করেছে জেলা পরিষদ। গত বুধবার তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কথা বলে। এ সময় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
এদিকে প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ জুমিয়া পরিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দেওয়া ত্রাণ ফিরিয়ে দেয়। তবে জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দেওয়া ত্রাণ গ্রহণ করেছে। তদন্ত দলের আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. মোজাম্মেল হক বাহাদুর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩টি পাড়ায় জুমে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০০ একর জুমের ফসল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজকে দায়ী করছেন পাড়াবাসী। জায়গা দখলের জন্য রাবারবাগানের মালিকের লোকজন ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। পরে পাড়ার কার্বারির করা মামলায় রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে জুমের ফসল পুড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার তিনটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পাড়ায় খাদ্যসংকটের খবর সংবাদমাধ্যমে আসে। এর জের ধরে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়।
তদন্ত দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার নির্দেশে এ তদন্ত দল গঠন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ত্রাণ ফেরত দেওয়ার কারণ হিসেবে লাংকুম ম্রো, রুইপাও ম্রো ও রেংয়ান ম্রো বলেন, রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ত্রাণ নিয়ে এলেও তাঁর পেছনে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লোকজন ছিলেন। তাই তাঁরা ভাবছিলেন, ত্রাণগুলো রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের দেওয়া, তাই সেই ত্রাণ গ্রহণ করেননি। পরে উপজেলা পরিষদ ত্রাণ দিয়েছে জেনে সোমবার গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় তাঁরা ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির জন্য প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সবার সহযোগিতা চান।
দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লাংকম ম্রোপাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরাপাড়া এবং রেংয়ান ম্রোপাড়ার ৩৬টি পরিবারের জুমের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনা তদন্তে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. মোজাম্মেল হক বাহাদুরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে জেলা পরিষদ। কমিটির সদস্যরা হলেন জেলা পরিষদ সদস্য সিংইয়ং ম্রো ও বাশৈচিং মারমা, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান এবং ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফের জেলা ব্যবস্থাপক খুশীরায় ত্রিপুরা। গত মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেখতে ও ঘটনার বিস্তারিত জানতে তাঁরা সেখানে যান।
মঙ্গলবার তদন্ত দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে সান্ত্বনা দেয়। সহানুভূতি হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ কেজি করে চাল ও ২ লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করে। এ সময় লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিছ, ইউপি সদস্য ও পাড়া কার্বারিরা উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবানের লামায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাড়াগুলোতে ‘খাদ্যসংকটের’ বিষয়টি তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত দল গঠন করেছে জেলা পরিষদ। গত বুধবার তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে কথা বলে। এ সময় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
এদিকে প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ জুমিয়া পরিবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনের দেওয়া ত্রাণ ফিরিয়ে দেয়। তবে জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দেওয়া ত্রাণ গ্রহণ করেছে। তদন্ত দলের আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. মোজাম্মেল হক বাহাদুর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল উপজেলার সরই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩টি পাড়ায় জুমে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০০ একর জুমের ফসল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজকে দায়ী করছেন পাড়াবাসী। জায়গা দখলের জন্য রাবারবাগানের মালিকের লোকজন ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। পরে পাড়ার কার্বারির করা মামলায় রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে জুমের ফসল পুড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার তিনটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পাড়ায় খাদ্যসংকটের খবর সংবাদমাধ্যমে আসে। এর জের ধরে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়।
তদন্ত দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার নির্দেশে এ তদন্ত দল গঠন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ত্রাণ ফেরত দেওয়ার কারণ হিসেবে লাংকুম ম্রো, রুইপাও ম্রো ও রেংয়ান ম্রো বলেন, রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ত্রাণ নিয়ে এলেও তাঁর পেছনে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের লোকজন ছিলেন। তাই তাঁরা ভাবছিলেন, ত্রাণগুলো রাবার ইন্ডাস্ট্রিজের দেওয়া, তাই সেই ত্রাণ গ্রহণ করেননি। পরে উপজেলা পরিষদ ত্রাণ দিয়েছে জেনে সোমবার গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময় তাঁরা ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির জন্য প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সবার সহযোগিতা চান।
দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লাংকম ম্রোপাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরাপাড়া এবং রেংয়ান ম্রোপাড়ার ৩৬টি পরিবারের জুমের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনা তদন্তে পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. মোজাম্মেল হক বাহাদুরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে জেলা পরিষদ। কমিটির সদস্যরা হলেন জেলা পরিষদ সদস্য সিংইয়ং ম্রো ও বাশৈচিং মারমা, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান এবং ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফের জেলা ব্যবস্থাপক খুশীরায় ত্রিপুরা। গত মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেখতে ও ঘটনার বিস্তারিত জানতে তাঁরা সেখানে যান।
মঙ্গলবার তদন্ত দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে সান্ত্বনা দেয়। সহানুভূতি হিসেবে প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ কেজি করে চাল ও ২ লিটার বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করে। এ সময় লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিছ, ইউপি সদস্য ও পাড়া কার্বারিরা উপস্থিত ছিলেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে