তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর সেকশন গোলচত্বরের পাশে একটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতাল-ঢাকা। পরিচালনায়—বাংলাদেশ অন্ধকল্যাণ সমিতি’। যদিও ২০০৩ সালের আগে এর নাম ছিল ‘বিএনএসবি-ঢাকা চক্ষু হাসপাতাল’। ১৯৭৫ সালের দিকে অন্ধকল্যাণ সমিতির নামে সরকারের কাছ থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল হাসপাতালটি। প্লটটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক)। ইদানীং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু প্রকৌশলীর যোগসাজশে হাসপাতালের প্লটের ধরন পাল্টে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়তে তৎপরতা চালাচ্ছে একটি মহল। এর মাধ্যমে মহলটি শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও বহু বছর ধরে স্বল্প খরচে পাওয়া সেবা থেকে বঞ্চিত হবে বিপুল মানুষ।
জাগৃকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বরাদ্দ-সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলা আছে, প্রাতিষ্ঠানিক প্লটকে বাণিজ্যিক হিসেবে সম্পূর্ণ/আংশিক ব্যবহার করা যাবে না। জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে সরকার বড় আকারের কিছু প্লট বরাদ্দ দিয়েছিল বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের নামে। দিনে দিনে জমির দাম বাড়ায় সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আঁতাত করে ওই সব প্লটে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তুলছে স্বার্থান্বেষী মহল। মিরপুরের এই চক্ষু হাসপাতালের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. ওয়াছি উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি জমি ঘিরে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা জমির ফাঁকফোকর বের করে তা নিজেদের কবজায় নিতে চায়। সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগাযোগ রয়েছে এ চক্রের সঙ্গে। হাউজিংয়ে জমি নিয়েও এমন একটি খবর ইতিমধ্যে পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে চক্ষু হাসপাতালের জমি যেন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
বারবার কারসাজি
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে মিরপুর-১ নম্বর সেকশনের এক নম্বর সড়কের এ-ব্লকের ১ থেকে ৭ পর্যন্ত প্লট অন্ধকল্যাণ সমিতির নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সমিতির সভাপতি হন দলটির তখনকার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ ছাড়া অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সহসভাপতি এবং আব্দুল বাছেত আকন ট্রেজারার হন। মাহবুব হোসেন ২০১৭ সালের ৫ জুন এ প্লটের ১৩ কাঠা জায়গায় বাণিজ্যিক ইমারত বানানোর আবেদন করেন। সমিতির নামে দেওয়া এ প্লটগুলোর ধরন মূল নকশায় প্রাতিষ্ঠানিক হিসেবে উল্লেখ থাকায় গত সাড়ে পাঁচ বছরেও সে আবেদন মঞ্জুর করেনি জাগৃক। এর আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে নকশায় কারসাজি করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালের মূল নকশায় সাতটি প্লটই প্রাতিষ্ঠানিক হিসেবে উল্লেখ আছে। কিন্তু ১৯৭৮ সালের খণ্ড নকশা সামনে এনে তা বাণিজ্যিক প্লট দাবি করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট জাগৃকের তৎকালীন উপপরিচালক মো. আজহারুল হকের সই করা এক চিঠিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্লটে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস আগে অন্ধকল্যাণ সমিতির পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেনের করা আবেদনটি নিয়ে তৎপর হয় একটি প্রভাবশালী মহল। অথচ খন্দকার মাহবুব গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মারা যান। বিধিমতে, জাগৃককে এ বিষয়ে অবগত করার কথা। উল্টো মৃত ব্যক্তির আবেদন নিয়ে মাঠে নামে চক্রটি। নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা বিভাগ-১) জোয়ারদার তাবেদুন নবী গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান দপ্তরে চিঠি দিয়ে প্লটের ধরন জানতে চান। এরপর শুরু হয় দেনদরবার। প্রভাবশালী মহলের পক্ষ থেকে জাগৃক ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তাকে দলে ভিড়িয়ে নেওয়া হয়। ৯ এপ্রিল সংস্থার উপপরিচালক এক চিঠি দিয়ে প্লটটি বাণিজ্যিক বলে জানিয়ে দেন।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে জাগৃকের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মুনিম হাসানকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এরপর বিস্তারিত জানিয়ে এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জাগৃকের উপপরিচালক আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন এ প্লটের শ্রেণি কী। তা আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’
জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-১) জোয়ারদার তাবেদুন নবী বলেন, ‘আমরা ফাইল পর্যালোচনা করে দেখি অনুমোদিত নকশায় ১ থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত যে প্লটগুলো আছে, তা প্রাতিষ্ঠানিক প্লট; যা অন্ধকল্যাণ সমিতির নামে বরাদ্দ আছে। কোনো সমিতির নামে বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া আলোচ্য প্লটগুলো সমিতির পক্ষ থেকে এর আগে পুনর্নির্মাণের যে অনুমতি নেওয়া হয়েছে, সেখানেও প্রাতিষ্ঠানিক। এখন আমাদের কাছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের ছাড়পত্রের আবেদন এলে আমরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দিই। সেখান থেকে উপপরিচালক জানিয়েছেন, ১৯৭৮ সালের একটি খণ্ড নকশায় তা বাণিজ্যিক হিসেবে চিহ্নিত।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির আবেদন আমলে নেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে অন্ধকল্যাণ সমিতির রেজল্যুশন কল করব।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাউজিংয়ের কিছু দুর্নীতিবাজ লোকের সহযোগিতায় এই সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এখানে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এখন আরেকটি গ্রুপ চক্ষু হাসপাতাল ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি আমি সংসদে উত্থাপন করব। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।’
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর সেকশন গোলচত্বরের পাশে একটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘খন্দকার মাহবুব হোসেন চক্ষু হাসপাতাল-ঢাকা। পরিচালনায়—বাংলাদেশ অন্ধকল্যাণ সমিতি’। যদিও ২০০৩ সালের আগে এর নাম ছিল ‘বিএনএসবি-ঢাকা চক্ষু হাসপাতাল’। ১৯৭৫ সালের দিকে অন্ধকল্যাণ সমিতির নামে সরকারের কাছ থেকে জমি বরাদ্দ নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল হাসপাতালটি। প্লটটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক)। ইদানীং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কিছু প্রকৌশলীর যোগসাজশে হাসপাতালের প্লটের ধরন পাল্টে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়তে তৎপরতা চালাচ্ছে একটি মহল। এর মাধ্যমে মহলটি শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিলেও বহু বছর ধরে স্বল্প খরচে পাওয়া সেবা থেকে বঞ্চিত হবে বিপুল মানুষ।
জাগৃকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বরাদ্দ-সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলা আছে, প্রাতিষ্ঠানিক প্লটকে বাণিজ্যিক হিসেবে সম্পূর্ণ/আংশিক ব্যবহার করা যাবে না। জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে সরকার বড় আকারের কিছু প্লট বরাদ্দ দিয়েছিল বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের নামে। দিনে দিনে জমির দাম বাড়ায় সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আঁতাত করে ওই সব প্লটে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে তুলছে স্বার্থান্বেষী মহল। মিরপুরের এই চক্ষু হাসপাতালের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. ওয়াছি উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি জমি ঘিরে একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা জমির ফাঁকফোকর বের করে তা নিজেদের কবজায় নিতে চায়। সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগাযোগ রয়েছে এ চক্রের সঙ্গে। হাউজিংয়ে জমি নিয়েও এমন একটি খবর ইতিমধ্যে পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে চক্ষু হাসপাতালের জমি যেন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
বারবার কারসাজি
জাগৃক সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে মিরপুর-১ নম্বর সেকশনের এক নম্বর সড়কের এ-ব্লকের ১ থেকে ৭ পর্যন্ত প্লট অন্ধকল্যাণ সমিতির নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সমিতির সভাপতি হন দলটির তখনকার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ ছাড়া অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সহসভাপতি এবং আব্দুল বাছেত আকন ট্রেজারার হন। মাহবুব হোসেন ২০১৭ সালের ৫ জুন এ প্লটের ১৩ কাঠা জায়গায় বাণিজ্যিক ইমারত বানানোর আবেদন করেন। সমিতির নামে দেওয়া এ প্লটগুলোর ধরন মূল নকশায় প্রাতিষ্ঠানিক হিসেবে উল্লেখ থাকায় গত সাড়ে পাঁচ বছরেও সে আবেদন মঞ্জুর করেনি জাগৃক। এর আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে নকশায় কারসাজি করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালের মূল নকশায় সাতটি প্লটই প্রাতিষ্ঠানিক হিসেবে উল্লেখ আছে। কিন্তু ১৯৭৮ সালের খণ্ড নকশা সামনে এনে তা বাণিজ্যিক প্লট দাবি করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট জাগৃকের তৎকালীন উপপরিচালক মো. আজহারুল হকের সই করা এক চিঠিতে প্রাতিষ্ঠানিক প্লটে বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক মাস আগে অন্ধকল্যাণ সমিতির পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেনের করা আবেদনটি নিয়ে তৎপর হয় একটি প্রভাবশালী মহল। অথচ খন্দকার মাহবুব গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মারা যান। বিধিমতে, জাগৃককে এ বিষয়ে অবগত করার কথা। উল্টো মৃত ব্যক্তির আবেদন নিয়ে মাঠে নামে চক্রটি। নথিতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা বিভাগ-১) জোয়ারদার তাবেদুন নবী গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান দপ্তরে চিঠি দিয়ে প্লটের ধরন জানতে চান। এরপর শুরু হয় দেনদরবার। প্রভাবশালী মহলের পক্ষ থেকে জাগৃক ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তাকে দলে ভিড়িয়ে নেওয়া হয়। ৯ এপ্রিল সংস্থার উপপরিচালক এক চিঠি দিয়ে প্লটটি বাণিজ্যিক বলে জানিয়ে দেন।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে জাগৃকের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. মুনিম হাসানকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। এরপর বিস্তারিত জানিয়ে এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
জাগৃকের উপপরিচালক আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন এ প্লটের শ্রেণি কী। তা আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’
জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-১) জোয়ারদার তাবেদুন নবী বলেন, ‘আমরা ফাইল পর্যালোচনা করে দেখি অনুমোদিত নকশায় ১ থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত যে প্লটগুলো আছে, তা প্রাতিষ্ঠানিক প্লট; যা অন্ধকল্যাণ সমিতির নামে বরাদ্দ আছে। কোনো সমিতির নামে বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া আলোচ্য প্লটগুলো সমিতির পক্ষ থেকে এর আগে পুনর্নির্মাণের যে অনুমতি নেওয়া হয়েছে, সেখানেও প্রাতিষ্ঠানিক। এখন আমাদের কাছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের ছাড়পত্রের আবেদন এলে আমরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দিই। সেখান থেকে উপপরিচালক জানিয়েছেন, ১৯৭৮ সালের একটি খণ্ড নকশায় তা বাণিজ্যিক হিসেবে চিহ্নিত।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির আবেদন আমলে নেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে অন্ধকল্যাণ সমিতির রেজল্যুশন কল করব।’
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাউজিংয়ের কিছু দুর্নীতিবাজ লোকের সহযোগিতায় এই সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এখানে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর এখন আরেকটি গ্রুপ চক্ষু হাসপাতাল ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি আমি সংসদে উত্থাপন করব। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে