শিমুল চৌধুরী, ভোলা
আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত বৃহস্পতিবার ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া এবং গণপরিবহনে কম যাত্রী বহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিধিনিষেধে অনীহা দেখা গেছে দ্বীপ জেলা ভোলায়।
রাস্তাঘাট, দোকানপাট, যাত্রীবাহী বাস কিংবা লঞ্চে অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। নেই সামাজিক দূরত্ব; বরং ধারণক্ষমতারও বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ ও বাস। মুখে পরছে না মাস্ক। আর সরকারি নির্দেশনা মানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোলার সদর রোড, যুগীরঘোল, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীবাহী ভোলা-বরিশালগামী লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা, যাত্রীদের চাপে ভাড়া আদায়কারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভোলা-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে একই অবস্থা। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্ক। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ সঞ্চিতা-১। ওই লঞ্চের অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্ক।
একইভাবে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বরিশালের উদ্দেশে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ মেঘদূত-১। ওই লঞ্চেও যাত্রী ছিল ধারণক্ষমতারও প্রায় দ্বিগুণ।
লঞ্চের যাত্রী মুজিযা রহমান পুণ্য ও আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোলা থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী মেঘদূত-১ লঞ্চটি। এর মধ্যে বহু যাত্রী লঞ্চে বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে বরিশালে যায়। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্ক। এমনকি লঞ্চ স্টাফদেরও মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। মানা হয়নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভোল-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ মেঘদূত-১-এর কেরানি সুভাষ চন্দ্র দে বলেন, ‘অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালানোর নির্দেশনা এখনো পাইনি। এ ধরনের নির্দেশনা পেলে তখন যাত্রীর ভাড়াও বাড়ানো হতে পারে।’
কেরানির এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ঐ লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী বলেন, ‘লঞ্চের ভাড়া তো আগে থেকেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত মাত্র ৮০ কিলোমিটার নৌপথের ভাড়া আগে ছিল ৮০ টাকা। আর এখন সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা বন্দর ও পরিবহনের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।’
ভোলা সদর উপজেলায় মাস্ক না পরে ঘুরতে দেখা গেছে অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও রিকশাচালকদের।
এ ব্যাপারে ভেদুরিয়া এলাকার এক রিকশাচালক মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘মাস্ক অনেক পরেছি। আর পরতে মন চায় না। আর কত
মাস্ক পরমু?’
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো চিঠিপত্র পাননি বলে জানালেন ভোলা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান গতকাল শুক্রবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেব। সরকারি নির্দেশনায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধি না মানলে শাস্তি পেতে হবে।’
আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার গত বৃহস্পতিবার ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া এবং গণপরিবহনে কম যাত্রী বহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিধিনিষেধে অনীহা দেখা গেছে দ্বীপ জেলা ভোলায়।
রাস্তাঘাট, দোকানপাট, যাত্রীবাহী বাস কিংবা লঞ্চে অনেকেই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। নেই সামাজিক দূরত্ব; বরং ধারণক্ষমতারও বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে লঞ্চ ও বাস। মুখে পরছে না মাস্ক। আর সরকারি নির্দেশনা মানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোলার সদর রোড, যুগীরঘোল, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীবাহী ভোলা-বরিশালগামী লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা, যাত্রীদের চাপে ভাড়া আদায়কারীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভোলা-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে একই অবস্থা। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্ক। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চ সঞ্চিতা-১। ওই লঞ্চের অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্ক।
একইভাবে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বরিশালের উদ্দেশে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ মেঘদূত-১। ওই লঞ্চেও যাত্রী ছিল ধারণক্ষমতারও প্রায় দ্বিগুণ।
লঞ্চের যাত্রী মুজিযা রহমান পুণ্য ও আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোলা থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায় যাত্রীবাহী মেঘদূত-১ লঞ্চটি। এর মধ্যে বহু যাত্রী লঞ্চে বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে বরিশালে যায়। অধিকাংশ যাত্রীর মুখে ছিল না মাস্ক। এমনকি লঞ্চ স্টাফদেরও মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। মানা হয়নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভোল-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ মেঘদূত-১-এর কেরানি সুভাষ চন্দ্র দে বলেন, ‘অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালানোর নির্দেশনা এখনো পাইনি। এ ধরনের নির্দেশনা পেলে তখন যাত্রীর ভাড়াও বাড়ানো হতে পারে।’
কেরানির এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ঐ লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী বলেন, ‘লঞ্চের ভাড়া তো আগে থেকেই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত মাত্র ৮০ কিলোমিটার নৌপথের ভাড়া আগে ছিল ৮০ টাকা। আর এখন সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১২০ টাকা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলা বন্দর ও পরিবহনের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।’
ভোলা সদর উপজেলায় মাস্ক না পরে ঘুরতে দেখা গেছে অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও রিকশাচালকদের।
এ ব্যাপারে ভেদুরিয়া এলাকার এক রিকশাচালক মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘মাস্ক অনেক পরেছি। আর পরতে মন চায় না। আর কত
মাস্ক পরমু?’
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো চিঠিপত্র পাননি বলে জানালেন ভোলা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান গতকাল শুক্রবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেব। সরকারি নির্দেশনায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধি না মানলে শাস্তি পেতে হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে