অজয় দাশগুপ্ত
পৃথিবীর জনসংখ্যার নিরিখে প্রায় ২৩ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বিশ্বে বহুল প্রচারিত ভাষাগুলোর মধ্যে সংখ্যানুসারে বাংলা ভাষার স্থান চতুর্থ থেকে সপ্তমের মধ্যে। ইংরেজি, চৈনিক, স্প্যানিশ ইত্যাদির পরই বাংলা ভাষার স্থান। দক্ষিণ এশিয়ার পূর্ব প্রান্তে বাংলা ভাষাটি মূলত ইন্দো-আর্য ভাষা। সংস্কৃত পালি ও প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে।
বাংলা ও বাঙালির যেকোনো অর্জন বা বড় কাজ মানেই একুশের গৌরব। এটা ভাবা আমি ন্যায় মনে করি। বাংলাদেশের যাবতীয় উদ্ভাস আর বিশ্বব্যাপী অহংকার জাতি যদি একসঙ্গে মানতে পারত, আর নিজেদের করে নিতে পারত, আমাদের জাতীয় পরিচয় আরও ব্যাপক আর বিশাল হতো।
চেক প্রজাতন্ত্র ছোট একটি দেশ। একসময়কার চেকস্লোভাকিয়া ভেঙে দুটো দেশ হয়েছে। তার একটি চেক। এই দেশের বাংলা জানা এক অধ্যাপক এসেছিলেন আমাদের বইমেলায়। বইমেলায় ভাষণও দিয়েছিলেন একবার। তিনি একটি যৌক্তিক প্রশ্ন রেখে গেছেন। যে জাতি মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিতে পেরেছে, যার ভাষার গৌরব এত বিশাল, তার কেন সব বিষয়ে বাংলা বা মাতৃভাষায় বই থাকবে না? ভেবে দেখুন, আমাদের আইন বিষয়ে বাংলায় ভালো কিতাব আছে? আছে চিকিৎসাবিজ্ঞান বা নভোমণ্ডল নিয়ে? এমনকি খোদ মাতৃভাষা বিষয়েও তেমন বই পাওয়া ভার। অথচ প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি এলেই পুস্তক প্রকাশের হিড়িক পড়ে যায়। এর ভালো দিক অস্বীকার করি না; বরং এই প্রবণতা থাকাই ভালো। ডিজিটাল যুগে যখন সবকিছু বায়বীয়, তখন হাতে-কলমে বইপুস্তক থাকার বিকল্প কোথায়? কিন্তু এই পুস্তকের অধিকাংশ হুজুগের শিকার। কবিতা, পদ্য আর বঙ্গবন্ধু—এই তিন বিষয়ের বাইরে যেন কোনো বই হতেই পারে না। কম পরিশ্রমে টুকটুক করে পদ্য লিখেই বই বের করা সম্ভব। আর সবচেয়ে বেদনার জায়গাটি হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে না জেনে, গবেষণা না করে, ভালো না বেসেই বই লিখে ফেলা। এর নাকি বাণিজ্যিক কারণও আছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু লিখলে বা বই বের করতে পারলে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্য বা অফিস-আদালতে তা বিক্রি করা যায়। লাইব্রেরিগুলোও কিনে নেয় বেশ কিছু। এতে বাণিজ্য আছে কিন্তু দুর্ভাবনা? আমাদের খণ্ডিত, কর্তিত আর বিবদমান ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরিয়ে আনতেই চলে গেছে বিশ বছরের বেশি সময়। কষ্ট, ত্যাগ আর বেদনার বিনিময়ে পাওয়া জনককে এভাবে তুলে আনা অপ্রাসঙ্গিক ও বর্জনীয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
বলছিলাম আন্তর্জাতিক অর্জনের কথা। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন কতভাবে কত দেশ ও জাতিকে প্রাণিত করতে পারে। হতে পারে উদাহরণ। কিন্তু তা করার প্রচেষ্টা দেখি না। যেমন ধরুন, আমাদের বসতভূমি অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসী, যাদের বলা হয় এ্যবরজিনাল, তাদের মুখের ভাষা লুণ্ঠিত হয়ে গেছে। ইংরেজ কাপ্তান কুক এ দেশে নোঙর ফেলার পরই বুঝে নিয়েছিলেন তাদের দমন করলেই এই বিশাল ভূখণ্ড আর সম্পদ চলে আসবে হাতে। আরামে রাজত্ব করা যাবে দীর্ঘ সময় অথবা চিরকাল। যে কারণে ভারতে টিকতে না পারা বা উপমহাদেশে রাজনৈতিক বিরোধিতা আর মেধাবী মানুষদের সামনে পড়া ইংরেজদের আচরণ ও উন্নয়ন ছিল সাময়িকভাবে কিছু একটা করা। এ দেশে তারা যা করে গেছে, সেটাই ছিল দীর্ঘমেয়াদি। মূলত লেখাপড়া না জানা আর পরিমিত জীবনযাপনসহ আরণ্যক মানুষগুলোর আচরণ বা বিশ্বাস রোধ করা ছিল সহজ। সে আক্রমণের প্রধান জায়গাটি ছিল তাদের মাতৃভাষা। ইংরেজ দখলদারির শুরুতে স্টোল বা চুরি যাওয়া জেনারেশন নামে যে প্রজন্ম, সেসব বাচ্চাকে ভালো জীবন দেওয়ার নামে মা-বাবা বা পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হতো। তারা দুধকে মিল্ক বা রুটিকে ব্রেড বলে কাঁটা চামচ আর ছুরি চালানোর ফাঁকেই কেটে ফেলত তাদের অতীত আর বংশপরম্পরা। অন্যদিকে এভাবেই তাদের মাতৃভাষা চলে যায় বিস্মৃতির অন্তরালে। আজ আর সে ভাষার লেখ্য রূপ নেই। গাঁক গাঁক করে ইংরেজি বলা কালো বিশাল আকারের মানুষগুলো মূলত মাতৃভাষাহীন। তাদের এই বেদনার জায়গাটা স্পর্শ করতে পারলে আমার ও আমাদের ভাষাই হতো গৌরবের উৎস। আমাদের যে দূতাবাস, তাদের এসব বিষয়ে আগ্রহ নেই। এখন যিনি রাষ্ট্রদূত শুনি তিনি নাকি আন্তরিক কিন্তু কাজে মনে হয় না। কিছুদিন তেল-তোয়াজে থাকতে থাকতেই তাঁরা কর্তব্য মানে রাষ্ট্রীয় কিছু দিবস পালন আর বাঙালিদের ডেকে খাওয়ানো বাদে বাকি সব ভুলে যান। ফলে আরও অনেক বিষয়ের মতো ভাষার বা ভাষা দিবসের গৌরবও পড়ে থাকে একপাশে।
সমগ্র বিশ্বে এখন প্রায় পাঁচ হাজার ভাষায় মানুষ কথা বলে। যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই হলো আফ্রিকার ব্যবহৃত ভাষা। উচ্চারণ, শব্দের ব্যবহার ও বাক্য নির্মাণের দিক থেকে যা একটা অন্যটার সঙ্গে সম্পর্কিত। ভাষাবিদেরা এই ভাষাগুলোকে মোটামুটি কুড়িটির মতো পরিবারে ভাগ করেছেন। তবে একটা লক্ষণীয় মজার ব্যাপার হলো, আফ্রিকারই সিয়েরা লিওনের দেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হলো বাংলা।
আমরা যা করি আর না করি, আমাদের মাতৃভাষা যে ইতিহাস তৈরি করেছে বা করছে, তার ভিত্তি একুশে। এখনো যাবতীয় মৌলবাদ আগ্রাসন দুঃশাসন কিংবা অন্যায়ের প্রতিবাদে বাংলাই আমাদের হাতিয়ার আর আমাদের দেশের নামও সে ভাষার নামেই বাংলাদেশ।
অজয় দাশগুপ্ত
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
পৃথিবীর জনসংখ্যার নিরিখে প্রায় ২৩ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বিশ্বে বহুল প্রচারিত ভাষাগুলোর মধ্যে সংখ্যানুসারে বাংলা ভাষার স্থান চতুর্থ থেকে সপ্তমের মধ্যে। ইংরেজি, চৈনিক, স্প্যানিশ ইত্যাদির পরই বাংলা ভাষার স্থান। দক্ষিণ এশিয়ার পূর্ব প্রান্তে বাংলা ভাষাটি মূলত ইন্দো-আর্য ভাষা। সংস্কৃত পালি ও প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে।
বাংলা ও বাঙালির যেকোনো অর্জন বা বড় কাজ মানেই একুশের গৌরব। এটা ভাবা আমি ন্যায় মনে করি। বাংলাদেশের যাবতীয় উদ্ভাস আর বিশ্বব্যাপী অহংকার জাতি যদি একসঙ্গে মানতে পারত, আর নিজেদের করে নিতে পারত, আমাদের জাতীয় পরিচয় আরও ব্যাপক আর বিশাল হতো।
চেক প্রজাতন্ত্র ছোট একটি দেশ। একসময়কার চেকস্লোভাকিয়া ভেঙে দুটো দেশ হয়েছে। তার একটি চেক। এই দেশের বাংলা জানা এক অধ্যাপক এসেছিলেন আমাদের বইমেলায়। বইমেলায় ভাষণও দিয়েছিলেন একবার। তিনি একটি যৌক্তিক প্রশ্ন রেখে গেছেন। যে জাতি মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিতে পেরেছে, যার ভাষার গৌরব এত বিশাল, তার কেন সব বিষয়ে বাংলা বা মাতৃভাষায় বই থাকবে না? ভেবে দেখুন, আমাদের আইন বিষয়ে বাংলায় ভালো কিতাব আছে? আছে চিকিৎসাবিজ্ঞান বা নভোমণ্ডল নিয়ে? এমনকি খোদ মাতৃভাষা বিষয়েও তেমন বই পাওয়া ভার। অথচ প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি এলেই পুস্তক প্রকাশের হিড়িক পড়ে যায়। এর ভালো দিক অস্বীকার করি না; বরং এই প্রবণতা থাকাই ভালো। ডিজিটাল যুগে যখন সবকিছু বায়বীয়, তখন হাতে-কলমে বইপুস্তক থাকার বিকল্প কোথায়? কিন্তু এই পুস্তকের অধিকাংশ হুজুগের শিকার। কবিতা, পদ্য আর বঙ্গবন্ধু—এই তিন বিষয়ের বাইরে যেন কোনো বই হতেই পারে না। কম পরিশ্রমে টুকটুক করে পদ্য লিখেই বই বের করা সম্ভব। আর সবচেয়ে বেদনার জায়গাটি হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে না জেনে, গবেষণা না করে, ভালো না বেসেই বই লিখে ফেলা। এর নাকি বাণিজ্যিক কারণও আছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কিছু লিখলে বা বই বের করতে পারলে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্য বা অফিস-আদালতে তা বিক্রি করা যায়। লাইব্রেরিগুলোও কিনে নেয় বেশ কিছু। এতে বাণিজ্য আছে কিন্তু দুর্ভাবনা? আমাদের খণ্ডিত, কর্তিত আর বিবদমান ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিরিয়ে আনতেই চলে গেছে বিশ বছরের বেশি সময়। কষ্ট, ত্যাগ আর বেদনার বিনিময়ে পাওয়া জনককে এভাবে তুলে আনা অপ্রাসঙ্গিক ও বর্জনীয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা?
বলছিলাম আন্তর্জাতিক অর্জনের কথা। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন কতভাবে কত দেশ ও জাতিকে প্রাণিত করতে পারে। হতে পারে উদাহরণ। কিন্তু তা করার প্রচেষ্টা দেখি না। যেমন ধরুন, আমাদের বসতভূমি অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসী, যাদের বলা হয় এ্যবরজিনাল, তাদের মুখের ভাষা লুণ্ঠিত হয়ে গেছে। ইংরেজ কাপ্তান কুক এ দেশে নোঙর ফেলার পরই বুঝে নিয়েছিলেন তাদের দমন করলেই এই বিশাল ভূখণ্ড আর সম্পদ চলে আসবে হাতে। আরামে রাজত্ব করা যাবে দীর্ঘ সময় অথবা চিরকাল। যে কারণে ভারতে টিকতে না পারা বা উপমহাদেশে রাজনৈতিক বিরোধিতা আর মেধাবী মানুষদের সামনে পড়া ইংরেজদের আচরণ ও উন্নয়ন ছিল সাময়িকভাবে কিছু একটা করা। এ দেশে তারা যা করে গেছে, সেটাই ছিল দীর্ঘমেয়াদি। মূলত লেখাপড়া না জানা আর পরিমিত জীবনযাপনসহ আরণ্যক মানুষগুলোর আচরণ বা বিশ্বাস রোধ করা ছিল সহজ। সে আক্রমণের প্রধান জায়গাটি ছিল তাদের মাতৃভাষা। ইংরেজ দখলদারির শুরুতে স্টোল বা চুরি যাওয়া জেনারেশন নামে যে প্রজন্ম, সেসব বাচ্চাকে ভালো জীবন দেওয়ার নামে মা-বাবা বা পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হতো। তারা দুধকে মিল্ক বা রুটিকে ব্রেড বলে কাঁটা চামচ আর ছুরি চালানোর ফাঁকেই কেটে ফেলত তাদের অতীত আর বংশপরম্পরা। অন্যদিকে এভাবেই তাদের মাতৃভাষা চলে যায় বিস্মৃতির অন্তরালে। আজ আর সে ভাষার লেখ্য রূপ নেই। গাঁক গাঁক করে ইংরেজি বলা কালো বিশাল আকারের মানুষগুলো মূলত মাতৃভাষাহীন। তাদের এই বেদনার জায়গাটা স্পর্শ করতে পারলে আমার ও আমাদের ভাষাই হতো গৌরবের উৎস। আমাদের যে দূতাবাস, তাদের এসব বিষয়ে আগ্রহ নেই। এখন যিনি রাষ্ট্রদূত শুনি তিনি নাকি আন্তরিক কিন্তু কাজে মনে হয় না। কিছুদিন তেল-তোয়াজে থাকতে থাকতেই তাঁরা কর্তব্য মানে রাষ্ট্রীয় কিছু দিবস পালন আর বাঙালিদের ডেকে খাওয়ানো বাদে বাকি সব ভুলে যান। ফলে আরও অনেক বিষয়ের মতো ভাষার বা ভাষা দিবসের গৌরবও পড়ে থাকে একপাশে।
সমগ্র বিশ্বে এখন প্রায় পাঁচ হাজার ভাষায় মানুষ কথা বলে। যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই হলো আফ্রিকার ব্যবহৃত ভাষা। উচ্চারণ, শব্দের ব্যবহার ও বাক্য নির্মাণের দিক থেকে যা একটা অন্যটার সঙ্গে সম্পর্কিত। ভাষাবিদেরা এই ভাষাগুলোকে মোটামুটি কুড়িটির মতো পরিবারে ভাগ করেছেন। তবে একটা লক্ষণীয় মজার ব্যাপার হলো, আফ্রিকারই সিয়েরা লিওনের দেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হলো বাংলা।
আমরা যা করি আর না করি, আমাদের মাতৃভাষা যে ইতিহাস তৈরি করেছে বা করছে, তার ভিত্তি একুশে। এখনো যাবতীয় মৌলবাদ আগ্রাসন দুঃশাসন কিংবা অন্যায়ের প্রতিবাদে বাংলাই আমাদের হাতিয়ার আর আমাদের দেশের নামও সে ভাষার নামেই বাংলাদেশ।
অজয় দাশগুপ্ত
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে