ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
য়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তিন ফসলি কৃষিজমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। উপজেলার ছয় ইউনিয়নে এসব পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমির পরিমাণ। পুকুর খননে প্রতিবছর কৃষিজমি কমেছে ৫০ একর। এ বছর আবাদি জমির পরিমাণ ১০০ একর কমার আশঙ্কা রয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা শুধু বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষের অনুমতি নিলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাছ চাষ করা হয় সারা বছরই।
এদিকে কৃষিজমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, অনিয়ম করে পুকুর খনন করার খবর পেলে দ্রুতই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নদী-নালা, খাল-বিল বাদে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। শ্রেণিভেদে প্রায় সব জমিতে সারা বছর ফসলের চাষ হয়ে থাকে। উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়। কিন্তু কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদিত ধানের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা বোরো চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। ফলে প্রতি বিঘা জমি ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদের চুক্তিতে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। এসব জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ হচ্ছে আর জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) মাটি ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বরিশাল, চাঁদপুর, মাদারীপুর, এমনকি রাজধানী ঢাকা থেকে এসে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ব্যক্তিমালিকানা জমির পাশাপাশি সরকারের খতিয়ানভুক্ত জমিতেও পুকুর খনন করা হচ্ছে।
উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পুকুর খননের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে উপজেলার ছয়গাঁও, দক্ষিণ তারাবুনিয়া, চরকুমারিয়া, মহিষার, রামভদ্রপুর, আরশিনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পুকুর খননের প্রবণতা বেশি। ছয়গাঁও ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৫০টিরও বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে।
ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা নিপু পালোয়ান বলেন, কিছুসংখ্যক অসাধু মাছ ব্যবসায়ী প্রশাসনের কাছে শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষ ও বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষের অনুমতি নিয়ে ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষ করছেন না। ফলে দিনদিন ধান চাষ কমছে।
রামভদ্রপুর ইউপির মৃধাকান্দি এলাকার খামার ব্যবসায়ী হাজী শাহাজাহান হাওলাদার বলেন, ‘বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো না। আবাদি জমিতে লাভ নেই। তাই আমার জমিসহ আরো কিছু জমি বাৎসরিক ইজারা নিয়ে মৎস্য খামার করি। মাছ চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়। তাই খামার করছি। আর মাছের উৎপাদন বাড়ানোও তো দরকার।’
কৃষক জয়নাল সরদার জানান, উৎপাদনে যথেষ্ট শ্রম দিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। তাই লাভের আশায় পুকুর খনন করে তুলনামূলক ঝামেলাহীন অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছেন। এসব পুকুরে তাঁরা নিজেরা মাছ চাষ করছেন, আবার কেউ অর্থের বিনিময়ে মাছচাষিদের কাছে লিজ দিচ্ছেন। তবে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
মৃধাকান্দি গ্রামের মাছচাষি সোহেল মৃধা জানান, বর্তমানে মাছের যে দাম তাতে পুকুরের লিজের টাকাই উঠছে না। অথচ কিছু মানুষ মাছ চাষে অধিক লাভ—এমন প্রলোভন দেখিয়ে জমি লিজ নিয়ে পুকুর খনন করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’—ভূমি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ কারণে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা বন্ধ হওয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু জমিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধান না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুকুর খনন থেকে বিরত থাকার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসীফ বলেন, কোথাও আবাদি জমি কেটে পুকুর খননের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ভেকুর ব্যাটারি জব্দ করা হচ্ছে। কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে রাতের আঁধারে পুকুর খনন করার তথ্য পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
য়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় তিন ফসলি কৃষিজমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। উপজেলার ছয় ইউনিয়নে এসব পুকুর খনন করা হচ্ছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমির পরিমাণ। পুকুর খননে প্রতিবছর কৃষিজমি কমেছে ৫০ একর। এ বছর আবাদি জমির পরিমাণ ১০০ একর কমার আশঙ্কা রয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা শুধু বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষের অনুমতি নিলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাছ চাষ করা হয় সারা বছরই।
এদিকে কৃষিজমির মাটি বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, অনিয়ম করে পুকুর খনন করার খবর পেলে দ্রুতই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নদী-নালা, খাল-বিল বাদে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। শ্রেণিভেদে প্রায় সব জমিতে সারা বছর ফসলের চাষ হয়ে থাকে। উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়। কিন্তু কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদিত ধানের যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা বোরো চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। ফলে প্রতি বিঘা জমি ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদের চুক্তিতে ইজারা দেওয়া হচ্ছে। এসব জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ হচ্ছে আর জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়। প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) মাটি ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
বরিশাল, চাঁদপুর, মাদারীপুর, এমনকি রাজধানী ঢাকা থেকে এসে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় কৃষিজমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ব্যক্তিমালিকানা জমির পাশাপাশি সরকারের খতিয়ানভুক্ত জমিতেও পুকুর খনন করা হচ্ছে।
উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পুকুর খননের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে উপজেলার ছয়গাঁও, দক্ষিণ তারাবুনিয়া, চরকুমারিয়া, মহিষার, রামভদ্রপুর, আরশিনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পুকুর খননের প্রবণতা বেশি। ছয়গাঁও ও দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৫০টিরও বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে।
ছয়গাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা নিপু পালোয়ান বলেন, কিছুসংখ্যক অসাধু মাছ ব্যবসায়ী প্রশাসনের কাছে শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষ ও বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষের অনুমতি নিয়ে ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষ করছেন না। ফলে দিনদিন ধান চাষ কমছে।
রামভদ্রপুর ইউপির মৃধাকান্দি এলাকার খামার ব্যবসায়ী হাজী শাহাজাহান হাওলাদার বলেন, ‘বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা ভালো না। আবাদি জমিতে লাভ নেই। তাই আমার জমিসহ আরো কিছু জমি বাৎসরিক ইজারা নিয়ে মৎস্য খামার করি। মাছ চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়। তাই খামার করছি। আর মাছের উৎপাদন বাড়ানোও তো দরকার।’
কৃষক জয়নাল সরদার জানান, উৎপাদনে যথেষ্ট শ্রম দিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। তাই লাভের আশায় পুকুর খনন করে তুলনামূলক ঝামেলাহীন অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছেন। এসব পুকুরে তাঁরা নিজেরা মাছ চাষ করছেন, আবার কেউ অর্থের বিনিময়ে মাছচাষিদের কাছে লিজ দিচ্ছেন। তবে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
মৃধাকান্দি গ্রামের মাছচাষি সোহেল মৃধা জানান, বর্তমানে মাছের যে দাম তাতে পুকুরের লিজের টাকাই উঠছে না। অথচ কিছু মানুষ মাছ চাষে অধিক লাভ—এমন প্রলোভন দেখিয়ে জমি লিজ নিয়ে পুকুর খনন করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’—ভূমি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এ কারণে পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা বন্ধ হওয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু জমিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধান না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুকুর খনন থেকে বিরত থাকার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আল নাসীফ বলেন, কোথাও আবাদি জমি কেটে পুকুর খননের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ভেকুর ব্যাটারি জব্দ করা হচ্ছে। কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে রাতের আঁধারে পুকুর খনন করার তথ্য পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে