বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪২ জন ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করাই বেশি। গত এক দিনেই ভর্তি হয়েছে সাত রোগী।
চলতি মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে ২৫ জন। একই সময় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিচ্ছে অনেকে। এ ছাড়া ফার্মাসিস্ট ও পল্লি চিকিৎসকের কাছে ওষুধ নিতে দেখা গেছে। তবে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেলেও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তাঁরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা বেশি হচ্ছে।
এদিকে বান্দরবান সদর উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেলেও অন্য উপজেলায় এর রোগে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী।
বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৩-২৯ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪২ জন ভর্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সাতজন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয় মাসের নবজাতকসহ চারজনই শিশু। অন্য তিনজন ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সের।
গতকাল সকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে চারজন শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এরা হলো বান্দরবান পৌরসভার হাফেজঘোনা এলাকার মো. লিটনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১), আক্তার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (১০) ও কালাঘাটার মো. ফরহাদের ছেলে তাফুজুল ইসলাম (১৭)। অপরজন সদর উপজেলার গেৎশিমানি পাড়ার পাথান বমের ৬ মাস বয়সী ছেলে রোয়াতথার বম। এদের সবাইকে মঙ্গলবার রাতে ভর্তি করা হয়েছে।
নোমানের মা জানান, এর আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চার দিন ভর্তি থাকার পর নোমানকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার আবারও আক্রান্ত হলে তাকে রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়ার ফার্মেসির মালিক পল্লি চিকিৎসক সেন্টু চৌধুরী জানান, ক’দিন ধরে তাঁর ফার্মেসিতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ও তাঁর স্বজনেরা এসেছে। এর মধ্যে বয়স্করাই বেশি। মঙ্গলবার সারা দিনে ছয়-সাতজন ও বুধবার সাপ্তাহিক হাটবারে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চারজন ডায়রিয়ার ওষুধ কিনেছে।
সেন্টু চৌধুরী বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণ ও খোলাস্থানের খাবার খেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে কেউ কেউ। তবে এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার খবর তাঁর জানা নেই।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মার্চ-মে পর্যন্ত তিন মাস এবং অক্টোবর ও নভেম্বর এই দুই মাস ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হয়। সিভিল সার্জন বলেন, আবহাওয়ার কারণে বর্তমানে কিছু লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রচণ্ড গরম পড়ছে, তাই খাবার খাওয়ার সময় সচেতন হতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তদের বান্দরবান সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা দিয়েই সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) জিয়াউল হায়দার বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিনে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। নিউমোনিয়াতেও অনেকে ভর্তি হচ্ছে।
আরএমও বলেন, ‘ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি, হঠাৎ কেন ডায়রিয়া বেড়ে গেল তা জানার চেষ্টা করছি।’
এদিকে বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে জেলায় শিশু ও বয়স্ক মিলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে জেলার আলীকদমে ৬ ও থানচিতে ১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বেশি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে জেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এদিকে গত বছরের ১০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৫৬ জন।
বান্দরবানে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৪২ জন ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্করাই বেশি। গত এক দিনেই ভর্তি হয়েছে সাত রোগী।
চলতি মার্চের প্রথম দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে ২৫ জন। একই সময় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে ২৩ জন। বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিচ্ছে অনেকে। এ ছাড়া ফার্মাসিস্ট ও পল্লি চিকিৎসকের কাছে ওষুধ নিতে দেখা গেছে। তবে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে গেলেও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তাঁরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই সমস্যা বেশি হচ্ছে।
এদিকে বান্দরবান সদর উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেলেও অন্য উপজেলায় এর রোগে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী।
বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৩-২৯ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪২ জন ভর্তি হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত সাতজন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয় মাসের নবজাতকসহ চারজনই শিশু। অন্য তিনজন ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সের।
গতকাল সকালে বান্দরবান সদর হাসপাতালে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে চারজন শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এরা হলো বান্দরবান পৌরসভার হাফেজঘোনা এলাকার মো. লিটনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১), আক্তার হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (১০) ও কালাঘাটার মো. ফরহাদের ছেলে তাফুজুল ইসলাম (১৭)। অপরজন সদর উপজেলার গেৎশিমানি পাড়ার পাথান বমের ৬ মাস বয়সী ছেলে রোয়াতথার বম। এদের সবাইকে মঙ্গলবার রাতে ভর্তি করা হয়েছে।
নোমানের মা জানান, এর আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চার দিন ভর্তি থাকার পর নোমানকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার আবারও আক্রান্ত হলে তাকে রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে বান্দরবান শহরের মধ্যমপাড়ার ফার্মেসির মালিক পল্লি চিকিৎসক সেন্টু চৌধুরী জানান, ক’দিন ধরে তাঁর ফার্মেসিতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ও তাঁর স্বজনেরা এসেছে। এর মধ্যে বয়স্করাই বেশি। মঙ্গলবার সারা দিনে ছয়-সাতজন ও বুধবার সাপ্তাহিক হাটবারে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চারজন ডায়রিয়ার ওষুধ কিনেছে।
সেন্টু চৌধুরী বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণ ও খোলাস্থানের খাবার খেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে কেউ কেউ। তবে এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ার খবর তাঁর জানা নেই।
চিকিৎসকেরা বলছেন, মার্চ-মে পর্যন্ত তিন মাস এবং অক্টোবর ও নভেম্বর এই দুই মাস ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হয়। সিভিল সার্জন বলেন, আবহাওয়ার কারণে বর্তমানে কিছু লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রচণ্ড গরম পড়ছে, তাই খাবার খাওয়ার সময় সচেতন হতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া আক্রান্তদের বান্দরবান সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা দিয়েই সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) জিয়াউল হায়দার বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েকদিনে সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। নিউমোনিয়াতেও অনেকে ভর্তি হচ্ছে।
আরএমও বলেন, ‘ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি, হঠাৎ কেন ডায়রিয়া বেড়ে গেল তা জানার চেষ্টা করছি।’
এদিকে বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে জেলায় শিশু ও বয়স্ক মিলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে জেলার আলীকদমে ৬ ও থানচিতে ১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা আরও বেশি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে জেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এদিকে গত বছরের ১০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৫৬ জন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে