হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান একদিকে যেমন আরামদায়ক হয়েছে, অন্যদিকে বিপদসংকুলও হয়ে পড়েছে। আকাশ পথে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে অনেককে। দুর্ঘটনায় কেউ আহত হচ্ছেন, আবার কেউবা মারা যাচ্ছেন। পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি যখনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অথবা কর্মক্ষমতা হারাচ্ছেন তখনই সেই পরিবারের ওপর নেমে আসছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। পরিবারটি হয়ে পড়ছে সহায়সম্বলহীন।
অথচ একটু সচেতন হলেই অসহায় পরিবারটি পেতে পারত কিছুটা আর্থিক সহায়তা। সাধারণ বীমা করপোরেশনের ‘জনতা দুর্ঘটনা বিমা’ পলিসি গ্রহণ করলেই দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তি পেতে পারতেন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের আর্থিক সহায়তায় সাধারণ বীমা করপোরেশন জনতা দুর্ঘটনা বিমার প্রবর্তন করলেও বাস্তবে দেখা গেছে এই পলিসি গ্রহণে আগ্রহ নেই মানুষের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জীবনবিমা নিয়ে মানুষ যতটা সিরিয়াস, জনতা দুর্ঘটনা বিমা নিয়ে ততটা সিরিয়াস না। যে কারণে এই বিমাগ্রহীতার সংখ্যা অনেক কম। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা কম থাকায় সবাই এই বিমা সম্পর্কে অবগত নন। অথচ আকাশ পথের মতো সড়ক, রেল ও জলপথে প্রতিনিয়ত ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত তিন বছরে চট্টগ্রামে মাত্র ৫০ জন জনতা দুর্ঘটনা বিমা করেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০২১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের অধীন চট্টগ্রামে জনতা দুর্ঘটনা বিমা করেছেন মাত্র ৫ জন। এর আগে ২০২০ সালে এই বিমা করেন ১০ জন। তার আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে জনতা দুর্ঘটনা বিমা করেন ৩৫ জন।
জনতা দুর্ঘটনার মতো শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসির ক্ষেত্রেও মানুষের আগ্রহ কম। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অসংখ্য শিল্পকারখানা থাকায় সাধারণভাবে এখানে শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসি অনেক বেশি হওয়ার কথা থাকলেও সাধারণ বীমা করপোরেশনের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত ৩ বছরে এখানে মাত্র ৭টি শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে করা হয় ৫টি। এর পর ১টি করে গত দুই বছরে শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসি করা হয়েছে মাত্র ২টি।
এ বিষয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশনের চট্টগ্রাম জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোহাম্মদ সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু সাধারণ বীমা করপোরেশন নয়, বেসরকারি ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানেও মানুষ বিমা করছেন। তবে অন্য সাধারণ বিমার তুলনায় সব প্রতিষ্ঠানেই জনতা দুর্ঘটনা বিমাগ্রহীতার সংখ্যা কম, এটি সত্য। কারণ, মানুষ জীবনবিমা নিয়ে যতটা সিরিয়াস, এই বিমা নিয়ে ততটা সিরিয়াস না।’
মোহাম্মদ সেলিম আরও বলেন, ‘জনতা দুর্ঘটনা বিমা খুব দরকারি একটি পলিসি হওয়ার পরও এই বিমা নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। উন্নত রাষ্ট্রের লোকজন তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা সচেতন, আমাদের দেশের লোকজন ততটুকু সচেতন নয়।’
শুধু জনতা দুর্ঘটনা, শ্রমিক ক্ষতিপূরণ বিমা নয়, করোনায় চট্টগ্রামে সাধারণ বিমা পলিসি গ্রহণে মানুষের আগ্রহ সার্বিকভাবে কমেছে। করোনার আগে ২০১৯ সালে যেখানে সাধারণ বীমা করপোরেশনের অধীন ১১ হাজার ৫৬৩টি পলিসি করা হয়। সেখানে গত বছর ২০২১ সালে চট্টগ্রামে সাধারণ বিমা করপোরেশনের অধীন বিভিন্ন বীমা পলিসি করেছেন মাত্র ২ হাজার ৬০২ জন গ্রাহক।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের চট্টগ্রাম জোন অফিস সূত্রে জানা যায়, তিন বছরে চট্টগ্রামে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৩ হাজার ৯৬৮টি পলিসি করা হয়। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ১১ হাজার ৫৬৩টি পলিসি করা হয়। এরপর করোনা এলে ২০২০ সালে এটি কমে যায়।
এ বিষয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশন চট্টগ্রাম জোনাল অফিসের ম্যানেজার মো. সহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে গত দুই বছর সার্বিকভাবে বিমাগ্রহীতা কমেছে। তবে এটি করোনার কারণে নয়, নতুন সড়ক আইন কার্যকর করায় এখন মোটর ইনস্যুরেন্স করা কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। আগে বাধ্যতামূলক থাকায় যেই পরিমাণ মানুষ মোটর ইনস্যুরেন্স করত, এখন তার ৫ ভাগের এক ভাগ মানুষও মোটর ইনস্যুরেন্স করছে না।’
প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান একদিকে যেমন আরামদায়ক হয়েছে, অন্যদিকে বিপদসংকুলও হয়ে পড়েছে। আকাশ পথে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে অনেককে। দুর্ঘটনায় কেউ আহত হচ্ছেন, আবার কেউবা মারা যাচ্ছেন। পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি যখনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অথবা কর্মক্ষমতা হারাচ্ছেন তখনই সেই পরিবারের ওপর নেমে আসছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। পরিবারটি হয়ে পড়ছে সহায়সম্বলহীন।
অথচ একটু সচেতন হলেই অসহায় পরিবারটি পেতে পারত কিছুটা আর্থিক সহায়তা। সাধারণ বীমা করপোরেশনের ‘জনতা দুর্ঘটনা বিমা’ পলিসি গ্রহণ করলেই দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তি পেতে পারতেন ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের আর্থিক সহায়তায় সাধারণ বীমা করপোরেশন জনতা দুর্ঘটনা বিমার প্রবর্তন করলেও বাস্তবে দেখা গেছে এই পলিসি গ্রহণে আগ্রহ নেই মানুষের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জীবনবিমা নিয়ে মানুষ যতটা সিরিয়াস, জনতা দুর্ঘটনা বিমা নিয়ে ততটা সিরিয়াস না। যে কারণে এই বিমাগ্রহীতার সংখ্যা অনেক কম। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণা কম থাকায় সবাই এই বিমা সম্পর্কে অবগত নন। অথচ আকাশ পথের মতো সড়ক, রেল ও জলপথে প্রতিনিয়ত ঘটছে অসংখ্য দুর্ঘটনা। হতাহত হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত তিন বছরে চট্টগ্রামে মাত্র ৫০ জন জনতা দুর্ঘটনা বিমা করেছেন। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০২১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের অধীন চট্টগ্রামে জনতা দুর্ঘটনা বিমা করেছেন মাত্র ৫ জন। এর আগে ২০২০ সালে এই বিমা করেন ১০ জন। তার আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে জনতা দুর্ঘটনা বিমা করেন ৩৫ জন।
জনতা দুর্ঘটনার মতো শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসির ক্ষেত্রেও মানুষের আগ্রহ কম। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অসংখ্য শিল্পকারখানা থাকায় সাধারণভাবে এখানে শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসি অনেক বেশি হওয়ার কথা থাকলেও সাধারণ বীমা করপোরেশনের খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত ৩ বছরে এখানে মাত্র ৭টি শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে করা হয় ৫টি। এর পর ১টি করে গত দুই বছরে শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পলিসি করা হয়েছে মাত্র ২টি।
এ বিষয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশনের চট্টগ্রাম জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোহাম্মদ সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু সাধারণ বীমা করপোরেশন নয়, বেসরকারি ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানেও মানুষ বিমা করছেন। তবে অন্য সাধারণ বিমার তুলনায় সব প্রতিষ্ঠানেই জনতা দুর্ঘটনা বিমাগ্রহীতার সংখ্যা কম, এটি সত্য। কারণ, মানুষ জীবনবিমা নিয়ে যতটা সিরিয়াস, এই বিমা নিয়ে ততটা সিরিয়াস না।’
মোহাম্মদ সেলিম আরও বলেন, ‘জনতা দুর্ঘটনা বিমা খুব দরকারি একটি পলিসি হওয়ার পরও এই বিমা নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। উন্নত রাষ্ট্রের লোকজন তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা সচেতন, আমাদের দেশের লোকজন ততটুকু সচেতন নয়।’
শুধু জনতা দুর্ঘটনা, শ্রমিক ক্ষতিপূরণ বিমা নয়, করোনায় চট্টগ্রামে সাধারণ বিমা পলিসি গ্রহণে মানুষের আগ্রহ সার্বিকভাবে কমেছে। করোনার আগে ২০১৯ সালে যেখানে সাধারণ বীমা করপোরেশনের অধীন ১১ হাজার ৫৬৩টি পলিসি করা হয়। সেখানে গত বছর ২০২১ সালে চট্টগ্রামে সাধারণ বিমা করপোরেশনের অধীন বিভিন্ন বীমা পলিসি করেছেন মাত্র ২ হাজার ৬০২ জন গ্রাহক।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের চট্টগ্রাম জোন অফিস সূত্রে জানা যায়, তিন বছরে চট্টগ্রামে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৩ হাজার ৯৬৮টি পলিসি করা হয়। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ১১ হাজার ৫৬৩টি পলিসি করা হয়। এরপর করোনা এলে ২০২০ সালে এটি কমে যায়।
এ বিষয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশন চট্টগ্রাম জোনাল অফিসের ম্যানেজার মো. সহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে গত দুই বছর সার্বিকভাবে বিমাগ্রহীতা কমেছে। তবে এটি করোনার কারণে নয়, নতুন সড়ক আইন কার্যকর করায় এখন মোটর ইনস্যুরেন্স করা কমিয়ে দিয়েছে মানুষ। আগে বাধ্যতামূলক থাকায় যেই পরিমাণ মানুষ মোটর ইনস্যুরেন্স করত, এখন তার ৫ ভাগের এক ভাগ মানুষও মোটর ইনস্যুরেন্স করছে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে