কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
কলারোয়ায় মাইকিং করে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিতে আহ্বান করা হয়। জানানো হয়, এরপর টিকার প্রথম ডোজ আর দেওয়া হবে না। এ মাইকিংয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষেরা ভিড় করছেন উপজেলার টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, করোনার টিকা নিতে আসা দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষসহ শিশু কিশোরেরা। তবে টিকা নিতে আসা অধিকাংশ নারী-পুরুষের মুখে ছিল না মাস্ক এমনকি সামাজিক দূরত্ব। হঠাৎ এত মানুষের করোনার টিকা নিতে আসায় ভিড় সামাল দিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশের বিভিন্ন টিম মোতায়েন করে শৃঙ্খলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করছে তারা। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা স্বাস্থ্য বিভাগের মাইকিং শুনে টিকার প্রথম ডোজ নিতে এসেছেন।
উপজেলার ভিখালি গ্রাম থেকে আসা জাহিদ হাসান জানান, তিনি ভুলে মাস্ক বাড়িতে রেখে এসেছেন। মাঠে কাজ থাকায় আগে টিকা নিতে পারেননি। তবে আগামী ২৬ তারিখের পরে টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেবে সরকার এমন ঘোষণা শুনেই তড়িঘড়ি করে টিকা দিতে এসেছেন।
বিক্রমপুর গ্রাম থেকে আসা রাজু আহমেদ বলেন, ‘আরও কয়েক দিন পরে টিকা নেব ভেবেছিলাম কিন্তু মাইকিংয়ে শুনেছি কয়দিন পরে নাকি টিকা আর পাওয়া যাবে না। তাই গতকাল টিকার নিবন্ধন করেছি। দেড় ঘণ্টা ধরে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন যে এ লাইন শেষ হবে আর কখন টিকা দিতে পারব জানি না।’
ওয়ারিয়া গ্রাম থেকে আসা রিতা রানি ভারতী বলেন, ‘এর আগেও টিকা নিয়েছি। তখন এত ভিড় বা মানুষের মধ্যে টিকা নিতে এত আগ্রহ ছিল না। কয়দিন পরে নাকি টিকা নিতে টাকা লাগবে এমন খবর শুনে টিকাকেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষেরা।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, টিকা নিতে আসা মানুষদের বারবার স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্ক করা হলেও কেউ তা মানছে না। তবে টিকা নিতে এত মানুষ আগে দেখা যায়নি। জরুরি মাইকিং করার পরেই গণটিকা নিতে মানুষের মাঝে এমন আবেগ ও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ভিড় সামলাতে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান বলেন, উপজেলায় জরুরি মাইকিংয়ের পরেই মানুষের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। টিকা নিতে মানুষ যে এখনো এত মানুষ বাকি ছিল তা আশ্চর্যজনক বিষয়। উপজেলার ৩৬টি কেন্দ্রে এই গণটিকা দেওয়া হবে আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত। যত মানুষ বাকি আছে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।
জিয়াউর আরও বলেন, কেউ যদি নিবন্ধন না করে থাকে তবু টিকা নিতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে করে আনতে হবে। তবে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ইতিমধ্যে নিয়েছেন তাঁরা পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে টিকা নিতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, উপজেলার সবাইকে টিকা গ্রহণ করতে হবে। সনদবিহীন কোনো ব্যক্তিকে অফিস-আদালত থেকে সেবা দেওয়া হবে না এমনকি চিকিৎসাসেবা নিতে গেলেও তাকে টিকা সনদ দেখাতে হবে। গণটিকা প্রদান কার্যক্রমের আজ প্রথম দিনে উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৫২ জন ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সকল ইউনিয়নের মধ্যে গণটিকা এখানে ১ হাজার ৬৫২ জনকে দিয়ে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারিতে আবারও স্ব-স্ব ৩৬ টিকাকেন্দ্রে গণটিকা দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘সবাইকেই টিকা নিতে হবে। যদি কেউ গাফিলতি করে করোনার টিকা গ্রহণ না করে তাহলে তাঁর বাড়িতে সিল মেরে দেওয়া হবে। এবং তাকে সকল প্রকার সেবা থেকে বঞ্চিত করা হবে।’
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতনতার বিধি মানা উচিত। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও টিকাকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ কাজ করছে।
কলারোয়ায় মাইকিং করে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিতে আহ্বান করা হয়। জানানো হয়, এরপর টিকার প্রথম ডোজ আর দেওয়া হবে না। এ মাইকিংয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষেরা ভিড় করছেন উপজেলার টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, করোনার টিকা নিতে আসা দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন নারী-পুরুষসহ শিশু কিশোরেরা। তবে টিকা নিতে আসা অধিকাংশ নারী-পুরুষের মুখে ছিল না মাস্ক এমনকি সামাজিক দূরত্ব। হঠাৎ এত মানুষের করোনার টিকা নিতে আসায় ভিড় সামাল দিতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশের বিভিন্ন টিম মোতায়েন করে শৃঙ্খলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করছে তারা। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা স্বাস্থ্য বিভাগের মাইকিং শুনে টিকার প্রথম ডোজ নিতে এসেছেন।
উপজেলার ভিখালি গ্রাম থেকে আসা জাহিদ হাসান জানান, তিনি ভুলে মাস্ক বাড়িতে রেখে এসেছেন। মাঠে কাজ থাকায় আগে টিকা নিতে পারেননি। তবে আগামী ২৬ তারিখের পরে টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেবে সরকার এমন ঘোষণা শুনেই তড়িঘড়ি করে টিকা দিতে এসেছেন।
বিক্রমপুর গ্রাম থেকে আসা রাজু আহমেদ বলেন, ‘আরও কয়েক দিন পরে টিকা নেব ভেবেছিলাম কিন্তু মাইকিংয়ে শুনেছি কয়দিন পরে নাকি টিকা আর পাওয়া যাবে না। তাই গতকাল টিকার নিবন্ধন করেছি। দেড় ঘণ্টা ধরে টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন যে এ লাইন শেষ হবে আর কখন টিকা দিতে পারব জানি না।’
ওয়ারিয়া গ্রাম থেকে আসা রিতা রানি ভারতী বলেন, ‘এর আগেও টিকা নিয়েছি। তখন এত ভিড় বা মানুষের মধ্যে টিকা নিতে এত আগ্রহ ছিল না। কয়দিন পরে নাকি টিকা নিতে টাকা লাগবে এমন খবর শুনে টিকাকেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষেরা।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, টিকা নিতে আসা মানুষদের বারবার স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্ক করা হলেও কেউ তা মানছে না। তবে টিকা নিতে এত মানুষ আগে দেখা যায়নি। জরুরি মাইকিং করার পরেই গণটিকা নিতে মানুষের মাঝে এমন আবেগ ও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। ভিড় সামলাতে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান বলেন, উপজেলায় জরুরি মাইকিংয়ের পরেই মানুষের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। টিকা নিতে মানুষ যে এখনো এত মানুষ বাকি ছিল তা আশ্চর্যজনক বিষয়। উপজেলার ৩৬টি কেন্দ্রে এই গণটিকা দেওয়া হবে আগামী ২৬ তারিখ পর্যন্ত। যত মানুষ বাকি আছে সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।
জিয়াউর আরও বলেন, কেউ যদি নিবন্ধন না করে থাকে তবু টিকা নিতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে করে আনতে হবে। তবে যারা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ইতিমধ্যে নিয়েছেন তাঁরা পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে টিকা নিতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, উপজেলার সবাইকে টিকা গ্রহণ করতে হবে। সনদবিহীন কোনো ব্যক্তিকে অফিস-আদালত থেকে সেবা দেওয়া হবে না এমনকি চিকিৎসাসেবা নিতে গেলেও তাকে টিকা সনদ দেখাতে হবে। গণটিকা প্রদান কার্যক্রমের আজ প্রথম দিনে উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৫২ জন ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সকল ইউনিয়নের মধ্যে গণটিকা এখানে ১ হাজার ৬৫২ জনকে দিয়ে সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারিতে আবারও স্ব-স্ব ৩৬ টিকাকেন্দ্রে গণটিকা দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘সবাইকেই টিকা নিতে হবে। যদি কেউ গাফিলতি করে করোনার টিকা গ্রহণ না করে তাহলে তাঁর বাড়িতে সিল মেরে দেওয়া হবে। এবং তাকে সকল প্রকার সেবা থেকে বঞ্চিত করা হবে।’
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতনতার বিধি মানা উচিত। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও টিকাকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ কাজ করছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে