সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রাজধানীর ত্রিমোহনী টেকপাড়া এলাকায় ১০ বছর আগেও ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হতো। এখন সেখানে সারি সারি বাসাবাড়িসহ নানা স্থাপনা। আবাদযোগ্য কিছু জমি থাকলেও তা খালি পড়ে আছে। কেউ কেউ খালি জমি বালু ভরাট করে রেখেছেন প্লট হিসেবে বিক্রির জন্য। আবার খালি জায়গা ভাড়া দেওয়ার জন্য অনেকে সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিছু জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম। অথচ সরকারপ্রধানের অনুশাসন রয়েছে, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।
টেকপাড়ার বাসিন্দা আক্তার হোসেন (৩২) জানান, নিজেদের দুই বিঘা জমিসহ কিছু বর্গা জমিতে তাঁর পরিবার বছর দশেক আগেও ধান চাষ করতেন। চাষাবাদের সেই জায়গায় এখন ঘর তোলা হয়েছে। কিছু জমি খালি পড়ে আছে। আক্তার হোসেন বলেন, চাষে আর লাভ হয় না। খরচ বেশি, সেই তুলনায় উৎপাদন কম। তা ছাড়া ফসল ফলানোর জন্য পানির ব্যবস্থাও নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে আবাদযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৫১ হেক্টর। সম্প্রতি আবাদের আওতায় এসেছে ৫৫ হাজার ৫৬ হেক্টর জমি। আবাদযোগ্য পতিত জমির মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমি এখনো পড়ে আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকার উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. আফিয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা জেলায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর আবাদযোগ্য পতিত জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ হেক্টরকে আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। তবে ঢাকায় আবাদযোগ্য জমির বড় অংশ জলাভূমি হওয়ায় কেবল রবি মৌসুমে চাষাবাদ করা যায়।’
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে আবাদযোগ্য পতিত জমির মধ্যে ২৩ হাজার ৭২০ হেক্টর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদযোগ্য জমি পড়ে আছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের। এই করপোরেশনের ৭ হাজার ২৫২ হেক্টর জমি অব্যবহৃত আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাদযোগ্য জমি পড়ে আছে ১ হাজার ৭৮৩ হেক্টর।
এ ছাড়া বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের পাটকলগুলোর আবাদযোগ্য পতিত জমি ৩৫৫ হেক্টর এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২৬৭ হেক্টর। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি জমিতে চাষাবাদ নিয়ে বেশ জটিলতা আছে। জমিতে কে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়ে কর্তারা উদ্বিগ্ন থাকেন। উৎপাদিত ফসল কে ভোগ করবে, তা নিয়েও রয়েছে টানাপোড়েন। ফলে আবাদযোগ্য জায়গা পতিতই পড়ে থাকে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, কর্মকর্তারা একটু উদার হলেই সম্ভব হবে। তাঁরা যদি পার্শ্ববর্তী চাষিদের নিয়মের মধ্যে থেকে বর্গা দেন, তাহলে জমি আর পতিত থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আবাদযোগ্য পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আবাদের আওতায় আসা জমিতে ভালো ফলন হচ্ছে।’
বেসরকারি মালিকানাধীন পাহাড়, চর, হাওর ও বসতবাড়ির অনাবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ১ হাজার ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে বসতবাড়িতে আছে ৩২ হাজার ৭৬৩ হেক্টর জমি।
বসতবাড়ির পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্প (ইফনাপ)’ নেয়। প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪১ হেক্টর অনাবাদি পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে।
প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৭৫ শতাংশ। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রকল্পের সহযোগিতা শেষ হওয়ার পরে অনেকে আর আগ্রহ দেখায় না। পারিবারিক পুষ্টি নিয়েও সচেতনতার অভাব আছে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘সারা বিশ্বে খাদ্যসংকট রয়েছে। বিভিন্ন কারণে উৎপাদন কমছে। গত তিন বছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ হারে। অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে পতিত জমি চাষের আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।’
আবাদযোগ্য পতিত জমি নিয়ে অবশ্য ভিন্নমত দিয়েছেন সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক। তিনি বলেন, চাষাবাদ হওয়া মোট জমির তুলনায় আবাদযোগ্য পতিত জমি খুব বেশি নয়। আবাদযোগ্য পতিত জমি সিলেটে বেশি। সেখানকার অনেক জমির মালিক বিদেশ থাকায় তাঁরা কাউকে চাষাবাদ করতে দিতে ভরসা পান না। তবে পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির জন্য আবাদযোগ্য কিছু জায়গা উন্মুক্ত থাকা ভালো।
রাজধানীর ত্রিমোহনী টেকপাড়া এলাকায় ১০ বছর আগেও ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হতো। এখন সেখানে সারি সারি বাসাবাড়িসহ নানা স্থাপনা। আবাদযোগ্য কিছু জমি থাকলেও তা খালি পড়ে আছে। কেউ কেউ খালি জমি বালু ভরাট করে রেখেছেন প্লট হিসেবে বিক্রির জন্য। আবার খালি জায়গা ভাড়া দেওয়ার জন্য অনেকে সাইনবোর্ডও ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিছু জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে গাছের গুঁড়ি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম। অথচ সরকারপ্রধানের অনুশাসন রয়েছে, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে।
টেকপাড়ার বাসিন্দা আক্তার হোসেন (৩২) জানান, নিজেদের দুই বিঘা জমিসহ কিছু বর্গা জমিতে তাঁর পরিবার বছর দশেক আগেও ধান চাষ করতেন। চাষাবাদের সেই জায়গায় এখন ঘর তোলা হয়েছে। কিছু জমি খালি পড়ে আছে। আক্তার হোসেন বলেন, চাষে আর লাভ হয় না। খরচ বেশি, সেই তুলনায় উৎপাদন কম। তা ছাড়া ফসল ফলানোর জন্য পানির ব্যবস্থাও নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে আবাদযোগ্য পতিত জমির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৫১ হেক্টর। সম্প্রতি আবাদের আওতায় এসেছে ৫৫ হাজার ৫৬ হেক্টর জমি। আবাদযোগ্য পতিত জমির মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমি এখনো পড়ে আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকার উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. আফিয়া আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা জেলায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ হেক্টর আবাদযোগ্য পতিত জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ হেক্টরকে আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। তবে ঢাকায় আবাদযোগ্য জমির বড় অংশ জলাভূমি হওয়ায় কেবল রবি মৌসুমে চাষাবাদ করা যায়।’
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে আবাদযোগ্য পতিত জমির মধ্যে ২৩ হাজার ৭২০ হেক্টর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদযোগ্য জমি পড়ে আছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের। এই করপোরেশনের ৭ হাজার ২৫২ হেক্টর জমি অব্যবহৃত আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাদযোগ্য জমি পড়ে আছে ১ হাজার ৭৮৩ হেক্টর।
এ ছাড়া বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের পাটকলগুলোর আবাদযোগ্য পতিত জমি ৩৫৫ হেক্টর এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২৬৭ হেক্টর। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি জমিতে চাষাবাদ নিয়ে বেশ জটিলতা আছে। জমিতে কে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়ে কর্তারা উদ্বিগ্ন থাকেন। উৎপাদিত ফসল কে ভোগ করবে, তা নিয়েও রয়েছে টানাপোড়েন। ফলে আবাদযোগ্য জায়গা পতিতই পড়ে থাকে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, কর্মকর্তারা একটু উদার হলেই সম্ভব হবে। তাঁরা যদি পার্শ্ববর্তী চাষিদের নিয়মের মধ্যে থেকে বর্গা দেন, তাহলে জমি আর পতিত থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ‘আবাদযোগ্য পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আবাদের আওতায় আসা জমিতে ভালো ফলন হচ্ছে।’
বেসরকারি মালিকানাধীন পাহাড়, চর, হাওর ও বসতবাড়ির অনাবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ১ হাজার ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে বসতবাড়িতে আছে ৩২ হাজার ৭৬৩ হেক্টর জমি।
বসতবাড়ির পতিত জমি আবাদের আওতায় আনতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ‘অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপন প্রকল্প (ইফনাপ)’ নেয়। প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪১ হেক্টর অনাবাদি পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে।
প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৭৫ শতাংশ। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রকল্পের সহযোগিতা শেষ হওয়ার পরে অনেকে আর আগ্রহ দেখায় না। পারিবারিক পুষ্টি নিয়েও সচেতনতার অভাব আছে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘সারা বিশ্বে খাদ্যসংকট রয়েছে। বিভিন্ন কারণে উৎপাদন কমছে। গত তিন বছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ হারে। অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে পতিত জমি চাষের আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।’
আবাদযোগ্য পতিত জমি নিয়ে অবশ্য ভিন্নমত দিয়েছেন সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক। তিনি বলেন, চাষাবাদ হওয়া মোট জমির তুলনায় আবাদযোগ্য পতিত জমি খুব বেশি নয়। আবাদযোগ্য পতিত জমি সিলেটে বেশি। সেখানকার অনেক জমির মালিক বিদেশ থাকায় তাঁরা কাউকে চাষাবাদ করতে দিতে ভরসা পান না। তবে পরিবেশ ও প্রাণ-প্রকৃতির জন্য আবাদযোগ্য কিছু জায়গা উন্মুক্ত থাকা ভালো।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে