নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে তাঁর ও তাঁর স্ত্রী আফসানা জেসমিন, শ্বশুর আহম্মেদ আলী ও শাশুড়ি মমতাজ বেগমসহ আত্মীয়স্বজনের নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ ১৯ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক।
এরই মধ্যে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল, তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে থাকা ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। আদালতের একই আদেশে তাঁদের নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক হিসাব ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেছেন, করদাতাদের ভয়ভীতি ও বদলি-বাণিজ্যের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে ফয়সালের বিরুদ্ধে। তাঁর ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানে কাজ করছে দুদক।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে আবু মাহমুদ ফয়সালের মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বক্তব্য নিতে তাঁর মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।
কত সম্পদ ফয়সালের
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, রাজস্ব কর্মকর্তা ফয়সাল নিজের চেয়ে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নামেই বেশি সম্পদ গড়েছেন। তবে এসব সম্পদ কেনাবেচায় অর্থ পরিশোধ করেছেন নিজেই। খুলনার খান এ সবুর রোডের মুজগলিতে দুটি বাড়ি করেছেন। নিজ এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভূসম্পত্তি কেনার তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ফয়সাল তাঁর স্ত্রীর নামে দুটি পাঁচ কাঠার প্লট কিনেছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চারটি দলিলে কিনেছেন কয়েক কোটি টাকার জমি।
ফয়সাল রাজধানীর বেইলি রোডের যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেটি তাঁর শ্বশুর আহম্মেদ আলীর নামে। ২ হাজার ৯৯০ বর্গফুটের এই ফ্ল্যাট তিনি কিনেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। এর বাজার মূল্য দেখিয়েছেন ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা পরিশোধ করেছেন ফয়সাল নিজ ব্যাংক হিসাব থেকেই।
দুদক সূত্র বলেছে, ফয়সাল বেইলি রোডের ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের ক্রয়মূল্য দেখিয়েছেন ৩ হাজার টাকা। তবে দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, এই ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে ফ্ল্যাটটির বাজারমূল্য ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা।
শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামেও কয়েক কোটি টাকা দিয়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি ১০ কাঠার একটি প্লট কিনেছেন এই রাজস্ব কর্মকর্তা। তাঁদের নামে প্রায় ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধানও পেয়েছে দুদক।
এনবিআরের প্রথম সচিব আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে গত বছর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এক বছর অনুসন্ধানের পর তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই গত বৃহস্পতিবার এসব সম্পদ ক্রোক ও জব্দের আবেদন করে সংস্থাটি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে তাঁর ও তাঁর স্ত্রী আফসানা জেসমিন, শ্বশুর আহম্মেদ আলী ও শাশুড়ি মমতাজ বেগমসহ আত্মীয়স্বজনের নামে স্থাবর-অস্থাবরসহ ১৯ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক।
এরই মধ্যে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফয়সাল, তাঁর স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়ির নামে থাকা ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। আদালতের একই আদেশে তাঁদের নামে থাকা ১৯টি ব্যাংক হিসাব ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেছেন, করদাতাদের ভয়ভীতি ও বদলি-বাণিজ্যের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে ফয়সালের বিরুদ্ধে। তাঁর ঘুষ ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানে কাজ করছে দুদক।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে আবু মাহমুদ ফয়সালের মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বক্তব্য নিতে তাঁর মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি জবাব দেননি।
কত সম্পদ ফয়সালের
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, রাজস্ব কর্মকর্তা ফয়সাল নিজের চেয়ে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নামেই বেশি সম্পদ গড়েছেন। তবে এসব সম্পদ কেনাবেচায় অর্থ পরিশোধ করেছেন নিজেই। খুলনার খান এ সবুর রোডের মুজগলিতে দুটি বাড়ি করেছেন। নিজ এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভূসম্পত্তি কেনার তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর ভাটারা এলাকায় ফয়সাল তাঁর স্ত্রীর নামে দুটি পাঁচ কাঠার প্লট কিনেছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চারটি দলিলে কিনেছেন কয়েক কোটি টাকার জমি।
ফয়সাল রাজধানীর বেইলি রোডের যে ফ্ল্যাটে থাকেন, সেটি তাঁর শ্বশুর আহম্মেদ আলীর নামে। ২ হাজার ৯৯০ বর্গফুটের এই ফ্ল্যাট তিনি কিনেছেন ২০২৩ সালের অক্টোবরে। এর বাজার মূল্য দেখিয়েছেন ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা পরিশোধ করেছেন ফয়সাল নিজ ব্যাংক হিসাব থেকেই।
দুদক সূত্র বলেছে, ফয়সাল বেইলি রোডের ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের ক্রয়মূল্য দেখিয়েছেন ৩ হাজার টাকা। তবে দুদক অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, এই ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। সে হিসেবে ফ্ল্যাটটির বাজারমূল্য ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা।
শাশুড়ি মমতাজ বেগমের নামেও কয়েক কোটি টাকা দিয়ে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি ১০ কাঠার একটি প্লট কিনেছেন এই রাজস্ব কর্মকর্তা। তাঁদের নামে প্রায় ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধানও পেয়েছে দুদক।
এনবিআরের প্রথম সচিব আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে গত বছর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এক বছর অনুসন্ধানের পর তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই গত বৃহস্পতিবার এসব সম্পদ ক্রোক ও জব্দের আবেদন করে সংস্থাটি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে