কামাল হোসেন, কয়রা
কয়রা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য ৬টি আবাসিক ভবন রয়েছে। এর সব কটিই বসবাসের অযোগ্য। ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন কর্মকর্তারা। বাইরে ভালো বাসা না থাকায় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাঁদের। আবাসন সংকটের কারণে অনেক কর্মকর্তা বদলি হওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার নতুন যাঁরা আসছেন, তাঁদের অনেকেই একই সমস্যার কথা চিন্তা করে যোগদান না করে বদলির তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন।
গত রোববার ভবনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সেই সঙ্গে ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝে ও সিঁড়ির একই অবস্থা। বেশির ভাগ দরজা-জানালা ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলে সব ভবনের ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অনেকেই ছাদ দিয়ে পানি পড়া ঠেকাতে পলিথিন টাঙিয়েছেন। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুটি ভবন সম্পূর্ণ খালি রয়েছে। অন্য চারটিতে কিছু লোক থাকছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য ৬টি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর পৃথক দুটি বাংলো নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া কর্মচারীদের থাকার জন্য আলাদা ডরমিটরি ভবন রয়েছে। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এ ভবনগুলোর নাম দেওয়া হয় সুন্দরী, গেওয়া, বাইন, কাঁকড়া, গড়ান, ধুন্দুল ইত্যাদি। বর্তমানে এসব ভবনের কোনোটিই বাসযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
থাকার জায়গার অভাবে অনেকেই এসব ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। আবার অনেক কর্মকর্তাকে পরিবার নিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কোয়ার্টারে ওঠার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। যে দিন উঠতে ছেয়েছিলাম সেই দিনই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। পরিবার নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে বাস করা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বাসা নিয়েছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘এক সপ্তাহ হলো এ উপজেলায় যোগদান করেছি। সরকারি কোয়ার্টারে থাকার মতো অবস্থা না থাকায় অফিসার্স ক্লাবে উঠেছি। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে আসতে পারছি না।’
উপজেলা সমবায় অফিসার শ ম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আবাসন সংকটের কারণে এখানে যোগদানের পরপরই একটি আবাসিক হোটেলে রয়েছি। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় ছয় মাস ধরে হোটেলে থাকতে হচ্ছে। এভাবে আর কত দিন। বদলির চেষ্টা করছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাইরে বাসাভাড়া তুলনামূলক বেশি এবং অফিস থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে কোয়ার্টারে থাকতে হচ্ছে। সেখানে বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কারণে পরিবার আনতে সাহস পাচ্ছি না।’
কয়রা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, ‘কর্মকর্তাদের থাকার জন্য প্রতিটি ভবনই বর্তমানে পরিত্যক্ত বলা চলে। তারপরও কর্মকর্তাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই সেখানে থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।’
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘ভবনগুলোর অবস্থা এতটা খারাপ যে সেখানে থাকার মতো পরিবেশ নেই। আমরা ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের আগামী সভায় রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
কয়রা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য ৬টি আবাসিক ভবন রয়েছে। এর সব কটিই বসবাসের অযোগ্য। ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন কর্মকর্তারা। বাইরে ভালো বাসা না থাকায় পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাঁদের। আবাসন সংকটের কারণে অনেক কর্মকর্তা বদলি হওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার নতুন যাঁরা আসছেন, তাঁদের অনেকেই একই সমস্যার কথা চিন্তা করে যোগদান না করে বদলির তদবিরে ব্যস্ত রয়েছেন।
গত রোববার ভবনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সেই সঙ্গে ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝে ও সিঁড়ির একই অবস্থা। বেশির ভাগ দরজা-জানালা ভাঙাচোরা। বৃষ্টি হলে সব ভবনের ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অনেকেই ছাদ দিয়ে পানি পড়া ঠেকাতে পলিথিন টাঙিয়েছেন। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দুটি ভবন সম্পূর্ণ খালি রয়েছে। অন্য চারটিতে কিছু লোক থাকছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের থাকার জন্য ৬টি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর পৃথক দুটি বাংলো নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া কর্মচারীদের থাকার জন্য আলাদা ডরমিটরি ভবন রয়েছে। সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এ ভবনগুলোর নাম দেওয়া হয় সুন্দরী, গেওয়া, বাইন, কাঁকড়া, গড়ান, ধুন্দুল ইত্যাদি। বর্তমানে এসব ভবনের কোনোটিই বাসযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
থাকার জায়গার অভাবে অনেকেই এসব ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। আবার অনেক কর্মকর্তাকে পরিবার নিয়ে বাইরে বাসা ভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কোয়ার্টারে ওঠার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। যে দিন উঠতে ছেয়েছিলাম সেই দিনই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। পরিবার নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে বাস করা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে বাইরে বাসা নিয়েছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘এক সপ্তাহ হলো এ উপজেলায় যোগদান করেছি। সরকারি কোয়ার্টারে থাকার মতো অবস্থা না থাকায় অফিসার্স ক্লাবে উঠেছি। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে আসতে পারছি না।’
উপজেলা সমবায় অফিসার শ ম রাশিদুল আলম বলেন, ‘আবাসন সংকটের কারণে এখানে যোগদানের পরপরই একটি আবাসিক হোটেলে রয়েছি। বাইরে ভালো বাসা না পাওয়ায় ছয় মাস ধরে হোটেলে থাকতে হচ্ছে। এভাবে আর কত দিন। বদলির চেষ্টা করছি।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাইরে বাসাভাড়া তুলনামূলক বেশি এবং অফিস থেকে অনেক দূরে হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে কোয়ার্টারে থাকতে হচ্ছে। সেখানে বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কারণে পরিবার আনতে সাহস পাচ্ছি না।’
কয়রা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, ‘কর্মকর্তাদের থাকার জন্য প্রতিটি ভবনই বর্তমানে পরিত্যক্ত বলা চলে। তারপরও কর্মকর্তাদের অনেকটা বাধ্য হয়েই সেখানে থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।’
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘ভবনগুলোর অবস্থা এতটা খারাপ যে সেখানে থাকার মতো পরিবেশ নেই। আমরা ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের আগামী সভায় রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে