তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
নির্বাচন মানেই কথার যুদ্ধ। পশ্চিমা দেশগুলোয় ভোটের আগে রীতিমতো আয়োজন করে বাগ্যুদ্ধ হয়। প্রতিপক্ষের সমালোচনা, টিপ্পনী কাটা—এসব নির্বাচনী সংস্কৃতিরই অংশ। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের কথার লড়াই পরিমিতিবোধ ছাড়িয়ে গেছে। ভোটের প্রচারে দেওয়া বক্তৃতায় অনেকেই প্রতিপক্ষকে রীতিমতো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। কেউ কেউ ভয় দেখাচ্ছেন ভোটারদেরও। এতে বাড়ছে আতঙ্ক, উত্তেজনা ও সহিংসতা।
এবারের নির্বাচনে ২৬৪টি আসনে প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে কমপক্ষে ১০০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন স্থানীয় পর্যায়ে দলের প্রভাবশালী নেতারা। কেউ কাউকে মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নন। তাই হুমকি-ধমকি দিয়ে হলেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী আওয়ামী লীগ করলেও তাঁরা এখন একে অপরকে বিশ্বাস করছেন না। তাই হামলা করছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। এ সংঘাত দিন দিন আরও বাড়বে। নির্বাচনের দিন দেখা যাবে, সবাই সবার পেশিশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে। তখন নির্বাচন কমিশন, সরকারের কিছুই করার থাকবে না।
আজকের পত্রিকার জেলা, উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে দেশের অনেক জায়গায় প্রতিপক্ষ ও ভোটারদের প্রতি হুমকির তথ্য উঠে এসেছে।
নির্বাচনী সভায় ‘ঘাড় মটকে দেওয়ার’ হুমকি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন লালমনিরহাট ২ (আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। গত শনিবার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা হানিফের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমার ঘাড় মটকে দেব। তুমি এখনো লোক চিনো নাই।’
হুমকি-ধমকির ঘটনা ঘটছে লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম হাতীবান্ধা) আসনেও। সেখানে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বিরোধী পক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘মোতাহার হোসেনের নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মার্কার লোক যেন এই এলাকায় ঢুকতে না পারে।’
নৌকায় ভোট না দিলে সোজা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কুষ্টিয়া-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা। সোমবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া এলাকায় এক নির্বাচনী সভায় তিনি ভোটারদের উদ্দেশে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে বাদশাকে বলতে শোনা যায়, ‘যার মনে যা-ই থাকুক না কেন, যেই নাচানাচি-গুঁতোগুঁতি করুক না কেন, নৌকা মার্কায় বাদশাকে ভোট দিতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। উল্টাপাল্টা দু-একজন করছে, সোজা করে দেব কিন্তু।...এখানে যারা আছে, ভোট আমাকে দিতে হবে, পরিষ্কার কথা।’
এর আগে কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের নির্বাচনী সভায় নারী ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে এক কাউন্সিলর বলেন, ‘নৌকার বাইরে কোনো প্রার্থীকে ভোট দিলে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেব।’
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জকে নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে সব সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা বাতিল হয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়েছেন চাপড়া ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক মঞ্জু।
বরগুনার আমতলীতে ‘নৌকার বাইরে কোনো ভোট হবে না, কেউ এজেন্ট দিতে পারবে না’ বলে হুমকি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান। গত সোমবার সন্ধ্যায় বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নির্বাচনী সভায় এই হুমকি দেন তিনি। এ সময় এমপি শম্ভুও উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড়-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের ভোটের পর পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু। গত রোববার রাতে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউপির কাজীরহাট বাজারে নৌকার পক্ষে এক নির্বাচনী সভায় এমন হুমকি দেন তিনি।
নাটোর-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ ভোট চাইলে তাঁকে বেঁধে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গত রোববার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৎস্যজীবী পাড়ায় এক নির্বাচনী সভার এমন একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সভায় তিনি বলেন, ‘কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান এসে ট্রাক মার্কার ভোট চাইলে তাঁকে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখবেন।’
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সমর্থকদের মামলা নেওয়ায় বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকে ফোন করে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ভোটের মাঠে এসব হুমকি-ধমকির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল ফজল মীর গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় দেখভালের জন্য একটি মনিটরিং সেন্টার খোলা হয়েছে। আমরা কোনো ধরনের অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা গত রোববার নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বলেছেন, ‘ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিলে কিংবা হুমকি-ধমকি দিলে দায়ী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা সচেষ্ট।’
নির্বাচন মানেই কথার যুদ্ধ। পশ্চিমা দেশগুলোয় ভোটের আগে রীতিমতো আয়োজন করে বাগ্যুদ্ধ হয়। প্রতিপক্ষের সমালোচনা, টিপ্পনী কাটা—এসব নির্বাচনী সংস্কৃতিরই অংশ। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের কথার লড়াই পরিমিতিবোধ ছাড়িয়ে গেছে। ভোটের প্রচারে দেওয়া বক্তৃতায় অনেকেই প্রতিপক্ষকে রীতিমতো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। কেউ কেউ ভয় দেখাচ্ছেন ভোটারদেরও। এতে বাড়ছে আতঙ্ক, উত্তেজনা ও সহিংসতা।
এবারের নির্বাচনে ২৬৪টি আসনে প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে কমপক্ষে ১০০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন স্থানীয় পর্যায়ে দলের প্রভাবশালী নেতারা। কেউ কাউকে মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নন। তাই হুমকি-ধমকি দিয়ে হলেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী আওয়ামী লীগ করলেও তাঁরা এখন একে অপরকে বিশ্বাস করছেন না। তাই হামলা করছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। এ সংঘাত দিন দিন আরও বাড়বে। নির্বাচনের দিন দেখা যাবে, সবাই সবার পেশিশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে। তখন নির্বাচন কমিশন, সরকারের কিছুই করার থাকবে না।
আজকের পত্রিকার জেলা, উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে দেশের অনেক জায়গায় প্রতিপক্ষ ও ভোটারদের প্রতি হুমকির তথ্য উঠে এসেছে।
নির্বাচনী সভায় ‘ঘাড় মটকে দেওয়ার’ হুমকি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন লালমনিরহাট ২ (আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। গত শনিবার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা হানিফের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমার ঘাড় মটকে দেব। তুমি এখনো লোক চিনো নাই।’
হুমকি-ধমকির ঘটনা ঘটছে লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম হাতীবান্ধা) আসনেও। সেখানে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বিরোধী পক্ষকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘মোতাহার হোসেনের নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মার্কার লোক যেন এই এলাকায় ঢুকতে না পারে।’
নৌকায় ভোট না দিলে সোজা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কুষ্টিয়া-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম সারোয়ার জাহান বাদশা। সোমবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া এলাকায় এক নির্বাচনী সভায় তিনি ভোটারদের উদ্দেশে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে বাদশাকে বলতে শোনা যায়, ‘যার মনে যা-ই থাকুক না কেন, যেই নাচানাচি-গুঁতোগুঁতি করুক না কেন, নৌকা মার্কায় বাদশাকে ভোট দিতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। উল্টাপাল্টা দু-একজন করছে, সোজা করে দেব কিন্তু।...এখানে যারা আছে, ভোট আমাকে দিতে হবে, পরিষ্কার কথা।’
এর আগে কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের নির্বাচনী সভায় নারী ভোটার ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে এক কাউন্সিলর বলেন, ‘নৌকার বাইরে কোনো প্রার্থীকে ভোট দিলে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেব।’
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জকে নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে সব সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা বাতিল হয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়েছেন চাপড়া ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক মঞ্জু।
বরগুনার আমতলীতে ‘নৌকার বাইরে কোনো ভোট হবে না, কেউ এজেন্ট দিতে পারবে না’ বলে হুমকি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমতলী পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান। গত সোমবার সন্ধ্যায় বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর নির্বাচনী সভায় এই হুমকি দেন তিনি। এ সময় এমপি শম্ভুও উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড়-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের ভোটের পর পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু। গত রোববার রাতে জেলার সদর উপজেলার অমরখানা ইউপির কাজীরহাট বাজারে নৌকার পক্ষে এক নির্বাচনী সভায় এমন হুমকি দেন তিনি।
নাটোর-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ ভোট চাইলে তাঁকে বেঁধে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গত রোববার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৎস্যজীবী পাড়ায় এক নির্বাচনী সভার এমন একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সভায় তিনি বলেন, ‘কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান এসে ট্রাক মার্কার ভোট চাইলে তাঁকে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখবেন।’
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের সমর্থকদের মামলা নেওয়ায় বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদকে ফোন করে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
ভোটের মাঠে এসব হুমকি-ধমকির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল ফজল মীর গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় দেখভালের জন্য একটি মনিটরিং সেন্টার খোলা হয়েছে। আমরা কোনো ধরনের অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা গত রোববার নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বলেছেন, ‘ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিলে কিংবা হুমকি-ধমকি দিলে দায়ী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আমরা সচেষ্ট।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে