ওমর ফারুক সুমন, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ খাজা। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ব্যানারে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে রহমত উল্লাহ ছাড়াও তিনটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির চার নেতা। কেউ কেউ রহমত উল্লাহর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে রহমত উল্লাহ খাজা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র দিলেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি দল।
উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—এই সরকারের অধীনে স্থানীয় ও জাতীয় কোনো প্রকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে পৌর বিএনপির নেতাসহ দলীয় যেসব নেতা বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁদের বিষয়ে জেলা বিএনপি পদক্ষেপ নেবে।’
বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর প্রশাসক নিজাম উদ্দিন বাবু বলেন, ‘দায়িত্বশীল পদে থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করা দুঃখজনক। জেলা কমিটির সঙ্গে কথা হয়েছে, দ্রুত তাঁর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আজগর আলী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আমরা সব নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে আছি। কিন্তু রহমত উল্লাহ খাজার কাণ্ডে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা অবাক হয়েছেন।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বাঘাইছড়ি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘রহমত উল্লাহ খাজার প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে উপজেলা নাগরিক পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সংগঠনের জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে সমর্থন দিয়েছে বলে শুনেছি। নির্বাচনে এমন দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কারণে আমরা সাধারণ জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।’
সংগঠনের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন সোহেল বলেন, ‘রহমত উল্লাহ খাজার নাগরিক পরিষদের পদে আসার আগে তাঁর সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি কীভাবে জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পদে সংযুক্ত হয়েছেন; সেটাও আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ে আঞ্চলিক সংগঠন করে ৮টি মামলা খেয়েছি, হামলার শিকার হয়েছি; কিন্তু কমিটি গঠনের সময় আমাদের স্থান হয় পেছনে, আর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পরিষদের পক্ষ থেকে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি বিএনপিরও নেতা।’
নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতেই প্রার্থী বাছাই হয়েছে। তবে চূড়ান্ত বাছাইয়ের দিন বাঘাইছড়ি কমিটির মতামত নেওয়া হয়নি। আর বিএনপি যেহেতু নির্বাচন বয়কট করেছে, তাই রহমত উল্লাহ খাজা এখন নাগরিক পরিষদের প্রার্থী।’
এদিকে বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে রহমত উল্লাহ ছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির আরও চার নেতা। এর মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরউদ্দিন ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইউছুপ নবী, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক প্রার্থী হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওমর আলী এ বিষয়ে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি রহমত উল্লাহ খাজাসহ প্রার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয়। এতে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁদের বিষয়ে জেলা বিএনপি নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিল আহম্মেদ বলেন, ‘বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির নেতা রহমত উল্লাহ ও কিছু নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রহমত উল্লাহর পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।’
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লাহ খাজা। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ব্যানারে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে রহমত উল্লাহ ছাড়াও তিনটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির চার নেতা। কেউ কেউ রহমত উল্লাহর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে রহমত উল্লাহ খাজা জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র দিলেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি দল।
উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—এই সরকারের অধীনে স্থানীয় ও জাতীয় কোনো প্রকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে পৌর বিএনপির নেতাসহ দলীয় যেসব নেতা বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁদের বিষয়ে জেলা বিএনপি পদক্ষেপ নেবে।’
বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর প্রশাসক নিজাম উদ্দিন বাবু বলেন, ‘দায়িত্বশীল পদে থেকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করা দুঃখজনক। জেলা কমিটির সঙ্গে কথা হয়েছে, দ্রুত তাঁর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আজগর আলী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আমরা সব নির্বাচনী প্রচার থেকে দূরে আছি। কিন্তু রহমত উল্লাহ খাজার কাণ্ডে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা অবাক হয়েছেন।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বাঘাইছড়ি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘রহমত উল্লাহ খাজার প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে উপজেলা নাগরিক পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সংগঠনের জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে সমর্থন দিয়েছে বলে শুনেছি। নির্বাচনে এমন দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কারণে আমরা সাধারণ জনগণের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি।’
সংগঠনের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন সোহেল বলেন, ‘রহমত উল্লাহ খাজার নাগরিক পরিষদের পদে আসার আগে তাঁর সঙ্গে সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি কীভাবে জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পদে সংযুক্ত হয়েছেন; সেটাও আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাহাড়ে আঞ্চলিক সংগঠন করে ৮টি মামলা খেয়েছি, হামলার শিকার হয়েছি; কিন্তু কমিটি গঠনের সময় আমাদের স্থান হয় পেছনে, আর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে পরিষদের পক্ষ থেকে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তিনি বিএনপিরও নেতা।’
নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতেই প্রার্থী বাছাই হয়েছে। তবে চূড়ান্ত বাছাইয়ের দিন বাঘাইছড়ি কমিটির মতামত নেওয়া হয়নি। আর বিএনপি যেহেতু নির্বাচন বয়কট করেছে, তাই রহমত উল্লাহ খাজা এখন নাগরিক পরিষদের প্রার্থী।’
এদিকে বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে রহমত উল্লাহ ছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির আরও চার নেতা। এর মধ্যে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরউদ্দিন ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইউছুপ নবী, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক প্রার্থী হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওমর আলী এ বিষয়ে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি রহমত উল্লাহ খাজাসহ প্রার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয়। এতে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাঁদের বিষয়ে জেলা বিএনপি নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিল আহম্মেদ বলেন, ‘বাঘাইছড়ি পৌর বিএনপির নেতা রহমত উল্লাহ ও কিছু নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রহমত উল্লাহর পদত্যাগপত্র কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে