রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জরুরি চিকিৎসাসেবা মেলে না। এ বিভাগে রোগী আসার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে যাওয়া পর্যন্ত টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কারণে সময় লাগে অন্তত ৩০ মিনিট। এ সময় পর্যন্ত রোগীরা জরুরি কোনো সেবা পান না।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জরুরি বিভাগে রোগীদের জরুরি সেবা দিতে না-পারার বিষয়টি নিয়ে তারা ভাবছে। জরুরি বিভাগকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধের কোনো কাজই নেই। জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক থাকলেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। সমস্যা শুনে এই চিকিৎসক শুধু ঠিক করে দেন, জরুরি বিভাগে আসা রোগী কোন ওয়ার্ডে যাবেন।
রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার জাহিদুজ্জামান গত মাসে তাঁর মাকে নিয়ে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে টিকিট কেটে খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করার পর তাঁর মাকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর জাহিদুজ্জামান তাঁর মাকে নিয়ে পৌঁছান ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসকের দেখা পান আরও ১০ মিনিট পর।
জাহিদুজ্জামান বলেন, জরুরি বিভাগ মানে জরুরি। সেখানে রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু সেখানে কোনো চিকিৎসা নেই। ওয়ার্ডে যেতে যেতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিচতলায় দুটি ওয়ার্ড নিয়ে আগে জরুরি বিভাগ ছিল। ওয়ার্ডগুলোয় এখন রোগী ভর্তি থাকেন। ফলে জরুরি বিভাগের সক্ষমতা কমে গেছে। এখন জরুরি বিভাগে আর জরুরি চিকিৎসা মেলে না। তাঁরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি বিভাগেই সবচেয়ে বেশি জরুরি চিকিৎসা দরকার। সেটা হয় না। আবার কোনো রোগী যদি জরুরি বিভাগে মারাও যান, তা-ও মৃত ঘোষণা করা হয় না। মৃতকে ‘মৃত’ ঘোষণার জন্যও লাশ নিয়ে যেতে হয় ওয়ার্ডে। সেখানে ইসিজি করার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এতে মৃতের স্বজনেরা হয়রানির শিকার হন। তাই জরুরি বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার বলেই মনে করেন তাঁরা।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘বর্তমানে জরুরি বিভাগ থেকে রোগীদের তাড়াতাড়িই পাঠানো হচ্ছে। তবে রোগীদের ওয়ার্ডে যেতে যেতে ১০-১৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। এই সময়টা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের জরুরি বিভাগে বর্তমানে ওয়ানস্টপ সেবা, পুলিশ বক্স, ডিএনএসহ নানা বিভাগ ঢুকে পড়েছে। এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। তাই জরুরি বিভাগে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।’
তবে ওই বিভাগগুলোর জন্য আলাদা জায়গা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, এখন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বাজেট এলেই কাজ শুরু করা হবে। এরপর জরুরি বিভাগের জায়গা ফাঁকা হবে। তখন সেখানে জরুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জরুরি চিকিৎসাসেবা মেলে না। এ বিভাগে রোগী আসার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ওয়ার্ডে। জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে যাওয়া পর্যন্ত টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কারণে সময় লাগে অন্তত ৩০ মিনিট। এ সময় পর্যন্ত রোগীরা জরুরি কোনো সেবা পান না।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, জরুরি বিভাগে রোগীদের জরুরি সেবা দিতে না-পারার বিষয়টি নিয়ে তারা ভাবছে। জরুরি বিভাগকে আধুনিকায়ন করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধের কোনো কাজই নেই। জরুরি বিভাগে সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক থাকলেও রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। সমস্যা শুনে এই চিকিৎসক শুধু ঠিক করে দেন, জরুরি বিভাগে আসা রোগী কোন ওয়ার্ডে যাবেন।
রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকার জাহিদুজ্জামান গত মাসে তাঁর মাকে নিয়ে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। সেখানে টিকিট কেটে খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করার পর তাঁর মাকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর জাহিদুজ্জামান তাঁর মাকে নিয়ে পৌঁছান ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসকের দেখা পান আরও ১০ মিনিট পর।
জাহিদুজ্জামান বলেন, জরুরি বিভাগ মানে জরুরি। সেখানে রোগী আসার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কিন্তু সেখানে কোনো চিকিৎসা নেই। ওয়ার্ডে যেতে যেতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের নিচতলায় দুটি ওয়ার্ড নিয়ে আগে জরুরি বিভাগ ছিল। ওয়ার্ডগুলোয় এখন রোগী ভর্তি থাকেন। ফলে জরুরি বিভাগের সক্ষমতা কমে গেছে। এখন জরুরি বিভাগে আর জরুরি চিকিৎসা মেলে না। তাঁরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি বিভাগেই সবচেয়ে বেশি জরুরি চিকিৎসা দরকার। সেটা হয় না। আবার কোনো রোগী যদি জরুরি বিভাগে মারাও যান, তা-ও মৃত ঘোষণা করা হয় না। মৃতকে ‘মৃত’ ঘোষণার জন্যও লাশ নিয়ে যেতে হয় ওয়ার্ডে। সেখানে ইসিজি করার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এতে মৃতের স্বজনেরা হয়রানির শিকার হন। তাই জরুরি বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানো দরকার বলেই মনে করেন তাঁরা।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘বর্তমানে জরুরি বিভাগ থেকে রোগীদের তাড়াতাড়িই পাঠানো হচ্ছে। তবে রোগীদের ওয়ার্ডে যেতে যেতে ১০-১৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। এই সময়টা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের জরুরি বিভাগে বর্তমানে ওয়ানস্টপ সেবা, পুলিশ বক্স, ডিএনএসহ নানা বিভাগ ঢুকে পড়েছে। এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। তাই জরুরি বিভাগে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।’
তবে ওই বিভাগগুলোর জন্য আলাদা জায়গা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, এখন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বাজেট এলেই কাজ শুরু করা হবে। এরপর জরুরি বিভাগের জায়গা ফাঁকা হবে। তখন সেখানে জরুরি সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে