জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শেষ মুহূর্তে চলছে টেকসই কাজ। এদিকে বাঁধের কাজে দেরি হলেও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা। তাঁরা জানান, বাঁধের কাজের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বাঁধ টেকসই করতে শেষ সময়ে কঠোর তদারক করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্যরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রমতে, জেলার ৭২৪টি প্রকল্পের মাটির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ৯২ শতাংশ বাঁধে মাটির কম্পেকশন, ঘাস লাগানোসহ অন্যান্য কাজও প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছর ৭২৪টি প্রকল্পে ১১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদারক কমিটি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কঠোর ভূমিকায় পিআইসি সদস্যরা বাঁধের কাজে গাফিলতি সুযোগ পাচ্ছে না বলে মন্তব্য পাউবোর।
কৃষকেরা জানান, অন্যান্য বছর মার্চ মাসের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হয়। ফলে হাওরের বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন কৃষকেরা। চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি সময়েও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন তাঁরা।
দিরাই উপজেলার বাদাইল্লা হাওরপারের কৃষক ওয়ালি উল্লাহ বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বাঁধের মাটির শক্ত হইয়া বইছে। এ ছাড়া বাঁধের ওপর গাছ লাগানো হইছে। আমরা আশা করি, এবার ভালোমতো ফসল ঘরে তুলতে পারব।’
গতকাল মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিভিন্ন হাওরে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের কাজে টেকসই করার কাজ করছেন পিআইসির সদস্যরা। শেষ মুহূর্তে চলছে বাঁধে মাটির কম্পেকশন ও ঘাস লাগানোর কাজ।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, বাঁধে মাটির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই। এ ছাড়ও বাঁধের কম্পেকশনসহ আনুষঙ্গিক যেসব কাজ রয়েছে, তা প্রায় শেষ।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাঁধ টেকসই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাঁধে এখন আমরা জিও ব্যাগ দিচ্ছি, যাতে বৃষ্টি শুরু হলেও বাঁধের কোনো ক্ষতি না হয়।’
এদিকে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ১২ মার্চ পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের সময়সীমা বাড়ানো হয়। ১০ মার্চ থেকে সুনামগঞ্জের প্রতিটি হাওরের বাঁধের কাজের তদারকি বাড়িয়েছে পাউবো।
দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামের কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘শুরুর দিকে কাজে ঢিলেমি আছিল। তবে বাঁধ টেকসই হওয়ায় এখন আমরা নিশ্চিন্তে আছি।’
দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় হাওরের সংখ্যা বেশি। এখানে ফসলের উৎপাদনও ভালো হয়। একমাত্র বাঁধের ওপর নির্ভর করেই কৃষকেরা বোরো চাষাবাদ শুরু করেন।
ভাটিধল গ্রামের কৃষক আখলিছ মিয়া বলেন, ‘বাঁধের কাজ কয়দিন ধইরা ভালোই চলছে। তবে এমন গতিতে আরও আগে থেকে করলে ভালো হতো। তবে অতিবৃষ্টি হলে বাঁধের ওপর দিয়া পানি চলে এলে তো আমরার আর কিচ্ছু করার থাকবে না।’
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির জেলা সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, বাঁধের কাজ প্রায় শেষ। এখন কয়েকটি স্থানের বাঁধে ঘাস লাগানোর বাকি আছে।
সুনামগঞ্জের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। শেষ মুহূর্তে চলছে টেকসই কাজ। এদিকে বাঁধের কাজে দেরি হলেও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা। তাঁরা জানান, বাঁধের কাজের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বাঁধ টেকসই করতে শেষ সময়ে কঠোর তদারক করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্যরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রমতে, জেলার ৭২৪টি প্রকল্পের মাটির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ৯২ শতাংশ বাঁধে মাটির কম্পেকশন, ঘাস লাগানোসহ অন্যান্য কাজও প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছর ৭২৪টি প্রকল্পে ১১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদারক কমিটি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কঠোর ভূমিকায় পিআইসি সদস্যরা বাঁধের কাজে গাফিলতি সুযোগ পাচ্ছে না বলে মন্তব্য পাউবোর।
কৃষকেরা জানান, অন্যান্য বছর মার্চ মাসের শুরুতেই বৃষ্টিপাত হয়। ফলে হাওরের বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় থাকেন কৃষকেরা। চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি সময়েও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন তাঁরা।
দিরাই উপজেলার বাদাইল্লা হাওরপারের কৃষক ওয়ালি উল্লাহ বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বাঁধের মাটির শক্ত হইয়া বইছে। এ ছাড়া বাঁধের ওপর গাছ লাগানো হইছে। আমরা আশা করি, এবার ভালোমতো ফসল ঘরে তুলতে পারব।’
গতকাল মঙ্গলবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিভিন্ন হাওরে গিয়ে দেখা গেছে, বাঁধের কাজে টেকসই করার কাজ করছেন পিআইসির সদস্যরা। শেষ মুহূর্তে চলছে বাঁধে মাটির কম্পেকশন ও ঘাস লাগানোর কাজ।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, বাঁধে মাটির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আগেই। এ ছাড়ও বাঁধের কম্পেকশনসহ আনুষঙ্গিক যেসব কাজ রয়েছে, তা প্রায় শেষ।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাঁধ টেকসই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাঁধে এখন আমরা জিও ব্যাগ দিচ্ছি, যাতে বৃষ্টি শুরু হলেও বাঁধের কোনো ক্ষতি না হয়।’
এদিকে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ১২ মার্চ পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণের সময়সীমা বাড়ানো হয়। ১০ মার্চ থেকে সুনামগঞ্জের প্রতিটি হাওরের বাঁধের কাজের তদারকি বাড়িয়েছে পাউবো।
দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামের কৃষক আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘শুরুর দিকে কাজে ঢিলেমি আছিল। তবে বাঁধ টেকসই হওয়ায় এখন আমরা নিশ্চিন্তে আছি।’
দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় হাওরের সংখ্যা বেশি। এখানে ফসলের উৎপাদনও ভালো হয়। একমাত্র বাঁধের ওপর নির্ভর করেই কৃষকেরা বোরো চাষাবাদ শুরু করেন।
ভাটিধল গ্রামের কৃষক আখলিছ মিয়া বলেন, ‘বাঁধের কাজ কয়দিন ধইরা ভালোই চলছে। তবে এমন গতিতে আরও আগে থেকে করলে ভালো হতো। তবে অতিবৃষ্টি হলে বাঁধের ওপর দিয়া পানি চলে এলে তো আমরার আর কিচ্ছু করার থাকবে না।’
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির জেলা সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, বাঁধের কাজ প্রায় শেষ। এখন কয়েকটি স্থানের বাঁধে ঘাস লাগানোর বাকি আছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে