সম্পাদকীয়
শিশুদের জীবন ও ভবিষ্যৎ আজ হুমকির মুখে। শিশুরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আর তা ঘটছে বিশ্বব্যাপী। আতঙ্কের বিষয় হলো, এভাবে বৈশ্বিকভাবে শিশুরা নিপীড়নের শিকার হলে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কারণ, আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের বিশ্ব নাগরিক।
উদ্বেগের বিষয় হলো, ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিশ্বজুড়ে বছরে ৩০ কোটির বেশি শিশু যৌন নিগ্রহ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার চাইল্ডলাইট গ্লোবাল চাইল্ড সেফটি ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এ বেদনাদায়ক তথ্য পাওয়া গেছে। এক বছরে বিশ্বব্যাপি প্রতি আট শিশুর মধ্যে অন্তত একটির আপত্তিকর ছবি অনুমতি ছাড়া তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। এমনকি এসব শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে নিজের আপত্তিকর ছবির মুখোমুখিও হচ্ছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
শিশুরা হলো কোমল মনের। কিন্তু তাদের জীবনে যখন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার প্রভাব শিশুদের সারা জীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়। শিশুরা এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয় নিজের পরিবারের সদস্য ছাড়া নিকটাত্মীয় দ্বারা।
বিশ্বের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ছাড়াও জ্ঞানভান্ডারের অনেক তথ্য সহজলভ্য করেছে প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তিই আবার মানুষকে নানাভাবে বিপদে ফেলছে। খারাপ চিন্তার মানুষগুলোই প্রযুক্তিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে পরিবার, সমাজের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখানে শিশুদের ধর্ষণ করে হত্যাও করা হয়। আমাদের মতো দেশগুলোয় এ ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। কারণ, এখানে আইনের শাসন পুরোপুরি কার্যকর নয় এবং অভাব আছে জনগণের মধ্যে সচেতনতার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেও যখন একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে, তখন বোঝা যায়, শিশুরা কোনো সমাজেই নিরাপদ নয়; বরং উন্নত দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্রে শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেশি ঘটে বলে সেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইন্টারনেটের এ ধরনের অপরাধ রোধ করা অসম্ভব ব্যাপার নয়। প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব। এ ধরনের ঘটনার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নতুন অ্যাপ আবিষ্কার করা জরুরি। সেটা নিয়ে আইটি বিশেষজ্ঞদের ভাবতে হবে। শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি যেহেতু বৈশ্বিক, সেহেতু এটাকে বৈশ্বিকভাবে নির্মূলের কথা চিন্তা করতে হবে। এ জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে এসে বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া, বিশ্বের প্রতিটি দেশের সরকারকে শিশু যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী তা কার্যকর করতে বাধ্য করতে হবে। এটা জাতিসংঘের মাধ্যমেও করা যেতে পারে।
পাশাপাশি ইন্টারনেটের অপব্যবহার রোধে শিশুদের সচেতন করতে হবে। নিরাপদ ইন্টারনেটের ব্যবহারবিধি পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা প্রয়োজন। যেকোনো মূল্যে শিশুর নিরাপদ শৈশব নিশ্চিত করতে হবে।
শিশুদের জীবন ও ভবিষ্যৎ আজ হুমকির মুখে। শিশুরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। আর তা ঘটছে বিশ্বব্যাপী। আতঙ্কের বিষয় হলো, এভাবে বৈশ্বিকভাবে শিশুরা নিপীড়নের শিকার হলে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? কারণ, আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের বিশ্ব নাগরিক।
উদ্বেগের বিষয় হলো, ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিশ্বজুড়ে বছরে ৩০ কোটির বেশি শিশু যৌন নিগ্রহ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার চাইল্ডলাইট গ্লোবাল চাইল্ড সেফটি ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এ বেদনাদায়ক তথ্য পাওয়া গেছে। এক বছরে বিশ্বব্যাপি প্রতি আট শিশুর মধ্যে অন্তত একটির আপত্তিকর ছবি অনুমতি ছাড়া তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। এমনকি এসব শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে নিজের আপত্তিকর ছবির মুখোমুখিও হচ্ছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
শিশুরা হলো কোমল মনের। কিন্তু তাদের জীবনে যখন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তার প্রভাব শিশুদের সারা জীবন ধরে বয়ে বেড়াতে হয়। শিশুরা এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হয় নিজের পরিবারের সদস্য ছাড়া নিকটাত্মীয় দ্বারা।
বিশ্বের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ছাড়াও জ্ঞানভান্ডারের অনেক তথ্য সহজলভ্য করেছে প্রযুক্তি। কিন্তু এই প্রযুক্তিই আবার মানুষকে নানাভাবে বিপদে ফেলছে। খারাপ চিন্তার মানুষগুলোই প্রযুক্তিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে পরিবার, সমাজের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশে শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখানে শিশুদের ধর্ষণ করে হত্যাও করা হয়। আমাদের মতো দেশগুলোয় এ ধরনের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। কারণ, এখানে আইনের শাসন পুরোপুরি কার্যকর নয় এবং অভাব আছে জনগণের মধ্যে সচেতনতার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেও যখন একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে, তখন বোঝা যায়, শিশুরা কোনো সমাজেই নিরাপদ নয়; বরং উন্নত দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্রে শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনা বেশি ঘটে বলে সেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
ইন্টারনেটের এ ধরনের অপরাধ রোধ করা অসম্ভব ব্যাপার নয়। প্রযুক্তি দিয়েই প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব। এ ধরনের ঘটনার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে নতুন অ্যাপ আবিষ্কার করা জরুরি। সেটা নিয়ে আইটি বিশেষজ্ঞদের ভাবতে হবে। শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি যেহেতু বৈশ্বিক, সেহেতু এটাকে বৈশ্বিকভাবে নির্মূলের কথা চিন্তা করতে হবে। এ জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে এসে বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া, বিশ্বের প্রতিটি দেশের সরকারকে শিশু যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ নীতিমালা প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী তা কার্যকর করতে বাধ্য করতে হবে। এটা জাতিসংঘের মাধ্যমেও করা যেতে পারে।
পাশাপাশি ইন্টারনেটের অপব্যবহার রোধে শিশুদের সচেতন করতে হবে। নিরাপদ ইন্টারনেটের ব্যবহারবিধি পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করা প্রয়োজন। যেকোনো মূল্যে শিশুর নিরাপদ শৈশব নিশ্চিত করতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে