মাইনুল ইসলাম রাসেল, ফেনী
নানা জাতের কুল চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন ফেনী সদরের দুই কৃষক। ফরিদ উদ্দিন মাসুদ ও আছমত আলীর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন জেলার বহু বেকার যুবক। তাঁদের কাছ থেকে আসছেন কুল চাষের পদ্ধতি শিখতে।
সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে ৫৫ শতক জমিতে কাশ্মীরি, বল সুন্দরী, বাউকুল, আপেল কুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করছেন ফরিদ উদ্দিন মাসুদ। অপরদিকে একই উপজেলার কাজিরবাগে ৪০ শতক জমিতে নানা স্বাদের কুল চাষ করছেন আছমত আলী।
তাঁদের বাগানে সম্প্রতি গিয়ে দেখা গেছে, কুলের ভারে নুয়ে পড়ছে গাছগুলো। নানা রঙের কুলে ভরে আছে গাছ।
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫৫ শতক জায়গা ১০ বছরের জন্য লিজ নেন তিনি। পরে সেই জায়গায় তিন প্রজাতির কুল, ৩৭ প্রজাতির মাল্টার চারা রোপণ করেন। প্রথমে ৪০০ বল সুন্দরী, ৫০টি করে কাশ্মীরি ও বাউ কুলের চারা রোপণ করেন। ৭ মাসের মাসের মাথায় গাছগুলোতে ফল ধরে। ১১ মাসের মাথায় কুল বিক্রি শুরু করেন তিনি।
মাসুদ আরও বলেন, প্রথম বছর কুল চাষে চারা, চারপাশের বেড়া, ওপরের বিশেষ নেট ও জমি তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজে মোট ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় তাঁর। চলতি বছর কুল বিক্রি করে লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন। ইতিমধ্যে প্রতিকেজি বল সুন্দরী কুল ৮০ টাকা ও কাশ্মীরি কুল ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
বিভিন্ন ধরনের জৈব সার তৈরি করে কুল বাগানে ব্যবহার করায় ফলন ভালো হচ্ছে বলেও জানান মাসুদ। আগামী বছর কুল বাগান থেকে দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা করছেন তিনি।
নাজমুল শামীম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘সাধারণত এভাবে সরাসরি বাগান থেকে ফল সংগ্রহ সম্ভব হয় না। ভেজালমুক্ত কুল কিনতে এসেছি। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কুলে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।’
একই জমিতে মাল্টার চারাও রোপণ করেছেন ফরিদ উদ্দিন মাসুদ। আগামী বছরের শেষদিকে বাণিজ্যিকভাবে তাঁর বাগানের মাল্টা বিক্রির উপযোগী হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ফেনীর মাটি ও জলবায়ু কুল চাষে জন্য বেশ উপযোগী। যে কারণে এই ফল চাষে সাফল্যের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তৈয়ব জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কুলচাষিদের সব সময় জৈব সার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রোগবালাই রোধ ও পরিচর্যা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন তাঁরা।
নদী ভাঙনে সব হারিয়ে বেশ কয়েক বছর আগে ফেনীতে আসেন অপর কুলচাষি আছমত আলী। তিনি সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের হানিফ মজুমদারের বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকেন। নানা সময়ে রিকশা ও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা অর্জন করেছেন। সবশেষে মনোযোগ দেন কৃষিকাজে। বন্যা, রোদ ও কুয়াশায় সেখানেও গুনছিলেন লোকসান। পরে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের পরামর্শে কুল চাষ শুরু করেন। এ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
আছমত আলী বলেন, ‘গত বছরের মার্চে পাবনা থেকে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি, আপেল কুল ও বাউকুল জাতের চারা এনে রোপণ করেছিলাম। প্রতি গাছে ৯ থেকে ১২ কেজি ফলন হয়েছে। প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বাগান থেকে অনেকে এসে কুল কিনে নিচ্ছেন।’
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছেন আছমত। আশা করছেন, এ মৌসুমে ১ লাখ টাকার বেশি কুল বিক্রি করতে পারবেন তিনি।
ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্মকর্তারা আছমত আলীকে কুল চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
শারমীন আক্তার আরও বলেন, প্রথম বছর কিছু স্থায়ী খরচ হয়। যা পরের বছরে আর হবে না। ফলে কুলচাষিরা এক বছরে যে লাভ পাচ্ছেন, পরের বছর থেকে তা দ্বিগুণ হবে।
সম্প্রতি কৃষক আছমত আলীর কুলবাগান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল-হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের ফল চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। তাঁদের লাভ ও উৎপাদন দেখে অন্যান্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এতে কৃষি বিভাগের উৎপাদন ও সমৃদ্ধ কৃষির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
রবিউল ইসলাম ও সাফায়াত উল্লাহ নামের দুই যুবক পাশের পরশুরাম উপজেলা থেকে ভিন্ন স্বাদের কুল চাষের পদ্ধতি শিখতে এসেছিলেন। কুল চাষে আগ্রহী এমন বহু যুবক প্রায়ই দুই চাষির বাগানে চাষের পদ্ধতি দেখতে আসছেন।
নানা জাতের কুল চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন ফেনী সদরের দুই কৃষক। ফরিদ উদ্দিন মাসুদ ও আছমত আলীর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন জেলার বহু বেকার যুবক। তাঁদের কাছ থেকে আসছেন কুল চাষের পদ্ধতি শিখতে।
সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে ৫৫ শতক জমিতে কাশ্মীরি, বল সুন্দরী, বাউকুল, আপেল কুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চাষ করছেন ফরিদ উদ্দিন মাসুদ। অপরদিকে একই উপজেলার কাজিরবাগে ৪০ শতক জমিতে নানা স্বাদের কুল চাষ করছেন আছমত আলী।
তাঁদের বাগানে সম্প্রতি গিয়ে দেখা গেছে, কুলের ভারে নুয়ে পড়ছে গাছগুলো। নানা রঙের কুলে ভরে আছে গাছ।
ফরিদ উদ্দিন মাসুদ বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ধর্মপুর ইউনিয়নের ৫৫ শতক জায়গা ১০ বছরের জন্য লিজ নেন তিনি। পরে সেই জায়গায় তিন প্রজাতির কুল, ৩৭ প্রজাতির মাল্টার চারা রোপণ করেন। প্রথমে ৪০০ বল সুন্দরী, ৫০টি করে কাশ্মীরি ও বাউ কুলের চারা রোপণ করেন। ৭ মাসের মাসের মাথায় গাছগুলোতে ফল ধরে। ১১ মাসের মাথায় কুল বিক্রি শুরু করেন তিনি।
মাসুদ আরও বলেন, প্রথম বছর কুল চাষে চারা, চারপাশের বেড়া, ওপরের বিশেষ নেট ও জমি তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজে মোট ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় তাঁর। চলতি বছর কুল বিক্রি করে লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন। ইতিমধ্যে প্রতিকেজি বল সুন্দরী কুল ৮০ টাকা ও কাশ্মীরি কুল ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
বিভিন্ন ধরনের জৈব সার তৈরি করে কুল বাগানে ব্যবহার করায় ফলন ভালো হচ্ছে বলেও জানান মাসুদ। আগামী বছর কুল বাগান থেকে দেড় লাখ টাকার কুল বিক্রির আশা করছেন তিনি।
নাজমুল শামীম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘সাধারণত এভাবে সরাসরি বাগান থেকে ফল সংগ্রহ সম্ভব হয় না। ভেজালমুক্ত কুল কিনতে এসেছি। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কুলে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।’
একই জমিতে মাল্টার চারাও রোপণ করেছেন ফরিদ উদ্দিন মাসুদ। আগামী বছরের শেষদিকে বাণিজ্যিকভাবে তাঁর বাগানের মাল্টা বিক্রির উপযোগী হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ফেনীর মাটি ও জলবায়ু কুল চাষে জন্য বেশ উপযোগী। যে কারণে এই ফল চাষে সাফল্যের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তৈয়ব জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কুলচাষিদের সব সময় জৈব সার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রোগবালাই রোধ ও পরিচর্যা বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন তাঁরা।
নদী ভাঙনে সব হারিয়ে বেশ কয়েক বছর আগে ফেনীতে আসেন অপর কুলচাষি আছমত আলী। তিনি সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের হানিফ মজুমদারের বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকেন। নানা সময়ে রিকশা ও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা অর্জন করেছেন। সবশেষে মনোযোগ দেন কৃষিকাজে। বন্যা, রোদ ও কুয়াশায় সেখানেও গুনছিলেন লোকসান। পরে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের পরামর্শে কুল চাষ শুরু করেন। এ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
আছমত আলী বলেন, ‘গত বছরের মার্চে পাবনা থেকে বল সুন্দরী, কাশ্মীরি, আপেল কুল ও বাউকুল জাতের চারা এনে রোপণ করেছিলাম। প্রতি গাছে ৯ থেকে ১২ কেজি ফলন হয়েছে। প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। বাগান থেকে অনেকে এসে কুল কিনে নিচ্ছেন।’
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করেছেন আছমত। আশা করছেন, এ মৌসুমে ১ লাখ টাকার বেশি কুল বিক্রি করতে পারবেন তিনি।
ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্মকর্তারা আছমত আলীকে কুল চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
শারমীন আক্তার আরও বলেন, প্রথম বছর কিছু স্থায়ী খরচ হয়। যা পরের বছরে আর হবে না। ফলে কুলচাষিরা এক বছরে যে লাভ পাচ্ছেন, পরের বছর থেকে তা দ্বিগুণ হবে।
সম্প্রতি কৃষক আছমত আলীর কুলবাগান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল-হাসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ধরনের ফল চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। তাঁদের লাভ ও উৎপাদন দেখে অন্যান্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এতে কৃষি বিভাগের উৎপাদন ও সমৃদ্ধ কৃষির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
রবিউল ইসলাম ও সাফায়াত উল্লাহ নামের দুই যুবক পাশের পরশুরাম উপজেলা থেকে ভিন্ন স্বাদের কুল চাষের পদ্ধতি শিখতে এসেছিলেন। কুল চাষে আগ্রহী এমন বহু যুবক প্রায়ই দুই চাষির বাগানে চাষের পদ্ধতি দেখতে আসছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে