পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
পারিবারিক, সামাজিক বিরোধের জেরে অনেক সময় আদালতের বারান্দায় দৌড়াতে হয় বছরের পর বছর। সেই সঙ্গে যায় দেদার অর্থ। তারপরও নিষ্পত্তির দেখা পাওয়া যায় না। পীরগঞ্জে এমন পরিস্থিতিতে পড়া সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছেন লুমু উকিল।
আদালতের বাইরে সমঝোতায় আসতে চাওয়া পক্ষগুলো এখন খোঁজে লুমু উকিলকে। তাঁর পুরো নাম কাজী লুমুম্বা লুমু। তিনি রংপুর জজ কোর্টে আইন পেশার সঙ্গে জড়িত। তিনি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আসা মানুষের কাছ থেকে নেন না কোনো টাকা।
কাজী লুমুম্বা পীরগঞ্জ পৌরসভার পনচকান্দর গ্রামের প্রয়াত রাজনীতিবিদ আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯২ সালে রংপুর জজ কোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি রংপুর আইন কলেজের প্রভাষক।
কাজী লুমুম্বা এ পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক মানুষের বিবাদ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিনের পুরোনো মামলা বা পারিবারিক, সামাজিক কোনো ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষ আমার কাছে নিষ্পত্তির জন্য আসলে সেটি নিরসন না করা পর্যন্ত চিন্তায় থাকি। পীরগঞ্জের হরিণ শিং পুকুর নিয়ে চারটি হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। সেখানে দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করে পুকুরের পাড়ে বকুল গাছ রোপণ করা হয়েছে। জমি, সম্পত্তি নিয়ে এমন অনেক বড় ঘটনা মীমাংসা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি।’
এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘৩০ বছরে আমি ছোটবড় ৫ হাজার ২৫৭টি মামলা বিনা টাকায় নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। এটাই আমার ব্রত। প্রতিটি সমঝোতা আমি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেছি। বাদী, বিবাদী মিলে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের সমঝোতা করে দিয়েছি।’
অর্থ না নেওয়া প্রসঙ্গে কাজী লুমুম্বা বলেন, ‘আমি জীবনের প্রথম দিন আদালতে যাওয়ার আগে বাবা বলেছিল, পীরগঞ্জের মানুষ জীবন দিয়ে আমাকে সারা জীবন রক্ষা করেছে। সেই মানুষদের তুমি অন্যায়ভাবে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। আর ফুপু ফিরোজা বেগম বলেছিল, সমাজের মধ্যে জটিলতা, ঝগড়া, বিবাদ সৃষ্টি করে টাকা রোজগার করিও না। বাবা আর ফুপুর ওই নির্দেশনা নিয়েই আইন পেশা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই আইন পেশার পাশাপাশি বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মানবসেবা করে যাচ্ছি।’
উপজেলার মিলনপুরের আমজাদ হোসেন, পীরগঞ্জ পৌরসভার ওসমানপুরের আব্দুল ওয়াহেদ, গঙ্গারামপুরের মোকাব্বর হোসেন ও ধনশালা গ্রামের সোলাইমান মণ্ডল জানান, তাঁরা কাজী লুমুম্বার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করিয়ে নিয়েছেন। তাঁর সেবায় তাঁরা সন্তুষ্ট।
পারিবারিক, সামাজিক বিরোধের জেরে অনেক সময় আদালতের বারান্দায় দৌড়াতে হয় বছরের পর বছর। সেই সঙ্গে যায় দেদার অর্থ। তারপরও নিষ্পত্তির দেখা পাওয়া যায় না। পীরগঞ্জে এমন পরিস্থিতিতে পড়া সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছেন লুমু উকিল।
আদালতের বাইরে সমঝোতায় আসতে চাওয়া পক্ষগুলো এখন খোঁজে লুমু উকিলকে। তাঁর পুরো নাম কাজী লুমুম্বা লুমু। তিনি রংপুর জজ কোর্টে আইন পেশার সঙ্গে জড়িত। তিনি বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আসা মানুষের কাছ থেকে নেন না কোনো টাকা।
কাজী লুমুম্বা পীরগঞ্জ পৌরসভার পনচকান্দর গ্রামের প্রয়াত রাজনীতিবিদ আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯২ সালে রংপুর জজ কোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি রংপুর আইন কলেজের প্রভাষক।
কাজী লুমুম্বা এ পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক মানুষের বিবাদ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিনের পুরোনো মামলা বা পারিবারিক, সামাজিক কোনো ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষ আমার কাছে নিষ্পত্তির জন্য আসলে সেটি নিরসন না করা পর্যন্ত চিন্তায় থাকি। পীরগঞ্জের হরিণ শিং পুকুর নিয়ে চারটি হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। সেখানে দীর্ঘ দিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করে পুকুরের পাড়ে বকুল গাছ রোপণ করা হয়েছে। জমি, সম্পত্তি নিয়ে এমন অনেক বড় ঘটনা মীমাংসা করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছি।’
এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘৩০ বছরে আমি ছোটবড় ৫ হাজার ২৫৭টি মামলা বিনা টাকায় নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। এটাই আমার ব্রত। প্রতিটি সমঝোতা আমি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেছি। বাদী, বিবাদী মিলে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের সমঝোতা করে দিয়েছি।’
অর্থ না নেওয়া প্রসঙ্গে কাজী লুমুম্বা বলেন, ‘আমি জীবনের প্রথম দিন আদালতে যাওয়ার আগে বাবা বলেছিল, পীরগঞ্জের মানুষ জীবন দিয়ে আমাকে সারা জীবন রক্ষা করেছে। সেই মানুষদের তুমি অন্যায়ভাবে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। আর ফুপু ফিরোজা বেগম বলেছিল, সমাজের মধ্যে জটিলতা, ঝগড়া, বিবাদ সৃষ্টি করে টাকা রোজগার করিও না। বাবা আর ফুপুর ওই নির্দেশনা নিয়েই আইন পেশা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই আইন পেশার পাশাপাশি বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মানবসেবা করে যাচ্ছি।’
উপজেলার মিলনপুরের আমজাদ হোসেন, পীরগঞ্জ পৌরসভার ওসমানপুরের আব্দুল ওয়াহেদ, গঙ্গারামপুরের মোকাব্বর হোসেন ও ধনশালা গ্রামের সোলাইমান মণ্ডল জানান, তাঁরা কাজী লুমুম্বার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করিয়ে নিয়েছেন। তাঁর সেবায় তাঁরা সন্তুষ্ট।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে