আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ প্রকৃত কৃষকের না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কৃষি বিভাগের কর্মীরা বলছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মনগড়া তালিকা দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, কৃষি বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য নিয়ে জমি নেই এমন চাষিরাও উপকারভোগীর তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাঁরা বিনা মূল্যের সার ও বীজ উত্তোলন করে কম টাকায় ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে তা ডিলারদের কাছ থেকে চড়া দামে প্রকৃত চাষিদের কিনতে হচ্ছে।
উপজেলায় বোরো মৌসুমের প্রণোদনা দিতে ৬ হাজার ৬৬৫ সুবিধাভোগী কৃষকের তালিকা তৈরি করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। ধানচাষি প্রত্যেক কৃষকের জন্য ৫ কেজি হাইব্রিড বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সরিষা চাষে ১ কেজি বীজের সঙ্গে ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, ১৭ কেজি গমের বীজের সঙ্গে ৩০ কেজি সার এবং ১ কেজি ভুট্টার বীজের সঙ্গে ৩০ কেজি সার বরাদ্দ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে ধাপে ধাপে তা বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সুবিধাভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করেন, উপজেলার বেশির ভাগ প্রকৃত কৃষকই সরকারি এ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
উপজেলার কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, নিয়ম অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে তাঁদের প্রকৃত কৃষক খুঁজে বের করে তালিকা করার কথা। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও নেতারা মনগড়া নাম দিয়ে তালিকা দিচ্ছেন। এখানে তাঁদের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজা-ই মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বাররা হলেন জনপ্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের গন্ডগোল করা তো উচিত না। আমাদের দায়িত্ব হলো সমন্বয় করে কাজ করা। আর এ কাজে যদি কেউ সহযোগিতা না করে পেশিশক্তি ব্যবহার করেন, তাহলে বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বহির্ভূত কাজ করছেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই। নীতিমালার ধারা উল্লেখসহ আমি ইউনিয়ন পরিষদে চিঠি দিয়েছি যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এ তালিকা করবেন। জনপ্রতিনিধিরা শুধু সহযোগিতা করবেন। এ বিষয়ে তাঁরা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না।’
তবে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান শিবলু জানান, উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরাই এ তালিকা করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। তাঁরা প্রকৃত কৃষককেই এ প্রণোদনার তালিকায় নিয়ে এসেছেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন বলেন, প্রণোদনা দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ প্রকৃত কৃষকের না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কৃষি বিভাগের কর্মীরা বলছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মনগড়া তালিকা দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, কৃষি বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য নিয়ে জমি নেই এমন চাষিরাও উপকারভোগীর তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাঁরা বিনা মূল্যের সার ও বীজ উত্তোলন করে কম টাকায় ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে তা ডিলারদের কাছ থেকে চড়া দামে প্রকৃত চাষিদের কিনতে হচ্ছে।
উপজেলায় বোরো মৌসুমের প্রণোদনা দিতে ৬ হাজার ৬৬৫ সুবিধাভোগী কৃষকের তালিকা তৈরি করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। ধানচাষি প্রত্যেক কৃষকের জন্য ৫ কেজি হাইব্রিড বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সরিষা চাষে ১ কেজি বীজের সঙ্গে ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, ১৭ কেজি গমের বীজের সঙ্গে ৩০ কেজি সার এবং ১ কেজি ভুট্টার বীজের সঙ্গে ৩০ কেজি সার বরাদ্দ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে ধাপে ধাপে তা বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সুবিধাভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করেন, উপজেলার বেশির ভাগ প্রকৃত কৃষকই সরকারি এ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
উপজেলার কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, নিয়ম অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে তাঁদের প্রকৃত কৃষক খুঁজে বের করে তালিকা করার কথা। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও নেতারা মনগড়া নাম দিয়ে তালিকা দিচ্ছেন। এখানে তাঁদের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজা-ই মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বাররা হলেন জনপ্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের গন্ডগোল করা তো উচিত না। আমাদের দায়িত্ব হলো সমন্বয় করে কাজ করা। আর এ কাজে যদি কেউ সহযোগিতা না করে পেশিশক্তি ব্যবহার করেন, তাহলে বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বহির্ভূত কাজ করছেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই। নীতিমালার ধারা উল্লেখসহ আমি ইউনিয়ন পরিষদে চিঠি দিয়েছি যে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এ তালিকা করবেন। জনপ্রতিনিধিরা শুধু সহযোগিতা করবেন। এ বিষয়ে তাঁরা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না।’
তবে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান শিবলু জানান, উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরাই এ তালিকা করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। তাঁরা প্রকৃত কৃষককেই এ প্রণোদনার তালিকায় নিয়ে এসেছেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন বলেন, প্রণোদনা দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে