শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ঈদ সামনে রেখে তৈরি পোশাকের দোকানে বাড়ছে ভিড়। এ ছাড়া অন্যান্য পোশাকের দোকানেও দেখা গেছে ক্রেতা। তবে ক্রেতাদের সিংহভাগই নারী। এদিকে পোশাকের বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটা থ্রিপিসে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন দোকানিরা।
তবে দাম বেশি নেওয়ার কথা অস্বীকার করে দোকানিরা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, তৈরি পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তবে পোশাকের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে। পৌর মার্কেট, খলিফা পট্টি, সড়ক ৭১, পাঁচ্চর এলাকার সোনার বাংলা, সোনার তরী মার্কেট, বাংলাবাজার, চান্দেরচর বাজার, সূর্যনগরসহ উপজেলার বাজারগুলোতে জামাকাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা গেছে। তবে বাড়তি দামের কারণে পছন্দ অনুযায়ী পোশাক না কিনে ফিরছেন অনেকে।
জানা গেছে, দোকানগুলোতে শিশু-কিশোরীদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর নির্দিষ্ট কয়েকটি ডিজাইনের পোশাক বেশি চলছে। রেডিমেড ড্রেস ছাড়াও থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে বেশি।
ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি ও জিনসে আগ্রহ বেশি। শার্টের চেয়ে বেশি চলছে পলো টি-শার্ট। পাইকারি বাজারে দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারেও বেড়েছে বলে জানান দোকানিরা।
ক্রেতা অলিনা বেগম বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার সব পোশাকেরই দাম বেশি। গত বছর যে থ্রিপিস ১ হাজার ২০০ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া শিশুদের পোশাকের দামও বেশি। কিশোরীদের পোশাক কিনতে দুই-তিন হাজার লেগে যাচ্ছে।’
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘এ বছর সারারা নামের একটি পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম অনেক। একটি পোশাক সাড়ে ৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।’
মো. সবুজ মাতুব্বর বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পোশাকের দাম অনেক বেশি। আমরা যাঁরা দিন আনি দিন খাই, তাঁদের জন্য বেশি দামে পোশাক কেনা কষ্টকর হয়ে যাবে।’
শিবচর মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা আবু বকর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। গত দুই বছর করোনার কারণে তেমন বিক্রি হয়নি। সম্ভবত এ কারণেই পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
আরেক বিক্রেতা মো. রিয়াজ বলেন, ‘দাম একটু বেশি। তবে আমরা অতিরিক্ত দাম রাখছি না। পাইকারি বাজারে যতটুকু বেড়েছে, ততটুকুই বাড়তি নিচ্ছি। তবে করোনা মহামারিতে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা ওঠাতে অনেক ব্যবসায়ীই ব্যস্ত। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।’
শিবচর বাজারের একাধিক দোকানি জানান, করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর তেমন বেচাবিক্রি হয়নি। লকডাউনের কারণে দোকান ঠিকমতো খোলা রাখা যায়নি। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় দোকানিদের। এ বছর সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যস্ত তাঁরা। আর এ কারণেই দাম কিছুটা বেশি। তা ছাড়া ক্রেতারও ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।’
সালমা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘জামাকাপড়ের দাম বেশি। বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা শেষ করেছি। আরও কেনা বাকি রয়েছে। সাধ্য অনুযায়ী কিনতে পারছি না।’
দামের পাশাপাশি নানা অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। ক্রেতা জামিয়া আক্তার বলেন, ‘দোকানে এসে পছন্দ করা যাচ্ছে না। বেশি জামাকাপড় দেখতে চাইলে অনেক দোকানি বিরক্ত হচ্ছেন। দোকানিদের মধ্যে কেমন যেন একটা তাড়াহুড়া ভাব। এখন পর্যন্ত কিনতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত হয়তো অনলাইনে অর্ডার করতে হতে পারে।’
দোকানি আল আমিন বলেন, ‘নারীরা ঘরে বসেই এখন জামাকাপড় কেনাকাটা করেন। তবে এর প্রভাব এখন পর্যন্ত খুব একটা পড়েনি দোকানে। এ বছর ভালো বিক্রি হচ্ছে।’
ঈদ সামনে রেখে এ বছর পোশাকের দোকানগুলোতে নতুন জামাকাপড়ের বেশ সমারোহ রয়েছে। মেয়েদের থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, সারারা, জারারা ড্রেস, শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, মসলিন শাড়ি, জামদানি শাড়ি, ছেলেদের পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, জিন্সপ্যান্ট বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ঈদ সামনে রেখে তৈরি পোশাকের দোকানে বাড়ছে ভিড়। এ ছাড়া অন্যান্য পোশাকের দোকানেও দেখা গেছে ক্রেতা। তবে ক্রেতাদের সিংহভাগই নারী। এদিকে পোশাকের বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটা থ্রিপিসে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন দোকানিরা।
তবে দাম বেশি নেওয়ার কথা অস্বীকার করে দোকানিরা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, তৈরি পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তবে পোশাকের দোকানেও ভিড় দেখা গেছে। পৌর মার্কেট, খলিফা পট্টি, সড়ক ৭১, পাঁচ্চর এলাকার সোনার বাংলা, সোনার তরী মার্কেট, বাংলাবাজার, চান্দেরচর বাজার, সূর্যনগরসহ উপজেলার বাজারগুলোতে জামাকাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা গেছে। তবে বাড়তি দামের কারণে পছন্দ অনুযায়ী পোশাক না কিনে ফিরছেন অনেকে।
জানা গেছে, দোকানগুলোতে শিশু-কিশোরীদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ বছর নির্দিষ্ট কয়েকটি ডিজাইনের পোশাক বেশি চলছে। রেডিমেড ড্রেস ছাড়াও থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে বেশি।
ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি ও জিনসে আগ্রহ বেশি। শার্টের চেয়ে বেশি চলছে পলো টি-শার্ট। পাইকারি বাজারে দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারেও বেড়েছে বলে জানান দোকানিরা।
ক্রেতা অলিনা বেগম বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার সব পোশাকেরই দাম বেশি। গত বছর যে থ্রিপিস ১ হাজার ২০০ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া শিশুদের পোশাকের দামও বেশি। কিশোরীদের পোশাক কিনতে দুই-তিন হাজার লেগে যাচ্ছে।’
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘এ বছর সারারা নামের একটি পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম অনেক। একটি পোশাক সাড়ে ৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।’
মো. সবুজ মাতুব্বর বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পোশাকের দাম অনেক বেশি। আমরা যাঁরা দিন আনি দিন খাই, তাঁদের জন্য বেশি দামে পোশাক কেনা কষ্টকর হয়ে যাবে।’
শিবচর মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা আবু বকর বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। গত দুই বছর করোনার কারণে তেমন বিক্রি হয়নি। সম্ভবত এ কারণেই পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
আরেক বিক্রেতা মো. রিয়াজ বলেন, ‘দাম একটু বেশি। তবে আমরা অতিরিক্ত দাম রাখছি না। পাইকারি বাজারে যতটুকু বেড়েছে, ততটুকুই বাড়তি নিচ্ছি। তবে করোনা মহামারিতে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা ওঠাতে অনেক ব্যবসায়ীই ব্যস্ত। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।’
শিবচর বাজারের একাধিক দোকানি জানান, করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর তেমন বেচাবিক্রি হয়নি। লকডাউনের কারণে দোকান ঠিকমতো খোলা রাখা যায়নি। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় দোকানিদের। এ বছর সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যস্ত তাঁরা। আর এ কারণেই দাম কিছুটা বেশি। তা ছাড়া ক্রেতারও ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন।’
সালমা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘জামাকাপড়ের দাম বেশি। বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা শেষ করেছি। আরও কেনা বাকি রয়েছে। সাধ্য অনুযায়ী কিনতে পারছি না।’
দামের পাশাপাশি নানা অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। ক্রেতা জামিয়া আক্তার বলেন, ‘দোকানে এসে পছন্দ করা যাচ্ছে না। বেশি জামাকাপড় দেখতে চাইলে অনেক দোকানি বিরক্ত হচ্ছেন। দোকানিদের মধ্যে কেমন যেন একটা তাড়াহুড়া ভাব। এখন পর্যন্ত কিনতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত হয়তো অনলাইনে অর্ডার করতে হতে পারে।’
দোকানি আল আমিন বলেন, ‘নারীরা ঘরে বসেই এখন জামাকাপড় কেনাকাটা করেন। তবে এর প্রভাব এখন পর্যন্ত খুব একটা পড়েনি দোকানে। এ বছর ভালো বিক্রি হচ্ছে।’
ঈদ সামনে রেখে এ বছর পোশাকের দোকানগুলোতে নতুন জামাকাপড়ের বেশ সমারোহ রয়েছে। মেয়েদের থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, সারারা, জারারা ড্রেস, শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, মসলিন শাড়ি, জামদানি শাড়ি, ছেলেদের পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, জিন্সপ্যান্ট বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে