সম্পাদকীয়
হ্যাঁ, ব্যাপারটা লজ্জার। ব্যাপারটা অপমানজনক। পাঠ্যবইয়ের বাইরে সহায়ক বই নিয়ে যে রমরমা ব্যবসা করছে একশ্রেণির মানুষ, তারা যে শিক্ষাকে বাণিজ্য করে তুলেছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা একধরনের দুর্বৃত্তপনা। শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কহীন এই ব্যবসা কিন্তু ফুলেফেঁপে উঠেছে। দেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
আমরা যে সবকিছুকেই পচিয়ে ফেলতে পারি, তার একটি উৎকৃষ্ট নমুনা পাওয়া যাবে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার মধ্যে। রাষ্ট্রের সব শিশু শিক্ষার আলো পাবে—এটা কোনো দাবির ব্যাপার নয়। এটা স্বাভাবিক এবং বাঞ্ছনীয়। কিন্তু দারিদ্র্যসহ নানা জটিলতার কারণে আমাদের দেশে সব শিশু শিক্ষালয় পর্যন্ত যেতে পারে না। একসময় স্কুলের বই কিনে পড়তে হতো। এখন বছরের শুরুতেই নতুন বই হাতে পায় শিশুরা। নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দই আলাদা। বোঝা যায়, শিশুদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়ার সদিচ্ছা রয়েছে সরকারের। তাই বই যদি বিনা মূল্যে পাওয়া যায় এবং স্কুলে যদি শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রকৃত শিক্ষা পাওয়া যায়, তাহলে একটি শিশুর জন্য নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সহায়ক বই। গাঁটের পয়সা খরচ করে এই বস্তু গিলতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের!
নোট বই কিংবা গাইড বইয়ের ওপর যাতে কেউ নির্ভর না করে, সে জন্য সেগুলো বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ। সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল শিশুদের যৌক্তিক ও সৃজনশীল ভাবনার বিস্তার ঘটানোর জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ী মহল এতটাই সক্রিয় যে, তারা সৃজনশীলতাকেও ব্যবসার মোড়কে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। সৃজনশীলতার প্রাথমিক ভাবনাটা তাতেই মৃত বলে ঘোষিত হয়েছে।
নিজের মতো করে ভাবার অবকাশ যেখানে নেই, সেখানে বুদ্ধি অচিরেই মজা খালে পরিণত হয়। আমাদের শিক্ষা এভাবেই ‘নট নড়নচড়ন’ এক ভাগাড়ে পরিণত হওয়ার জন্য যেন উন্মুখ হয়ে বসে আছে!
১২ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখলে এটা পরিষ্কার হয় যে, শিক্ষকেরা প্রকাশকদের এই নির্লজ্জ ব্যবসায় সায় দিচ্ছেন কিছু প্রাপ্তির আশায়, যাকে সোজা বাংলায় ঘুষ বলাই শ্রেয়। যাঁরা এসব গাইড বা নোট বই লিখছেন, তাঁরাও শিক্ষক, যাঁরা বইয়ের তালিকায় এগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরাও শিক্ষক। ঘুষ খাচ্ছেন শিক্ষক সমিতিরও কেউ কেউ। পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও বাদ যাচ্ছেন না।
এই ব্যবসা বন্ধ হবে কীভাবে, সেটা ভাবা সহজ নয়। মুনাফার জন্য প্রকাশকদের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেওয়া যদি এতই সহজ হয়, তাহলে শিক্ষক সম্প্রদায় সহজে অর্থপ্রাপ্তির জায়গা থেকে সরে আসবেন, এমনটা ভাবা যাচ্ছে না। এই মুনাফাখোর দলটির বিরুদ্ধে কঠোরতাই কাম্য। কিন্তু শর্ষের মধ্যে যে ভূত থাকে, সে তো আমরা দিনের পর দিন দেখেই যাচ্ছি, তাই ভালো কিছুর আশা করতে হয় শুধু ‘মিরাকল’-এর ওপর বিশ্বাস রাখলেই। আপাতত আর কোনোভাবেই নয়।
হ্যাঁ, ব্যাপারটা লজ্জার। ব্যাপারটা অপমানজনক। পাঠ্যবইয়ের বাইরে সহায়ক বই নিয়ে যে রমরমা ব্যবসা করছে একশ্রেণির মানুষ, তারা যে শিক্ষাকে বাণিজ্য করে তুলেছে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা একধরনের দুর্বৃত্তপনা। শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কহীন এই ব্যবসা কিন্তু ফুলেফেঁপে উঠেছে। দেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।
আমরা যে সবকিছুকেই পচিয়ে ফেলতে পারি, তার একটি উৎকৃষ্ট নমুনা পাওয়া যাবে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার মধ্যে। রাষ্ট্রের সব শিশু শিক্ষার আলো পাবে—এটা কোনো দাবির ব্যাপার নয়। এটা স্বাভাবিক এবং বাঞ্ছনীয়। কিন্তু দারিদ্র্যসহ নানা জটিলতার কারণে আমাদের দেশে সব শিশু শিক্ষালয় পর্যন্ত যেতে পারে না। একসময় স্কুলের বই কিনে পড়তে হতো। এখন বছরের শুরুতেই নতুন বই হাতে পায় শিশুরা। নতুন বই হাতে পাওয়ার আনন্দই আলাদা। বোঝা যায়, শিশুদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়ার সদিচ্ছা রয়েছে সরকারের। তাই বই যদি বিনা মূল্যে পাওয়া যায় এবং স্কুলে যদি শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রকৃত শিক্ষা পাওয়া যায়, তাহলে একটি শিশুর জন্য নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার পথ প্রশস্ত হয়। কিন্তু সেই পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সহায়ক বই। গাঁটের পয়সা খরচ করে এই বস্তু গিলতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের!
নোট বই কিংবা গাইড বইয়ের ওপর যাতে কেউ নির্ভর না করে, সে জন্য সেগুলো বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ। সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছিল শিশুদের যৌক্তিক ও সৃজনশীল ভাবনার বিস্তার ঘটানোর জন্য। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ী মহল এতটাই সক্রিয় যে, তারা সৃজনশীলতাকেও ব্যবসার মোড়কে আবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। সৃজনশীলতার প্রাথমিক ভাবনাটা তাতেই মৃত বলে ঘোষিত হয়েছে।
নিজের মতো করে ভাবার অবকাশ যেখানে নেই, সেখানে বুদ্ধি অচিরেই মজা খালে পরিণত হয়। আমাদের শিক্ষা এভাবেই ‘নট নড়নচড়ন’ এক ভাগাড়ে পরিণত হওয়ার জন্য যেন উন্মুখ হয়ে বসে আছে!
১২ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখলে এটা পরিষ্কার হয় যে, শিক্ষকেরা প্রকাশকদের এই নির্লজ্জ ব্যবসায় সায় দিচ্ছেন কিছু প্রাপ্তির আশায়, যাকে সোজা বাংলায় ঘুষ বলাই শ্রেয়। যাঁরা এসব গাইড বা নোট বই লিখছেন, তাঁরাও শিক্ষক, যাঁরা বইয়ের তালিকায় এগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরাও শিক্ষক। ঘুষ খাচ্ছেন শিক্ষক সমিতিরও কেউ কেউ। পরিচালনা কমিটির সদস্যরাও বাদ যাচ্ছেন না।
এই ব্যবসা বন্ধ হবে কীভাবে, সেটা ভাবা সহজ নয়। মুনাফার জন্য প্রকাশকদের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেওয়া যদি এতই সহজ হয়, তাহলে শিক্ষক সম্প্রদায় সহজে অর্থপ্রাপ্তির জায়গা থেকে সরে আসবেন, এমনটা ভাবা যাচ্ছে না। এই মুনাফাখোর দলটির বিরুদ্ধে কঠোরতাই কাম্য। কিন্তু শর্ষের মধ্যে যে ভূত থাকে, সে তো আমরা দিনের পর দিন দেখেই যাচ্ছি, তাই ভালো কিছুর আশা করতে হয় শুধু ‘মিরাকল’-এর ওপর বিশ্বাস রাখলেই। আপাতত আর কোনোভাবেই নয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে