পারভেজ হোসেন
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়। আমি তখন জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ওই কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়েছি। আমার শিক্ষক ছিলেন কথাসাহিত্যিক শওকত আলী, নাট্যকার মমতাজউদদীন আহমদ। থাকি পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে।
ইন্টারমিডিয়েটে পড়াকালে শওকত স্যারের প্রেরণায় দেয়াল পত্রিকা করেছিলাম। পত্রিকাটির নাম ছিল ‘মনের মুকুরে’। অনার্সে উঠে খোঁজ পাই ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার প্রতিষ্ঠিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের। সেখানে পাঠচক্র হয়। বইয়ের রাজ্যে ঢুকে পাঠের আনন্দে বুঁদ হয়ে একসময় লাইব্রেরির দায়িত্ব পালনের কর্মী হয়ে যাই।
বছরখানেকের মধ্যে কেন্দ্র চলে আসে নিজের ভবনে, বাংলামোটরে। কাজের ফাঁকে দল বেঁধে প্রতিদিন নিয়ম করে আড্ডা দিই কেন্দ্রের আমতলায় এবং লাইব্রেরির ছাদে। সাহিত্য নিয়ে আমাদের তরুণ লিখিয়েদের উন্মাদনার শেষ নেই। তখন ছোটকাগজ করতাম।
পত্রিকাটির নাম ছিল ‘সংবেদ’। আজও স্মরণ হয় সেই পত্রিকা নিয়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একুশের বইমেলায় ঘাসের ওপর চাদর বিছিয়ে বসতাম। লিটল ম্যাগাজিন, সাহিত্য পত্রিকা ছাড়াও তখন একুশের অজস্র সংকলন বের হতো নানা সংগঠন থেকে। সবাই ওভাবেই বসত। আরও পরে চেয়ার-টেবিল নিয়ে যে যেদিকে পারত, একটু জায়গা করে নিত।
একাডেমির ওইটুকু চত্বরে ছোট ছোট অসংখ্য স্টলের গাদাগাদির মধ্যে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, কবি, নাট্যকার, সংস্কৃতিকর্মীর প্রাণোচ্ছল উপস্থিতির ভিড় ঠেলে ঘুরে ঘুরে বই কেনা হয়ে উঠত দুষ্কর। তবুও সেই প্রাণবন্ত সজীব আর আনন্দময় মেলা যে দেখেনি তার পক্ষে তা কল্পনা করাও কঠিন। পর্যায়ক্রমে দেশের মানুষের পাঠাভ্যাস, মনন ও সৃজনশীলতার প্রতীক রূপে একুশের বইমেলা লেখক-পাঠক-প্রকাশকের সর্বজনীন উৎসবের মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এবং বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত।
আমাদের এই অমর একুশের বইমেলা কিন্তু অন্যান্য বইমেলার মতো নয়। যে দিন থেকে যেভাবেই এর সূচনা হয়ে থাকুক না কেন, প্রতিবছর এই মেলাটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রভাষার জন্য আমাদের লড়াই, আমাদের সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা, আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের যে ইতিহাস, তাকে সম্মান করছি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তা না হলে এক মাস ধরে এত মানুষের সমাগম শুধু বই দেখা, বই ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে সম্ভব হতো কি? একুশ নিয়ে মানুষের চেতনায় যে আবেগ জমে আছে এই মেলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার প্রস্ফুটন ঘটছে।
দিনে দিনে মেলার আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, গণমাধ্যমের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বই মেলা। এটা এখন জাতীয় উৎসবে রূপ নিয়েছে। আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট-বড় সব প্রকাশকের মেলায় অংশগ্রহণে যে আগ্রহ দেখি, তাতে কী মনে হয়? প্রতিবছরই তো সংখ্যা বাড়ছে। প্যাভেলিয়ন বাড়ছে। স্টল তৈরির নান্দনিকতার পেছনে নির্দ্বিধায় খরচ করছেন মালিকেরা। এটি কিন্তু প্রতিযোগিতা নয়; এটি ‘ইনভলভমেন্ট’। আমাদের এই মেলা শুধুই বই বিক্রির মেলা নয়; এটি অবশ্যই বইয়ের উৎসব। এমন এক উৎসব যেখানে গোটা জাতির সংস্কৃতির, চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটছে। এখানে শুধু অংশগ্রহণ করা নয়, প্রাণের টানে এর সঙ্গে এক মাস সম্পৃক্ত থাকতে পারাটাই মুখ্য।
কিন্তু সাংস্কৃতিক প্রশ্নে একুশের বইমেলার মতো এমন একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা আরও যা কিছু করতে পারতাম, যত দূর এগোনো যেত তা কি পেরেছি? দেশে আর কোন উৎসব আছে যা নিয়ে একটি মাস ক্লান্তিহীনভাবে মানুষ আনন্দময় থাকে? এমনকি প্রবাসী লেখক-পাঠকও এই সময়টায় দেশে এসে মেলায় অংশ নেন, সবার সঙ্গে মিলিত হন। মিডিয়ার কল্যাণে গোটা বিশ্বের তাবৎ বাঙালি প্রতিদিন দেখছে পাচ্ছে এই মেলা।
ধীরে ধীরে বড় হওয়া এ রকম একটি মেলার, এ রকম একটি জাতীয় উৎসবের আয়োজনটিকে কারও কুক্ষিগত না রেখে মেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার সমন্বয়ে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া উচিত যাতে একুশের বইমেলার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটে, কোনো রকম মর্যাদাহানি না হয়। কিন্তু উন্নতিটা হচ্ছে কোথায়? প্রতিবছরই এই মেলা নিয়ে কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলার অভিযোগ শুনে আসছি। কিন্তু আমরা আশাহত হইনি। মেলা যখন এতটা বিস্তৃতি পেয়েছে, এতটা আলোকোজ্জ্বল হয়েছে, ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে আসবে—এ রকম ভরসা নিয়ে চল্লিশ বছর ধরে প্রতিবছর মেলায় অংশ নিয়ে যাচ্ছি।
এ বছর সেই আশায় একধরনের আঘাত লেগেছে। বড় পরিসরটাকে শুধু ছোট করাই হয়নি, পুরো আয়োজনের সবকিছুই কেমন দায়সারা গোছের যেন হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে মেলায় প্রবেশের তোরণ যা আমাকে ভেতরে প্রবেশের আহ্বান জানায়, লিটল ম্যাগাজিন যা কিনা শিল্প-সাহিত্যের আতুরঘর তার জন্য তৈরি হয়েছে যে কর্নার এসবের দিকে তাকালেই কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা আর দৈন্য চোখে পড়ে।
আগামীতে বইমেলা এই জায়গাটিতে আর অনুষ্ঠিত হতে পারবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এমন প্রশ্ন আঁতকে ওঠার মতো নয় কি?
বই এবং বইসংক্রান্ত নানা রকম বিষয় দিয়ে মেলাটিকে আরও আকর্ষণীয়, নান্দনিক করে তোলা যায়। আলাপ-আলোচনা, মতবিনিময়, কবিতা পাঠ, আড্ডা, বিষয়ভিত্তিক সেমিনারের মধ্য দিয়ে লেখক-পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মধ্যে গড়া যায় ঐক্য। দু-চার দিনের জন্য হলেও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই অন্য প্রতিষ্ঠানের সেই রকম আয়োজন আমরা অনেকবার দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে বইমেলায় এ রকম আয়োজন আরও বড় পরিসরে, আরও ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে খুব সহজেই তো করা যায়। যারা মেলায় আসেন শুধু বই কিনে নয়, বিনে পয়সায় সৃজন-নন্দন-মননের কত কিছু নিয়েই তো বাড়ি ফিরতে পারেন।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও প্রকাশক, সংবেদ
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়। আমি তখন জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ওই কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্সে ভর্তি হয়েছি। আমার শিক্ষক ছিলেন কথাসাহিত্যিক শওকত আলী, নাট্যকার মমতাজউদদীন আহমদ। থাকি পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে।
ইন্টারমিডিয়েটে পড়াকালে শওকত স্যারের প্রেরণায় দেয়াল পত্রিকা করেছিলাম। পত্রিকাটির নাম ছিল ‘মনের মুকুরে’। অনার্সে উঠে খোঁজ পাই ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার প্রতিষ্ঠিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের। সেখানে পাঠচক্র হয়। বইয়ের রাজ্যে ঢুকে পাঠের আনন্দে বুঁদ হয়ে একসময় লাইব্রেরির দায়িত্ব পালনের কর্মী হয়ে যাই।
বছরখানেকের মধ্যে কেন্দ্র চলে আসে নিজের ভবনে, বাংলামোটরে। কাজের ফাঁকে দল বেঁধে প্রতিদিন নিয়ম করে আড্ডা দিই কেন্দ্রের আমতলায় এবং লাইব্রেরির ছাদে। সাহিত্য নিয়ে আমাদের তরুণ লিখিয়েদের উন্মাদনার শেষ নেই। তখন ছোটকাগজ করতাম।
পত্রিকাটির নাম ছিল ‘সংবেদ’। আজও স্মরণ হয় সেই পত্রিকা নিয়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একুশের বইমেলায় ঘাসের ওপর চাদর বিছিয়ে বসতাম। লিটল ম্যাগাজিন, সাহিত্য পত্রিকা ছাড়াও তখন একুশের অজস্র সংকলন বের হতো নানা সংগঠন থেকে। সবাই ওভাবেই বসত। আরও পরে চেয়ার-টেবিল নিয়ে যে যেদিকে পারত, একটু জায়গা করে নিত।
একাডেমির ওইটুকু চত্বরে ছোট ছোট অসংখ্য স্টলের গাদাগাদির মধ্যে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, কবি, নাট্যকার, সংস্কৃতিকর্মীর প্রাণোচ্ছল উপস্থিতির ভিড় ঠেলে ঘুরে ঘুরে বই কেনা হয়ে উঠত দুষ্কর। তবুও সেই প্রাণবন্ত সজীব আর আনন্দময় মেলা যে দেখেনি তার পক্ষে তা কল্পনা করাও কঠিন। পর্যায়ক্রমে দেশের মানুষের পাঠাভ্যাস, মনন ও সৃজনশীলতার প্রতীক রূপে একুশের বইমেলা লেখক-পাঠক-প্রকাশকের সর্বজনীন উৎসবের মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এবং বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত।
আমাদের এই অমর একুশের বইমেলা কিন্তু অন্যান্য বইমেলার মতো নয়। যে দিন থেকে যেভাবেই এর সূচনা হয়ে থাকুক না কেন, প্রতিবছর এই মেলাটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রভাষার জন্য আমাদের লড়াই, আমাদের সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা, আমাদের স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের যে ইতিহাস, তাকে সম্মান করছি। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তা না হলে এক মাস ধরে এত মানুষের সমাগম শুধু বই দেখা, বই ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে সম্ভব হতো কি? একুশ নিয়ে মানুষের চেতনায় যে আবেগ জমে আছে এই মেলার আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার প্রস্ফুটন ঘটছে।
দিনে দিনে মেলার আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, গণমাধ্যমের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বই মেলা। এটা এখন জাতীয় উৎসবে রূপ নিয়েছে। আদর্শ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট-বড় সব প্রকাশকের মেলায় অংশগ্রহণে যে আগ্রহ দেখি, তাতে কী মনে হয়? প্রতিবছরই তো সংখ্যা বাড়ছে। প্যাভেলিয়ন বাড়ছে। স্টল তৈরির নান্দনিকতার পেছনে নির্দ্বিধায় খরচ করছেন মালিকেরা। এটি কিন্তু প্রতিযোগিতা নয়; এটি ‘ইনভলভমেন্ট’। আমাদের এই মেলা শুধুই বই বিক্রির মেলা নয়; এটি অবশ্যই বইয়ের উৎসব। এমন এক উৎসব যেখানে গোটা জাতির সংস্কৃতির, চিন্তা-চেতনার প্রতিফলন ঘটছে। এখানে শুধু অংশগ্রহণ করা নয়, প্রাণের টানে এর সঙ্গে এক মাস সম্পৃক্ত থাকতে পারাটাই মুখ্য।
কিন্তু সাংস্কৃতিক প্রশ্নে একুশের বইমেলার মতো এমন একটি উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা আরও যা কিছু করতে পারতাম, যত দূর এগোনো যেত তা কি পেরেছি? দেশে আর কোন উৎসব আছে যা নিয়ে একটি মাস ক্লান্তিহীনভাবে মানুষ আনন্দময় থাকে? এমনকি প্রবাসী লেখক-পাঠকও এই সময়টায় দেশে এসে মেলায় অংশ নেন, সবার সঙ্গে মিলিত হন। মিডিয়ার কল্যাণে গোটা বিশ্বের তাবৎ বাঙালি প্রতিদিন দেখছে পাচ্ছে এই মেলা।
ধীরে ধীরে বড় হওয়া এ রকম একটি মেলার, এ রকম একটি জাতীয় উৎসবের আয়োজনটিকে কারও কুক্ষিগত না রেখে মেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার সমন্বয়ে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া উচিত যাতে একুশের বইমেলার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটে, কোনো রকম মর্যাদাহানি না হয়। কিন্তু উন্নতিটা হচ্ছে কোথায়? প্রতিবছরই এই মেলা নিয়ে কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলার অভিযোগ শুনে আসছি। কিন্তু আমরা আশাহত হইনি। মেলা যখন এতটা বিস্তৃতি পেয়েছে, এতটা আলোকোজ্জ্বল হয়েছে, ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে আসবে—এ রকম ভরসা নিয়ে চল্লিশ বছর ধরে প্রতিবছর মেলায় অংশ নিয়ে যাচ্ছি।
এ বছর সেই আশায় একধরনের আঘাত লেগেছে। বড় পরিসরটাকে শুধু ছোট করাই হয়নি, পুরো আয়োজনের সবকিছুই কেমন দায়সারা গোছের যেন হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে মেলায় প্রবেশের তোরণ যা আমাকে ভেতরে প্রবেশের আহ্বান জানায়, লিটল ম্যাগাজিন যা কিনা শিল্প-সাহিত্যের আতুরঘর তার জন্য তৈরি হয়েছে যে কর্নার এসবের দিকে তাকালেই কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা আর দৈন্য চোখে পড়ে।
আগামীতে বইমেলা এই জায়গাটিতে আর অনুষ্ঠিত হতে পারবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এমন প্রশ্ন আঁতকে ওঠার মতো নয় কি?
বই এবং বইসংক্রান্ত নানা রকম বিষয় দিয়ে মেলাটিকে আরও আকর্ষণীয়, নান্দনিক করে তোলা যায়। আলাপ-আলোচনা, মতবিনিময়, কবিতা পাঠ, আড্ডা, বিষয়ভিত্তিক সেমিনারের মধ্য দিয়ে লেখক-পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মধ্যে গড়া যায় ঐক্য। দু-চার দিনের জন্য হলেও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই অন্য প্রতিষ্ঠানের সেই রকম আয়োজন আমরা অনেকবার দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে বইমেলায় এ রকম আয়োজন আরও বড় পরিসরে, আরও ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে খুব সহজেই তো করা যায়। যারা মেলায় আসেন শুধু বই কিনে নয়, বিনে পয়সায় সৃজন-নন্দন-মননের কত কিছু নিয়েই তো বাড়ি ফিরতে পারেন।
লেখক: কথাসাহিত্যিক ও প্রকাশক, সংবেদ
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে