রানা আব্বাস, আহমেদাবাদ থেকে
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কাল দুপুরে ঢোকার সময় গলায় আইসিসির অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড (পরিচয়পত্র) দেখে প্রধান ফটকের সামনে তৈরি বিশাল ভিড়ের মধ্যে দু-একজন ভারতীয় দর্শক বড় আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এলেন। কাতরকণ্ঠে অনুরোধ, একটা টিকিট হবে?
ভারতের মাঠে ভারতীয় দলের সাধারণ একটা সিরিজের টিকিটই যেখানে স্বাগতিক দর্শকদের কাছে সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে আজকের ফাইনালে একটা টিকিটের মূল্য কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, একবার ভাবুন তো?
শুনে চোখ কপালে উঠতে পারে, স্টেডিয়ামের অভিজাত গ্যালারি ‘প্রিমিয়াম সুইট’-এর ৩০ হাজার রুপি দামের টিকিট কালোবাজারে ৪-৫ লাখ রুপি পর্যন্ত উঠেছে এবং সেটা কেনার মানুষের অভাব নেই ভারতে!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালটা হচ্ছে। ১ লাখের বেশি দর্শক ধারণক্ষমতা থাকার পরও দর্শকদের আকুতি দেখে মনে হলো, আজ ৫ লাখ দর্শক মাঠে আসতে পারলেও টিকিট সোনার হরিণই থেকে যাবে। ১৫০ কোটি মানুষের দেশের দল দাপুটে ক্রিকেট খেলে উঠেছে ফাইনালে, সেটিও ঘরের মাঠে—ক্রিকেটপাগল ভারতীয় দর্শকদের তো আজ ‘পাগল’ই হওয়ার দিন। ফাইনালের মঞ্চে দুর্দান্ত কোহলি-শামির পারফরম্যান্স সচক্ষে দেখতে তাঁরা উন্মুখ। পরশু এক ট্যাক্সিচালক বলছিলেন, ভারত যদি শিরোপা জিতে যায়, আহমেদাবাদে যে উৎসবটা হবে, রাস্তায় চলতেই পারবেন না! নীল সমুদ্রের রূপ নেওয়া মাঠের গর্জন ছড়িয়ে পড়বে ভারতের প্রতিটি রাজ্যে। ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পর যেটা হয়েছিল।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষকে একটা বড় মিলনায়তন বলা চলে। সেখানে প্রায় ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানালেন, তিনি কত বড় এক স্বপ্ন লালন করে চলেছেন মনে। শৈশব থেকে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দেখে বড় হয়েছেন। এটিই সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপ জিততে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত, যিনি ঘরের মাঠে হওয়া ২০১১ বিশ্বকাপের দলে থাকার সুযোগ পাননি। তাঁরই শহর মুম্বাইয়ে ভারতীয় দল যখন জয়োৎসব করেছে, তিনি সেটা দেখেছেন ‘দর্শক’ হয়ে। আজ রোহিতের সুযোগ এসেছে মাঠে ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শককে সাক্ষী রেখে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে।
রোহিত যখন এই স্বপ্ন দেখছেন, অজিরা তখন রণকৌশল সাজাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের দর্শকদের নিস্তব্ধ করে দেওয়ার। ১৯৫০ ফুটবল বিশ্বকাপে লাখো দর্শকে পূর্ণ মারাকানায় ব্রাজিলের বিপক্ষে যেটা করেছিল উরুগুয়ে—ব্রাজিলিয়ানদের কাছে সে ট্র্যাজেডির অন্য নাম হয়ে যায় ‘মারাকানাজো’। আজ অস্ট্রেলিয়াও ভারতীয়দের নৈঃশব্দ্যের অতল গহ্বরে ডুবিয়ে রাখতে চায়, কাল সেটি অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের কথাতেই পরিষ্কার, ‘এই বিপুল দর্শককে নৈঃশব্দ্যে ডুবিয়ে দেওয়ার চেয়ে তৃপ্তির আর কিছু হতে পারে না।’
গত ১০ বছরে আইসিসির কোনো ইভেন্ট না জেতা ভারতের শিরোপার ক্ষুধা এখন তীব্র থেকে তীব্রতর। এবার এটি জিততে ভারত হোম কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে—এমন একটি বিতর্ক জোরালো হয়েছে মুম্বাইয়ের সেমিফাইনাল থেকে। পিচ-বিতর্ক এতটাই উচ্চকিত, কাল সকালে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক কামিন্স উইকেটের ছবি তুললেন, ভিডিও করে রাখলেন ফোনে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফরা বারবার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ করেছেন মোদি স্টেডিয়ামের উইকেট।
উইকেট নিয়ে বেশ চাপে আছেন মোদি স্টেডিয়ামের কিউরেটর। কাল বিকেলে পিচে বল দিয়ে বাউন্স পরীক্ষার পর আরেকবার রোল চালানো হয়েছে। উইকেট কেমন মনে হচ্ছে, এ প্রশ্নে কামিন্স বলেছেন, এখানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা যে উইকেটে হয়েছে। ওই ম্যাচে পাকিস্তান অলআউট ১৯১ রানে। লো স্কোরিং ম্যাচ ভারত টপকে যায় ৩ উইকেট হাতে রেখে। এই রাজ্যের তিন ক্রিকেটার জসপ্রীত বুমরা (আহমেদাবাদেরই ছেলে), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা—তিনজনের বোলিংয়ের সামনে একেবারে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। লিগ পর্বে এ মাঠে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে ৩৩ রানে হারিয়েছিল ২৮৬ রান করে।
ভারত যদি ‘গোল্ডেন এ-প্লাস’ বা ১০-এ ১০ করে ফাইনালে ওঠে, অস্ট্রেলিয়া ‘এ-প্লাস’ বা ১০-এ ৮ নম্বর নিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নামছে। আর অজিরা যত শিরোপার কাছাকাছি যায়, তারা ততই দুর্দান্ত। পাঁচবার বিশ্বকাপ তাঁরা এমনি জেতেনি। এই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২০ বছর আগের এক হিসাব চোকাতে চায় ভারত। জোহানেসবার্গে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের সেই ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
আহমেদাবাদে ২০ বছরের পুরোনো বদলা নেওয়ার আগে রোহিতদের পরিসংখ্যানেও চোখ রাখতে হচ্ছে। গত তিন বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতেছে পরে ব্যাটিং করা দল। এমনকি গত চার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই ছবি। এ আহমেদাবাদেই লিগ পর্বের চারটির তিনটি ম্যাচই জিতেছে পরে ব্যাটিং করা দল। এখানে হওয়া দুটো আইপিএলের ফাইনালেও একই চিত্র। যদি শিশির কোনো বড় ফ্যাক্টর না হয়, ফ্লাডলাইটের আলোয় রান তাড়া যেন ‘আনন্দের’ এক কাজ ব্যাটারদের জন্য। টস জিতলে তাই দুই দলই রান তাড়াকেই বেশি গুরুত্ব দিতে পারে।
তার মানে ফাইনালেও টস অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রোহিত তা মনে করেন না। টস জেতার ওপর যদি জয়-পরাজয় নির্ভর করে, তাহলে আর ফাইনাল খেলা কেন? সোজা হিসাব, যেকোনো পরিস্থিতিতে শিরোপা জেতার আত্মবিশ্বাস আর সাহস না থাকলে এই ট্রফি তার নয়। তাহলে তৈরি হন রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল দেখতে। আর সেই ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য নেমে আসবে নাকি সবরমতীর তীরে উঠবে উচ্ছ্বাসের ঢেউ—উত্তর জানতে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে কাল দুপুরে ঢোকার সময় গলায় আইসিসির অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড (পরিচয়পত্র) দেখে প্রধান ফটকের সামনে তৈরি বিশাল ভিড়ের মধ্যে দু-একজন ভারতীয় দর্শক বড় আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এলেন। কাতরকণ্ঠে অনুরোধ, একটা টিকিট হবে?
ভারতের মাঠে ভারতীয় দলের সাধারণ একটা সিরিজের টিকিটই যেখানে স্বাগতিক দর্শকদের কাছে সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে আজকের ফাইনালে একটা টিকিটের মূল্য কোন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, একবার ভাবুন তো?
শুনে চোখ কপালে উঠতে পারে, স্টেডিয়ামের অভিজাত গ্যালারি ‘প্রিমিয়াম সুইট’-এর ৩০ হাজার রুপি দামের টিকিট কালোবাজারে ৪-৫ লাখ রুপি পর্যন্ত উঠেছে এবং সেটা কেনার মানুষের অভাব নেই ভারতে!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালটা হচ্ছে। ১ লাখের বেশি দর্শক ধারণক্ষমতা থাকার পরও দর্শকদের আকুতি দেখে মনে হলো, আজ ৫ লাখ দর্শক মাঠে আসতে পারলেও টিকিট সোনার হরিণই থেকে যাবে। ১৫০ কোটি মানুষের দেশের দল দাপুটে ক্রিকেট খেলে উঠেছে ফাইনালে, সেটিও ঘরের মাঠে—ক্রিকেটপাগল ভারতীয় দর্শকদের তো আজ ‘পাগল’ই হওয়ার দিন। ফাইনালের মঞ্চে দুর্দান্ত কোহলি-শামির পারফরম্যান্স সচক্ষে দেখতে তাঁরা উন্মুখ। পরশু এক ট্যাক্সিচালক বলছিলেন, ভারত যদি শিরোপা জিতে যায়, আহমেদাবাদে যে উৎসবটা হবে, রাস্তায় চলতেই পারবেন না! নীল সমুদ্রের রূপ নেওয়া মাঠের গর্জন ছড়িয়ে পড়বে ভারতের প্রতিটি রাজ্যে। ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার পর যেটা হয়েছিল।
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষকে একটা বড় মিলনায়তন বলা চলে। সেখানে প্রায় ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানালেন, তিনি কত বড় এক স্বপ্ন লালন করে চলেছেন মনে। শৈশব থেকে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ দেখে বড় হয়েছেন। এটিই সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপ জিততে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত, যিনি ঘরের মাঠে হওয়া ২০১১ বিশ্বকাপের দলে থাকার সুযোগ পাননি। তাঁরই শহর মুম্বাইয়ে ভারতীয় দল যখন জয়োৎসব করেছে, তিনি সেটা দেখেছেন ‘দর্শক’ হয়ে। আজ রোহিতের সুযোগ এসেছে মাঠে ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শককে সাক্ষী রেখে ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে।
রোহিত যখন এই স্বপ্ন দেখছেন, অজিরা তখন রণকৌশল সাজাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের দর্শকদের নিস্তব্ধ করে দেওয়ার। ১৯৫০ ফুটবল বিশ্বকাপে লাখো দর্শকে পূর্ণ মারাকানায় ব্রাজিলের বিপক্ষে যেটা করেছিল উরুগুয়ে—ব্রাজিলিয়ানদের কাছে সে ট্র্যাজেডির অন্য নাম হয়ে যায় ‘মারাকানাজো’। আজ অস্ট্রেলিয়াও ভারতীয়দের নৈঃশব্দ্যের অতল গহ্বরে ডুবিয়ে রাখতে চায়, কাল সেটি অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের কথাতেই পরিষ্কার, ‘এই বিপুল দর্শককে নৈঃশব্দ্যে ডুবিয়ে দেওয়ার চেয়ে তৃপ্তির আর কিছু হতে পারে না।’
গত ১০ বছরে আইসিসির কোনো ইভেন্ট না জেতা ভারতের শিরোপার ক্ষুধা এখন তীব্র থেকে তীব্রতর। এবার এটি জিততে ভারত হোম কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে—এমন একটি বিতর্ক জোরালো হয়েছে মুম্বাইয়ের সেমিফাইনাল থেকে। পিচ-বিতর্ক এতটাই উচ্চকিত, কাল সকালে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক কামিন্স উইকেটের ছবি তুললেন, ভিডিও করে রাখলেন ফোনে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফরা বারবার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ করেছেন মোদি স্টেডিয়ামের উইকেট।
উইকেট নিয়ে বেশ চাপে আছেন মোদি স্টেডিয়ামের কিউরেটর। কাল বিকেলে পিচে বল দিয়ে বাউন্স পরীক্ষার পর আরেকবার রোল চালানো হয়েছে। উইকেট কেমন মনে হচ্ছে, এ প্রশ্নে কামিন্স বলেছেন, এখানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা যে উইকেটে হয়েছে। ওই ম্যাচে পাকিস্তান অলআউট ১৯১ রানে। লো স্কোরিং ম্যাচ ভারত টপকে যায় ৩ উইকেট হাতে রেখে। এই রাজ্যের তিন ক্রিকেটার জসপ্রীত বুমরা (আহমেদাবাদেরই ছেলে), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা—তিনজনের বোলিংয়ের সামনে একেবারে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। লিগ পর্বে এ মাঠে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে ৩৩ রানে হারিয়েছিল ২৮৬ রান করে।
ভারত যদি ‘গোল্ডেন এ-প্লাস’ বা ১০-এ ১০ করে ফাইনালে ওঠে, অস্ট্রেলিয়া ‘এ-প্লাস’ বা ১০-এ ৮ নম্বর নিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নামছে। আর অজিরা যত শিরোপার কাছাকাছি যায়, তারা ততই দুর্দান্ত। পাঁচবার বিশ্বকাপ তাঁরা এমনি জেতেনি। এই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২০ বছর আগের এক হিসাব চোকাতে চায় ভারত। জোহানেসবার্গে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালের সেই ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
আহমেদাবাদে ২০ বছরের পুরোনো বদলা নেওয়ার আগে রোহিতদের পরিসংখ্যানেও চোখ রাখতে হচ্ছে। গত তিন বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতেছে পরে ব্যাটিং করা দল। এমনকি গত চার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই ছবি। এ আহমেদাবাদেই লিগ পর্বের চারটির তিনটি ম্যাচই জিতেছে পরে ব্যাটিং করা দল। এখানে হওয়া দুটো আইপিএলের ফাইনালেও একই চিত্র। যদি শিশির কোনো বড় ফ্যাক্টর না হয়, ফ্লাডলাইটের আলোয় রান তাড়া যেন ‘আনন্দের’ এক কাজ ব্যাটারদের জন্য। টস জিতলে তাই দুই দলই রান তাড়াকেই বেশি গুরুত্ব দিতে পারে।
তার মানে ফাইনালেও টস অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রোহিত তা মনে করেন না। টস জেতার ওপর যদি জয়-পরাজয় নির্ভর করে, তাহলে আর ফাইনাল খেলা কেন? সোজা হিসাব, যেকোনো পরিস্থিতিতে শিরোপা জেতার আত্মবিশ্বাস আর সাহস না থাকলে এই ট্রফি তার নয়। তাহলে তৈরি হন রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল দেখতে। আর সেই ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য নেমে আসবে নাকি সবরমতীর তীরে উঠবে উচ্ছ্বাসের ঢেউ—উত্তর জানতে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে