রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের শিরীন ম্যানশনে বিস্ফোরণের ঘটনার ৯ মাস পর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে ভবনটির নিচতলায় থাকা রেস্টুরেন্ট মালিকের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কথা বলা হয়েছে, যিনি এখন মৃত। এ কারণে তাঁকেও দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ।
গত বছরের ৫ মার্চ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের শিরীন ম্যানশনে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন লেগে যায়। ঘটনার দিন তিনজন, পরে আরও তিনজনসহ মোট ছয়জন মারা যান। অনেকে আহত হন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার তিন দিন পর অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় থানা-পুলিশ। একাধিকবার তারিখ পেছানোর পর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনটির নিচতলা ভাড়া নিয়ে প্যারাডাইস হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালাতেন এ এস এম আব্দুল্লাহ। এ জন্য ভবনটির নিচতলায় রান্নাঘরের জন্য একটি গ্যাসলাইনের অনুমোদন নেওয়া হয়। কিন্তু একটি চুলার অনুমোদন নিলেও পাতলা প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার করে একাধিক গ্যাসের চুলা ব্যবহার করা হতো ওই রেস্টুরেন্টে। এতে রান্নাঘরের গ্যাসে সুয়ারেজের পাইপের মাধ্যমে ভবনের তৃতীয় তলায় চলে যায়। সেখানে ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কাচঘেরা আবদ্ধ রুমে গ্যাস প্রবেশ করে বিপজ্জনক মিশ্রণ তৈরি করে, যা পরে বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বিস্ফোরণের ফলে ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন লেগে যায়।
এ এস এম আব্দুল্লাহর অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে দুর্ঘটনাটি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, পুলিশের এই তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নন ওই ঘটনায় নিহতদের স্বজনেরা। তাঁরা বলছেন, এখানে ভবনমালিক, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষসহ অন্যদের দায় আছে। অথচ পুলিশ বর্তমানে মৃত একজন ভাড়াটের (রেস্টুরেন্ট মালিক) ওপর দায় চাপিয়ে তদন্ত শেষ করেছে।
বিস্ফোরণে নিহত সাদিকুর রহমান তুষারের ভাই মো. সফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের এই তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা সন্তুষ্ট নই। এখানে শুধু ভাড়াটে নয়, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, ভবনমালিকেরও দায় রয়েছে। সুষ্ঠু একটা তদন্তের মাধ্যমে কেন এমন হলো, কার দায় কতটুকু—তা খুঁজে বের করা হোক। নতুন করে আবার তদন্ত চাই। প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা দরকার।’
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ১৫ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র নূর নবী। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নিহত নূর নবীর বাবা জজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নতুন করে তদন্ত করতে নিহত স্বজনদের দাবির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) পাভেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তে রেস্টুরেন্টের মালিকের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগেই তিনি মারা যান। সবকিছু মিলিয়ে একটা প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। যা পাওয়া গেছে তদন্তে, তা-ই বলা হয়েছে। এর বাইরে বলার কিছু নেই। এখন এটি আদালতের বিষয়। বিচার-বিশ্লেষণ আদালত করবেন।
পুলিশের তদন্তের বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু ভাড়াটে নয়, ভবনমালিক ও তিতাস কর্তৃপক্ষেরও দেখভালের দায়িত্ব থেকে যায়। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে নিহতদের পরিবার অসন্তুষ্ট হলে নারাজি আবেদন দিতে পারে। এমনকি আদালত যদি মনে করে, নিজে থেকেও মামলাটি পুনরায় তদন্তে পাঠাতে পারে।
ভবনটি বিস্ফোরণের ঘটনার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও ৮ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ভাঙা ভবনটি এখনো পড়ে আছে। ভেতরে গিয়ে দেখা হয় ভবনটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা সাদেকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভবনটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ভিত্তি ঠিক রয়েছে। নতুন করে ভবনের সংস্কারকাজ চলবে। তবে সংস্কারকাজ এখনো শুরু হয়নি।
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের শিরীন ম্যানশনে বিস্ফোরণের ঘটনার ৯ মাস পর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে ভবনটির নিচতলায় থাকা রেস্টুরেন্ট মালিকের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কথা বলা হয়েছে, যিনি এখন মৃত। এ কারণে তাঁকেও দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ।
গত বছরের ৫ মার্চ রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবের শিরীন ম্যানশনে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন লেগে যায়। ঘটনার দিন তিনজন, পরে আরও তিনজনসহ মোট ছয়জন মারা যান। অনেকে আহত হন। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার তিন দিন পর অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় থানা-পুলিশ। একাধিকবার তারিখ পেছানোর পর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভবনটির নিচতলা ভাড়া নিয়ে প্যারাডাইস হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালাতেন এ এস এম আব্দুল্লাহ। এ জন্য ভবনটির নিচতলায় রান্নাঘরের জন্য একটি গ্যাসলাইনের অনুমোদন নেওয়া হয়। কিন্তু একটি চুলার অনুমোদন নিলেও পাতলা প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার করে একাধিক গ্যাসের চুলা ব্যবহার করা হতো ওই রেস্টুরেন্টে। এতে রান্নাঘরের গ্যাসে সুয়ারেজের পাইপের মাধ্যমে ভবনের তৃতীয় তলায় চলে যায়। সেখানে ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কাচঘেরা আবদ্ধ রুমে গ্যাস প্রবেশ করে বিপজ্জনক মিশ্রণ তৈরি করে, যা পরে বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বিস্ফোরণের ফলে ভবনের তৃতীয় তলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন লেগে যায়।
এ এস এম আব্দুল্লাহর অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণে দুর্ঘটনাটি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, পুলিশের এই তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নন ওই ঘটনায় নিহতদের স্বজনেরা। তাঁরা বলছেন, এখানে ভবনমালিক, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষসহ অন্যদের দায় আছে। অথচ পুলিশ বর্তমানে মৃত একজন ভাড়াটের (রেস্টুরেন্ট মালিক) ওপর দায় চাপিয়ে তদন্ত শেষ করেছে।
বিস্ফোরণে নিহত সাদিকুর রহমান তুষারের ভাই মো. সফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশের এই তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা সন্তুষ্ট নই। এখানে শুধু ভাড়াটে নয়, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, ভবনমালিকেরও দায় রয়েছে। সুষ্ঠু একটা তদন্তের মাধ্যমে কেন এমন হলো, কার দায় কতটুকু—তা খুঁজে বের করা হোক। নতুন করে আবার তদন্ত চাই। প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা দরকার।’
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ১৫ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র নূর নবী। তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নিহত নূর নবীর বাবা জজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
নতুন করে তদন্ত করতে নিহত স্বজনদের দাবির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) পাভেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তে রেস্টুরেন্টের মালিকের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে। কিন্তু আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগেই তিনি মারা যান। সবকিছু মিলিয়ে একটা প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। যা পাওয়া গেছে তদন্তে, তা-ই বলা হয়েছে। এর বাইরে বলার কিছু নেই। এখন এটি আদালতের বিষয়। বিচার-বিশ্লেষণ আদালত করবেন।
পুলিশের তদন্তের বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবির বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু ভাড়াটে নয়, ভবনমালিক ও তিতাস কর্তৃপক্ষেরও দেখভালের দায়িত্ব থেকে যায়। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে নিহতদের পরিবার অসন্তুষ্ট হলে নারাজি আবেদন দিতে পারে। এমনকি আদালত যদি মনে করে, নিজে থেকেও মামলাটি পুনরায় তদন্তে পাঠাতে পারে।
ভবনটি বিস্ফোরণের ঘটনার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও ৮ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনটি টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ভাঙা ভবনটি এখনো পড়ে আছে। ভেতরে গিয়ে দেখা হয় ভবনটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা সাদেকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভবনটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ভিত্তি ঠিক রয়েছে। নতুন করে ভবনের সংস্কারকাজ চলবে। তবে সংস্কারকাজ এখনো শুরু হয়নি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে