কামরুল হাসান, ধোবাউড়া
ধোবাউড়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউপির মধ্যে ১ টিতে আওয়ামী লীগ এবং ৫ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আর এক ইউপিতে এক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, প্রার্থীদের জয়ের অনীহা এবং নিষ্ক্রিয়তার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এই উপজেলার ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নৌকার প্রার্থীদের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে যে পাঁচজন বিজয়ী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুজন এবং তিনজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ধোবাউড়া উপজেলার সিত ইউপির একটিতে নৌকার প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন, ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুকুল। দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। অপর তিনটিতে বিএনপি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঘোষগাঁও ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন-অর-রশীদ, গামারীতলা ইউপিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, পুড়াকান্দুলিয়া ইউপিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, গোয়াতলা ইউপিতে বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টুটন, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির হুমায়ুন কবির সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রতিটি ইউপিতে নৌকার অবস্থান সব প্রার্থীর নিচে রয়েছে। এর মধ্যে গামারীতলা ইউনিয়ন, গোয়াতলা ইউনিয়ন ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নৌকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ দেখা গেছে।
গামারীতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান বাবুল সর্বমোট ভোট পেয়েছেন ১৫৮ টি। একইভাবে পরাজয় বরণ করেছেন গোয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। তিনি মাত্র ৩৭৬টি ভোট পেয়েছেন। ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে শামসুল হক পেয়েছেন ৩৯২ ভোট।
সাত ইউপির মধ্যে ছয়টির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এক ইউপির এক কেন্দ্রের ফল বাতিল করা হয়েছে। সেখানেও নৌকার অবস্থান খুব খারাপ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, দলীয় কোন্দল এবং যোগ্য প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় এ ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা, স্বজনপ্রীতি ও জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ায় এ লজ্জাজনক হার হয়েছে। সাধারণ ভোটারেরা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন।
ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তৃণমূল নেতা–কর্মীদের মতামত না নিয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেওয়া এবং অধিকাংশ প্রার্থী মনোনয়ন প্রাপ্তির পর রহস্যজনক কারণে নিজেরাই জয়লাভের ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেন। তা না হলে গামারীতলা, ঘোষগাঁও ও গোয়াতলা ইউনিয়নে প্রার্থীদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে নৌকা প্রতীকের লজ্জাজনক হার হতো না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য করে অগ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় নৌকার এ ভরাডুবি হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসাইন বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা নৌকার নির্বাচন করেননি। আমি চেষ্টা করেছিলাম সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে। কিন্তু অনেক নেতা শুধু মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন আর ভোট চেয়েছেন বিদ্রোহীদের জন্য।
ধোবাউড়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউপির মধ্যে ১ টিতে আওয়ামী লীগ এবং ৫ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আর এক ইউপিতে এক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, প্রার্থীদের জয়ের অনীহা এবং নিষ্ক্রিয়তার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এই উপজেলার ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নৌকার প্রার্থীদের বাইরে স্বতন্ত্র হিসেবে যে পাঁচজন বিজয়ী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুজন এবং তিনজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ধোবাউড়া উপজেলার সিত ইউপির একটিতে নৌকার প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন, ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুকুল। দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। অপর তিনটিতে বিএনপি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঘোষগাঁও ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন-অর-রশীদ, গামারীতলা ইউপিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, পুড়াকান্দুলিয়া ইউপিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, গোয়াতলা ইউপিতে বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টুটন, দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির হুমায়ুন কবির সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রতিটি ইউপিতে নৌকার অবস্থান সব প্রার্থীর নিচে রয়েছে। এর মধ্যে গামারীতলা ইউনিয়ন, গোয়াতলা ইউনিয়ন ও ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নৌকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ দেখা গেছে।
গামারীতলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান বাবুল সর্বমোট ভোট পেয়েছেন ১৫৮ টি। একইভাবে পরাজয় বরণ করেছেন গোয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন। তিনি মাত্র ৩৭৬টি ভোট পেয়েছেন। ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে শামসুল হক পেয়েছেন ৩৯২ ভোট।
সাত ইউপির মধ্যে ছয়টির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এক ইউপির এক কেন্দ্রের ফল বাতিল করা হয়েছে। সেখানেও নৌকার অবস্থান খুব খারাপ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, দলীয় কোন্দল এবং যোগ্য প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় এ ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা, স্বজনপ্রীতি ও জনবিচ্ছিন্ন প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ায় এ লজ্জাজনক হার হয়েছে। সাধারণ ভোটারেরা ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিয়েছেন।
ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তৃণমূল নেতা–কর্মীদের মতামত না নিয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেওয়া এবং অধিকাংশ প্রার্থী মনোনয়ন প্রাপ্তির পর রহস্যজনক কারণে নিজেরাই জয়লাভের ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেন। তা না হলে গামারীতলা, ঘোষগাঁও ও গোয়াতলা ইউনিয়নে প্রার্থীদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে নৌকা প্রতীকের লজ্জাজনক হার হতো না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য করে অগ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় নৌকার এ ভরাডুবি হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসাইন বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা নৌকার নির্বাচন করেননি। আমি চেষ্টা করেছিলাম সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে। কিন্তু অনেক নেতা শুধু মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন আর ভোট চেয়েছেন বিদ্রোহীদের জন্য।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে