নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় পূর্বভাগ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ দুই বছরে শেষ হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বর্ধিত সময়েও শেষ করতে পারেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ছেড়েছে পড়ালেখা। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, ভবনের বাকি অংশের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পে (প্রথম পর্যায়ে) ১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স এস আলম নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ শুরু করার কথা ছিল ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল। আর শেষ করার কথা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের সময় বাড়ানো আবেদন করলে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু এই সময়ে ভবনের ২০ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডির)।
এদিকে দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় স্থানীয় একটি এফআইবিডিবির এক চালা টিনশেডের পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে কোনো রকম। ওই ভবনেও নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ২১ মে স্কুল ভবনটি ভাঙা হয়। অনেকবার ইঞ্জিনিয়ার অফিস ও শিক্ষা অফিসকে বলার পরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
সরেজমিন জানা গেছে, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে স্কুলের নির্মাণাধীন কাজের প্রথম অংশ। যেটুকু কাজ হয়েছে তা-ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সৌকত আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই বছর ধইরা ঠিকাদার কাজ ফালাই রাখছে। কী কারণে কাজ করে না আল্লাহই জানে।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার জানায়, ‘এত দিন করোনার জন্য আমরার স্কুল বন্ধ আছিন। অহন সরকার স্কুল খুইলা দিলেও গ্রামের স্কুল ভাঙা। তাই পড়তাম পারি না।’
ঠিকাদার নাসির উদ্দিন রানা বলেন, ‘ভবনের কাজ শুরু করার পর এক নির্মাণশ্রমিক বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। এর পর থেকেই কাজ বন্ধ। এই সপ্তাহের মধ্যেই আবার কাজ শুরু করব।’
উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইছহাক মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। আমি উপজেলা এলজিইডির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ‘স্থানীয়রা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় পূর্বভাগ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ দুই বছরে শেষ হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বর্ধিত সময়েও শেষ করতে পারেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ছেড়েছে পড়ালেখা। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, ভবনের বাকি অংশের নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পে (প্রথম পর্যায়ে) ১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স এস আলম নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকাজ শুরু করার কথা ছিল ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল। আর শেষ করার কথা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের সময় বাড়ানো আবেদন করলে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু এই সময়ে ভবনের ২০ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডির)।
এদিকে দুই বছর ধরে বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় স্থানীয় একটি এফআইবিডিবির এক চালা টিনশেডের পরিত্যক্ত ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে কোনো রকম। ওই ভবনেও নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ২১ মে স্কুল ভবনটি ভাঙা হয়। অনেকবার ইঞ্জিনিয়ার অফিস ও শিক্ষা অফিসকে বলার পরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
সরেজমিন জানা গেছে, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে স্কুলের নির্মাণাধীন কাজের প্রথম অংশ। যেটুকু কাজ হয়েছে তা-ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সৌকত আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘দুই বছর ধইরা ঠিকাদার কাজ ফালাই রাখছে। কী কারণে কাজ করে না আল্লাহই জানে।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার জানায়, ‘এত দিন করোনার জন্য আমরার স্কুল বন্ধ আছিন। অহন সরকার স্কুল খুইলা দিলেও গ্রামের স্কুল ভাঙা। তাই পড়তাম পারি না।’
ঠিকাদার নাসির উদ্দিন রানা বলেন, ‘ভবনের কাজ শুরু করার পর এক নির্মাণশ্রমিক বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। এর পর থেকেই কাজ বন্ধ। এই সপ্তাহের মধ্যেই আবার কাজ শুরু করব।’
উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইছহাক মিয়া বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইকবাল মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। আমি উপজেলা এলজিইডির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ‘স্থানীয়রা ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে