উত্তরের জনপদ নীলফামারীতে তাপমাত্রার পারদ ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নামছে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষ শীতের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। ইতিমধ্যে পাইকারি বাজারে গরম কাপড় বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। ভোরবেলায় কেটে যাচ্ছে সেই কুয়াশা। এ সময়ে মানুষজন শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা, কম্বল গায়ে জড়িয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছে, যা এক সপ্তাহ আগেও অন্তত ২৮ ডিগ্রির ওপরে ছিল।

গত বৃহস্পতিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিস।

ডিমলা উপজেলার কিসামত চরের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, দুই দিন থেকে শেষ রাতে ঠান্ডা লাগে। এ জন্য হালকা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে ঘুমাতে হচ্ছে। তা ছাড়া ভোরবেলায় কুয়াশা পড়ছে। তবে সূর্য ওঠার পরপরই তা কেটে যাচ্ছে। দিনের বেলা গরমের তীব্রতা আগের মতোই রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে গরম কাপড়ের পাইকারি বাজার সৈয়দপুরে শুরু হয়েছে বেচাকেনা। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা দোকানিরা এ কাপড় কিনে নিচ্ছেন।

শিশুদের জন্য গরম কাপড় সংগ্রহ করতে আসা পঞ্চগড়ের ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াহেদ জানান, প্রতিবছর এ সময় সৈয়দপুরের বিভিন্ন ছোট গার্মেন্টসে তৈরি করা পোশাক কেনেন তিনি। আগাম কিনলে দাম তুলনামূলক কম থাকে। শীতের ভরা মৌসুমে তা বেড়ে যায়।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, কাল রোববার পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। অক্টোবরের শেষের দিকে শীতের তীব্রতা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি সকালবেলায় কুয়াশা বেড়ে যাবে। বর্তমানে দিনে গরম ও রাতে শীতের আমেজ রয়েছে।

নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, এই অঞ্চলে এখন দিনে গরম এবং রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনে ফলে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে; বিশেষ করে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর অনেক চাপ। অসুস্থদের সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।