জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
মরমী সাধক দেওয়ান হাসন রাজার ৯৯ তম প্রয়াণ দিবস আজ ৬ ডিসেম্বর। লোভ লালসার বাইরে থেকে সহজ সরল জীবন যাপনের এই রাজা আধ্যাত্মিক জীবনের সাধনায় রচনা করে গেছেন অসংখ্য লোকগান। এই সাধকের জন্ম-মৃত্যুতে বরাবরই খুব একটা আয়োজন থাকে না সুনামগঞ্জে। হাসন রাজার সৃষ্টিকে সংগ্রহ করে রাখার জন্য নেই কোনো একডেমি। সংস্কৃতিমনা তথা জেলার মানুষের দাবি হাসন রাজার নামে একাডেমি নির্মাণের।
হাওর-বাঁওড় ও মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের জেলা সুনামগঞ্জ ‘হাসন রাজার দেশ’ হিসেবেই পরিচিত। ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের লক্ষণ শ্রীর ধনাঢ্য জমিদার পরিবারে জন্ম নেওয়া মরমী সাধক হাসন রাজা জীবদ্দশায় প্রায় ২০০ গান রচনা করেছেন। ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। হাসন রাজার গানে সহজ সরল স্বাভাবিক ভাষায় মানবতার চিরন্তন বাণী যেমন উচ্চারিত হয়েছিল তেমনি আধ্যাত্মিক কবিও ছিলেন তিনি। সকল ধর্মের বিভেদ অতিক্রম করে তিনি গেয়েছেন মাটি ও মানুষের গান। তাই তিনি এখনো বেঁচে আছেন সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের মাঝে। তার এই স্মৃতিগুলো দেখতে হাসন রাজা মিউজিয়ামে অনেকেই আসেন দুর-দুরান্ত থেকে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ১৯২৫ সালে কলকাতায় এবং ১৯৩৩ সালে লন্ডনে হিবার্ট বক্তৃতায় হাসন রাজার দুটি গানের প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু প্রখ্যাত এই মরমী সাধকের জীবন-দর্শন ও গানের চর্চা এখন আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হয় না বললেই চলে। এমনকি তাঁর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষেও নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা। অন্যদিকে হাসন রাজাকে নিয়ে চর্চা করার জন্য গান শুদ্ধ রূপে গাওয়ার জন্য দাবি জানালেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
এই সাধকদের জীবন দর্শন নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ করার দাবি সংস্কৃতি কর্মীদের। এবং হাসন রাজার নামে আদৌ কোনো একডেমি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তরুণ সংস্কৃতি কর্মীরা।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনিশ তালুকদার বাপ্পু বলেন, ‘হাসন রাজার জীবন দর্শসহ হাসন রাজার গান নিয়ে গবেষণা করার জন্য একটি একাডেমি নির্মাণ করা জরুরি।’
হাসন রাজা জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী জানান, হাসন রাজার নামে একাডেমি করার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে হাসন রাজাকে নিয়ে চর্চা করার জন্য একাডেমির দাবি জানান তিনি।
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল চৌধুরী বলেন, বর্তমান শিল্পকলা একডেমিই হাসন রাজা একাডেমি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আর হয়নি। স্থানীয় মানুষের দাবিতে এটা শিল্পকলা করা হয়েছে। তবে হাসন রাজার মতো মহাজনের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি একাডেমি নির্মাণ সত্যিই জরুরি।
মরমী সাধক দেওয়ান হাসন রাজার ৯৯ তম প্রয়াণ দিবস আজ ৬ ডিসেম্বর। লোভ লালসার বাইরে থেকে সহজ সরল জীবন যাপনের এই রাজা আধ্যাত্মিক জীবনের সাধনায় রচনা করে গেছেন অসংখ্য লোকগান। এই সাধকের জন্ম-মৃত্যুতে বরাবরই খুব একটা আয়োজন থাকে না সুনামগঞ্জে। হাসন রাজার সৃষ্টিকে সংগ্রহ করে রাখার জন্য নেই কোনো একডেমি। সংস্কৃতিমনা তথা জেলার মানুষের দাবি হাসন রাজার নামে একাডেমি নির্মাণের।
হাওর-বাঁওড় ও মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের জেলা সুনামগঞ্জ ‘হাসন রাজার দেশ’ হিসেবেই পরিচিত। ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের লক্ষণ শ্রীর ধনাঢ্য জমিদার পরিবারে জন্ম নেওয়া মরমী সাধক হাসন রাজা জীবদ্দশায় প্রায় ২০০ গান রচনা করেছেন। ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। হাসন রাজার গানে সহজ সরল স্বাভাবিক ভাষায় মানবতার চিরন্তন বাণী যেমন উচ্চারিত হয়েছিল তেমনি আধ্যাত্মিক কবিও ছিলেন তিনি। সকল ধর্মের বিভেদ অতিক্রম করে তিনি গেয়েছেন মাটি ও মানুষের গান। তাই তিনি এখনো বেঁচে আছেন সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের মাঝে। তার এই স্মৃতিগুলো দেখতে হাসন রাজা মিউজিয়ামে অনেকেই আসেন দুর-দুরান্ত থেকে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ১৯২৫ সালে কলকাতায় এবং ১৯৩৩ সালে লন্ডনে হিবার্ট বক্তৃতায় হাসন রাজার দুটি গানের প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু প্রখ্যাত এই মরমী সাধকের জীবন-দর্শন ও গানের চর্চা এখন আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হয় না বললেই চলে। এমনকি তাঁর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষেও নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা। অন্যদিকে হাসন রাজাকে নিয়ে চর্চা করার জন্য গান শুদ্ধ রূপে গাওয়ার জন্য দাবি জানালেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
এই সাধকদের জীবন দর্শন নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ করার দাবি সংস্কৃতি কর্মীদের। এবং হাসন রাজার নামে আদৌ কোনো একডেমি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তরুণ সংস্কৃতি কর্মীরা।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনিশ তালুকদার বাপ্পু বলেন, ‘হাসন রাজার জীবন দর্শসহ হাসন রাজার গান নিয়ে গবেষণা করার জন্য একটি একাডেমি নির্মাণ করা জরুরি।’
হাসন রাজা জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী জানান, হাসন রাজার নামে একাডেমি করার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিকে হাসন রাজাকে নিয়ে চর্চা করার জন্য একাডেমির দাবি জানান তিনি।
জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল চৌধুরী বলেন, বর্তমান শিল্পকলা একডেমিই হাসন রাজা একাডেমি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা আর হয়নি। স্থানীয় মানুষের দাবিতে এটা শিল্পকলা করা হয়েছে। তবে হাসন রাজার মতো মহাজনের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি একাডেমি নির্মাণ সত্যিই জরুরি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে