বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবানে বাড়ছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যা। সম্প্রতি শিশু ও বয়স্করা এসব রোগে বেশির ভাগ আক্রান্ত। চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় ২৫ জন ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে বেশির ভাগই হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ফার্মেসি থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ কিনে নিচ্ছেন।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) জিয়াউল হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময় অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি অকারণে শিশুদের নিয়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া পাহাড়ের বিভিন্ন ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে যাওয়ায় পানির ঘাটতি হচ্ছে। তাই অনেকে দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করেন।
বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুধু চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৫ জন। এ ছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২৩ জন। এদের ৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও এখনো ১০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে অনেকেই হাসপাতালে বহির্বিভাগে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ ছাড়া ফার্মাসিস্ট ও পল্লিচিকিৎসকের পরামর্শনিয়ে এসব রোগে আক্রান্ত অনেককে সদরে ফার্মাসি থেকে ওষুধ কিনে নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে দেখা গেছে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর অনেকেই অসুস্থতায় কাতরাচ্ছে। ভর্তি রোগীর বেশির ভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিবেশ। তাদের চিকিৎসা দিতে শয্যা থেকে শয্যায় ছুটছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ৯ মাস বয়সের সানজিদের অভিভাবক হোসেনে আরা বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সানজিদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুই বছরের শিশু শিরিনের মা জোবাইদা আকতার জানান, কয়েক দিন আগে মেয়ের হালকা জ্বর হয়েছিল। ওই সময় তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তখন ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ানো হয়। তবে সুস্থ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে শিশুটি বর্তমানে অনেকটা সুস্থ।
আরএমও জিয়াউল হায়দার বলেন, এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক দিনে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে, নিউমোনিয়াতেও অনেকে ভর্তি হচ্ছে।
বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে জেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৪৪৪ জন। তাদের মধ্যে জেলার আলীকদমে ছয়জন ও থানচিতে একজন ডায়রিয়ায় মারা যায়। তবে বেসরকারি হিসাবে এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩১ জন। তাদের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এদিকে গত বছরের ১০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৫৬ জন।
শহরের একাধিক ফার্মেসি সূত্রে জানা গেছে, এক মাসের বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির জন্য ওষুধ কিনতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে। হাসপাতালে যাতায়াত ও ঝামেলা এড়াতে আশপাশের ওষুধের দোকানে অনেকে ভিড় জমায়। তবে অসুস্থতা বেড়ে গেলে ফার্মাসিস্ট, পল্লিচিকিৎসক ও বড় ডাক্তার (এমবিবিএস) দেখানোর পরামর্শ দেন ওষুধ বিক্রেতারা।
শহরের মধ্যমপাড়ায় সেবা ফার্মেসির মালিক সেন্টু চৌধুরী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পল্লিচিকিৎসক। তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির আশপাশের বেশির ভাগ মানুষ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তাঁরা ফার্মেসিতে আসেন, ফার্মাসিস্ট বা পল্লিচিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ কিনে নেন।
সদর হাসপাতালের আরএমও বলেন, ‘বছরের এ সময় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দেয়। প্রত্যন্ত এলাকায় ঝিরি-ঝরনার ওপর নির্ভরশীলদের ফুটিয়ে ও বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করে খাওয়া প্রয়োজন। ডায়রিয়া হলে দেরি না করে কাছের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে।’
বান্দরবানে বাড়ছে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যা। সম্প্রতি শিশু ও বয়স্করা এসব রোগে বেশির ভাগ আক্রান্ত। চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় ২৫ জন ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে বেশির ভাগই হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ফার্মেসি থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ কিনে নিচ্ছেন।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) জিয়াউল হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই সময় অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি অকারণে শিশুদের নিয়ে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া পাহাড়ের বিভিন্ন ঝিরি-ঝরনা শুকিয়ে যাওয়ায় পানির ঘাটতি হচ্ছে। তাই অনেকে দূষিত পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করেন।
বান্দরবান সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুধু চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৫ জন। এ ছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে ২৩ জন। এদের ৩৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেও এখনো ১০ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
এদিকে অনেকেই হাসপাতালে বহির্বিভাগে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ ছাড়া ফার্মাসিস্ট ও পল্লিচিকিৎসকের পরামর্শনিয়ে এসব রোগে আক্রান্ত অনেককে সদরে ফার্মাসি থেকে ওষুধ কিনে নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে দেখা গেছে, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর অনেকেই অসুস্থতায় কাতরাচ্ছে। ভর্তি রোগীর বেশির ভাগই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে হাসপাতালের পরিবেশ। তাদের চিকিৎসা দিতে শয্যা থেকে শয্যায় ছুটছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ৯ মাস বয়সের সানজিদের অভিভাবক হোসেনে আরা বেগম জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সানজিদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুই বছরের শিশু শিরিনের মা জোবাইদা আকতার জানান, কয়েক দিন আগে মেয়ের হালকা জ্বর হয়েছিল। ওই সময় তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তখন ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ানো হয়। তবে সুস্থ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে শিশুটি বর্তমানে অনেকটা সুস্থ।
আরএমও জিয়াউল হায়দার বলেন, এখন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। তাই শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক দিনে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে, নিউমোনিয়াতেও অনেকে ভর্তি হচ্ছে।
বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে জেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৪৪৪ জন। তাদের মধ্যে জেলার আলীকদমে ছয়জন ও থানচিতে একজন ডায়রিয়ায় মারা যায়। তবে বেসরকারি হিসাবে এই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩১ জন। তাদের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এদিকে গত বছরের ১০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেলায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৯৫৬ জন।
শহরের একাধিক ফার্মেসি সূত্রে জানা গেছে, এক মাসের বেশি সময় ধরে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির জন্য ওষুধ কিনতে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে। হাসপাতালে যাতায়াত ও ঝামেলা এড়াতে আশপাশের ওষুধের দোকানে অনেকে ভিড় জমায়। তবে অসুস্থতা বেড়ে গেলে ফার্মাসিস্ট, পল্লিচিকিৎসক ও বড় ডাক্তার (এমবিবিএস) দেখানোর পরামর্শ দেন ওষুধ বিক্রেতারা।
শহরের মধ্যমপাড়ায় সেবা ফার্মেসির মালিক সেন্টু চৌধুরী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পল্লিচিকিৎসক। তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির আশপাশের বেশির ভাগ মানুষ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। জ্বর-সর্দি-কাশি হলে তাঁরা ফার্মেসিতে আসেন, ফার্মাসিস্ট বা পল্লিচিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ কিনে নেন।
সদর হাসপাতালের আরএমও বলেন, ‘বছরের এ সময় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দেয়। প্রত্যন্ত এলাকায় ঝিরি-ঝরনার ওপর নির্ভরশীলদের ফুটিয়ে ও বিশুদ্ধকরণ বড়ি দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করে খাওয়া প্রয়োজন। ডায়রিয়া হলে দেরি না করে কাছের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে আসতে হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে