তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিন মাস আগে বদলি হলেও রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংস্থার চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত বাংলোতেই বসবাস করছেন খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে গ্রেড–১–এর এই কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)।
জাগৃক সূত্র জানায়, মোস্তাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান থাকাকালে বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের বদৌলতে তিনি বাংলোতে থাকতে পারছেন। ওই বোর্ড সভায় বদলিজনিত কারণে দুই মাস বসবাসের সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে গ্রহণযোগ্য ভাড়া (স্ট্যান্ডার্ড রেট) ধার্যের সুপারিশ করা হয়।
বদলি হলেও বাংলো না ছাড়া প্রসঙ্গে খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, তিনি ভাড়া দিয়েই বাংলোতে বসবাস করছেন।
জাগৃক সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় সংস্থার বিশাল একটি বাংলো বাড়ি আছে। এটি মূলত সংস্থার চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত বাসভবন। ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের পর ওই মাসেই বাংলোটিতে ওঠেন। চলতি বছরের ১৫ মে তিনি অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি (গ্রেড-১) পেয়ে সচিব পদমর্যাদার পদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি হিসেবে বদলি হন। আগের চেয়ারম্যান বদলির পরপর বাংলো ছাড়লেও খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এখনো ওই বাংলোতেই বসবাস করছেন।
জাগৃকের কর্মকর্তারা জানান, গাছপালা পরিবেষ্টিত বাংলোটিতে জাগৃক বছর দেড়েক আগে মোট ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা খরচ করে আধুনিকায়ন করে। এর মধ্যে ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯ টাকা গেট, গ্যালারি ও গ্যারেজ মেরামত, বিশেষ মেরামতে ৪৬ লাখ ৬ হাজার ৭৫৭ টাকা, বাড়ির দেয়াল, গার্ডেনিং, পয়োনিষ্কাশন লাইন ও রাস্তা মেরামতে ৫৪ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা খরচ করা হয়। এ ছাড়া বাড়ির ওয়াল টাইলস, ফ্লোর টাইলস, রং, দরজার পাল্লা, কেবিনেট, ইন্টেরিয়রসহ বেশ কিছু কাজের জন্য আরও ৪৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯২১ টাকা খরচ করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রকৌশলী বলেন, বাংলোটিতে বিলাসী জীবনযাপনের জন্য সরকারি টাকায় ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০ টাকার আসবাব কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ডাইনিং টেবিল ও চেয়ারের দাম ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, সোফা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫০, ড্রেসিং টেবিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৪০০, ওয়ার্ডরোব ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩০০, খাট (বড়) ১ লাখ ২৩ হাজার, রিডিং টেবিল ৪৮ হাজার, বেড সাইট টেবিল ৪৪ হাজার ২০০, টেলিভিশন কেবিনেট ২৫ হাজার ৩৫০, সেন্টার টেবিল ২৩ হাজার টাকায় কেনা হয়।
জাগৃক সূত্র জানায়, খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এখন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এই পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ইস্কাটনে সচিব নিবাসে অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট রয়েছে। খন্দকার মোস্তাফিজুর জাগৃকের চেয়ারম্যান হওয়ার পর ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ২৪৮তম বোর্ড সভায় বদলিজনিত কারণে দুই মাস বাসায় বসবাসের সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী অতিরিক্ত সময়ের জন্য স্ট্যান্ডার্ড রেট ধার্য করার সুপারিশ করা হয়। তবে ওই সভায় পিআরএলজনিত কারণে বাসা ছাড়ার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য সরকারি বাসা বরাদ্দ বিধিমালায় পিআরএল–এর এক বছর এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ছয় মাস বসবাসের সুযোগ আছে।
সূত্র বলেছে, খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জাগৃকের চেয়ারম্যান থাকাকালে সংরক্ষিত কোটা থেকে নিজের নামে রাজধানীতে সংস্থার দোলনচাঁপা প্রকল্পে ১৬৬০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ঝালকাঠির নলছিটিতে ৫ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরায় ৫ কাঠার একটি প্লটও বরাদ্দ পেয়েছেন।
বদলি হলেও জাগৃকের চেয়ারম্যানের বাসভবনে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি জাগৃক থেকে চলে এসেছি তা সত্য। কিন্তু বাংলোতে ভাড়া দিয়েই বসবাস করছি। এটা তো কোনো সমস্যা নয়।’
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিন মাস আগে বদলি হলেও রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংস্থার চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত বাংলোতেই বসবাস করছেন খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে গ্রেড–১–এর এই কর্মকর্তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)।
জাগৃক সূত্র জানায়, মোস্তাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান থাকাকালে বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের বদৌলতে তিনি বাংলোতে থাকতে পারছেন। ওই বোর্ড সভায় বদলিজনিত কারণে দুই মাস বসবাসের সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে গ্রহণযোগ্য ভাড়া (স্ট্যান্ডার্ড রেট) ধার্যের সুপারিশ করা হয়।
বদলি হলেও বাংলো না ছাড়া প্রসঙ্গে খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, তিনি ভাড়া দিয়েই বাংলোতে বসবাস করছেন।
জাগৃক সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় সংস্থার বিশাল একটি বাংলো বাড়ি আছে। এটি মূলত সংস্থার চেয়ারম্যানের জন্য নির্ধারিত বাসভবন। ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের পর ওই মাসেই বাংলোটিতে ওঠেন। চলতি বছরের ১৫ মে তিনি অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি (গ্রেড-১) পেয়ে সচিব পদমর্যাদার পদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি হিসেবে বদলি হন। আগের চেয়ারম্যান বদলির পরপর বাংলো ছাড়লেও খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এখনো ওই বাংলোতেই বসবাস করছেন।
জাগৃকের কর্মকর্তারা জানান, গাছপালা পরিবেষ্টিত বাংলোটিতে জাগৃক বছর দেড়েক আগে মোট ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা খরচ করে আধুনিকায়ন করে। এর মধ্যে ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯ টাকা গেট, গ্যালারি ও গ্যারেজ মেরামত, বিশেষ মেরামতে ৪৬ লাখ ৬ হাজার ৭৫৭ টাকা, বাড়ির দেয়াল, গার্ডেনিং, পয়োনিষ্কাশন লাইন ও রাস্তা মেরামতে ৫৪ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা খরচ করা হয়। এ ছাড়া বাড়ির ওয়াল টাইলস, ফ্লোর টাইলস, রং, দরজার পাল্লা, কেবিনেট, ইন্টেরিয়রসহ বেশ কিছু কাজের জন্য আরও ৪৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯২১ টাকা খরচ করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রকৌশলী বলেন, বাংলোটিতে বিলাসী জীবনযাপনের জন্য সরকারি টাকায় ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০ টাকার আসবাব কেনা হয়েছে। এর মধ্যে ডাইনিং টেবিল ও চেয়ারের দাম ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, সোফা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫০, ড্রেসিং টেবিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৪০০, ওয়ার্ডরোব ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩০০, খাট (বড়) ১ লাখ ২৩ হাজার, রিডিং টেবিল ৪৮ হাজার, বেড সাইট টেবিল ৪৪ হাজার ২০০, টেলিভিশন কেবিনেট ২৫ হাজার ৩৫০, সেন্টার টেবিল ২৩ হাজার টাকায় কেনা হয়।
জাগৃক সূত্র জানায়, খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এখন সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এই পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য ইস্কাটনে সচিব নিবাসে অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট রয়েছে। খন্দকার মোস্তাফিজুর জাগৃকের চেয়ারম্যান হওয়ার পর ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ২৪৮তম বোর্ড সভায় বদলিজনিত কারণে দুই মাস বাসায় বসবাসের সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী অতিরিক্ত সময়ের জন্য স্ট্যান্ডার্ড রেট ধার্য করার সুপারিশ করা হয়। তবে ওই সভায় পিআরএলজনিত কারণে বাসা ছাড়ার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। অবশ্য সরকারি বাসা বরাদ্দ বিধিমালায় পিআরএল–এর এক বছর এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ছয় মাস বসবাসের সুযোগ আছে।
সূত্র বলেছে, খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জাগৃকের চেয়ারম্যান থাকাকালে সংরক্ষিত কোটা থেকে নিজের নামে রাজধানীতে সংস্থার দোলনচাঁপা প্রকল্পে ১৬৬০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ঝালকাঠির নলছিটিতে ৫ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরায় ৫ কাঠার একটি প্লটও বরাদ্দ পেয়েছেন।
বদলি হলেও জাগৃকের চেয়ারম্যানের বাসভবনে বসবাসের বিষয়ে জানতে চাইলে খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি জাগৃক থেকে চলে এসেছি তা সত্য। কিন্তু বাংলোতে ভাড়া দিয়েই বসবাস করছি। এটা তো কোনো সমস্যা নয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে