ওমর ফারুক, ঢাকা
ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু পাদপ্রদীপের আলোয় আসার শুরু ভাগ্যের সহায়তায়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গত মৌসুমে আবাহনীর ওপেনার লিটন দাসের চোটে সুযোগ মেলে একাদশে। ডিপিএলই অন্যভাবে পরিচয় করিয়ে দেয় মুনিম শাহরিয়ারকে।
তবে মুদ্রার উল্টো পিট দেখতেও সময় লাগেনি। দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়ে উপেক্ষিত থাকেন বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে। মুনিম এবারও ভাগ্যের ছোঁয়া পেলেন, ফরচুন বরিশালের দুই বিদেশি ওপেনারের না আসায় সুযোগ পেয়ে যান সেখানে। এর পরের গল্প সবার জানাই। মুনিমের সর্বশেষ সুখবর: প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে।
ঘরের মাঠে হওয়া ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মুনিম। তাঁরই সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইফউদ্দিনরা এখন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। অথচ বিশ্বকাপের পর সুযোগের অভাবে ‘ক্ষ্যাপ’ খেলা মুনিম একবারে হারিয়েই যেতে বসেছিলেন। ভাবনা থেকে ক্রিকেটকে দূরে রাখার চিন্তাও ছিল তাঁর। তবে এই সুপ্ত প্রতিভাকে অকালে ঝরে পড়তে দেননি বর্তমানে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তাঁর ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া মুনিম এখন পাদপ্রদীপের আলোয়। আফগানিস্তান সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা মিলেছে তাঁর। কষ্টের পথ পেরিয়ে স্বপ্নের দুয়ারে দাঁড়িয়ে মুনিম বলছেন, ‘গত ডিপিএলের পর সর্বশেষ বিপিএল অনেক ভালো গেল। এখন জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় আরও অনেক ভালো লাগছে।’
ডিপিএলের ১৪ ম্যাচে ১৪৩.১৪ গড়ে ৩৫৫ রান করেও বিপিএলের ড্রাফটে উপেক্ষিত থাকায় হতাশই হয়ে পড়েছিলেন মুনিম। বরিশালের হয়ে বিপিএলে খেলার সুযোগ পেলেও নিয়তি তাঁকে নিয়ে আবারও খেলেছে। দলে আসতেই খেলেন করোনা ধাক্কা। সে ধাক্কা কাটিয়ে বিপিএল-পর্ব শুরু করতে একটু দেরি হলেও টুর্নামেন্ট রাঙাতে ভুল করেননি ময়মনসিংহ থেকে উঠে আসা এ তরুণ ক্রিকেটার। ৬ ম্যাচে ১৫২.১৩ স্ট্রাইক রেটে ১৭৮ রান—পরিসংখ্যান মুনিমের পুরোটা তুলে ধরে না। ভয়ডরহীন আর ইতিবাচক ক্রিকেটই এনেছে তাঁকে আলোচনায়। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল এমন টপঅর্ডার ব্যাটারই তো খুঁজছে হন্যে হয়ে। ব্যাটিংয়ের মতো কথাবার্তায় জড়তা নেই মুনিমের। বললেন, ‘ড্রাফটের বাইরে থেকে দল পাওয়ায় খুব খুশি হয়েছিলাম। সুযোগ পেয়ে টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে পেরেছি, ভালো লাগছে।’ আর নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে বলছিলেন, ‘আক্রমণাত্মক কি না, বলতে পারব না। তবে নিজের একটা পরিকল্পনা থাকে, চেষ্টা করি সেটা কাজে লাগাতে। আমাকে যেভাবে বলা হয়, সেভাবে খেলার চেষ্টা করি।’
মুনিমের উঠে আসা ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সিঁড়ি পেরিয়ে এসেছেন প্রিমিয়ার লিগ। তবে পথটা যে কাঁটায় বিছানো, মুনিম সেটি বুঝে যান দ্রুতই। একটা সময় আর্থিক সংকটে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ক্রিকেটই ছাড়তে বসেছিলেন।
বাবা এইচ এম নুরুজ্জামানের সমর্থন ছিল বলেই ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পেরেছেন মুনিম। দুঃসময়ের স্মৃতি নিয়ে বলছেন, ‘পরিবারের কাছ থেকেই সব সময়ই সহযোগিতা পেয়েছি। আর আমি টুকটাক খেলে (ক্ষ্যাপ) মোটামুটি নিজের খরচ চালিয়ে নিতাম।’
এক বছর আগেও তাঁর জীবন ছিল একরকম। হঠাৎ জীবনের মোড় বদলে যাওয়ায় মুনিম কৃতজ্ঞ খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রতি। বলছিলেন, ‘তিনিই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাকে ভালো সুযোগ ও সমর্থন দিয়েছেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
অনেক সাধনার পর আসল পথের সন্ধান পেয়েছেন মুনিম। এ পথ নিশ্চয়ই দ্রুত হারাবেন না তিনি।
ক্রিকেটের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু পাদপ্রদীপের আলোয় আসার শুরু ভাগ্যের সহায়তায়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) গত মৌসুমে আবাহনীর ওপেনার লিটন দাসের চোটে সুযোগ মেলে একাদশে। ডিপিএলই অন্যভাবে পরিচয় করিয়ে দেয় মুনিম শাহরিয়ারকে।
তবে মুদ্রার উল্টো পিট দেখতেও সময় লাগেনি। দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়ে উপেক্ষিত থাকেন বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে। মুনিম এবারও ভাগ্যের ছোঁয়া পেলেন, ফরচুন বরিশালের দুই বিদেশি ওপেনারের না আসায় সুযোগ পেয়ে যান সেখানে। এর পরের গল্প সবার জানাই। মুনিমের সর্বশেষ সুখবর: প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে।
ঘরের মাঠে হওয়া ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন মুনিম। তাঁরই সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাইফউদ্দিনরা এখন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। অথচ বিশ্বকাপের পর সুযোগের অভাবে ‘ক্ষ্যাপ’ খেলা মুনিম একবারে হারিয়েই যেতে বসেছিলেন। ভাবনা থেকে ক্রিকেটকে দূরে রাখার চিন্তাও ছিল তাঁর। তবে এই সুপ্ত প্রতিভাকে অকালে ঝরে পড়তে দেননি বর্তমানে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তাঁর ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া মুনিম এখন পাদপ্রদীপের আলোয়। আফগানিস্তান সিরিজের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা মিলেছে তাঁর। কষ্টের পথ পেরিয়ে স্বপ্নের দুয়ারে দাঁড়িয়ে মুনিম বলছেন, ‘গত ডিপিএলের পর সর্বশেষ বিপিএল অনেক ভালো গেল। এখন জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় আরও অনেক ভালো লাগছে।’
ডিপিএলের ১৪ ম্যাচে ১৪৩.১৪ গড়ে ৩৫৫ রান করেও বিপিএলের ড্রাফটে উপেক্ষিত থাকায় হতাশই হয়ে পড়েছিলেন মুনিম। বরিশালের হয়ে বিপিএলে খেলার সুযোগ পেলেও নিয়তি তাঁকে নিয়ে আবারও খেলেছে। দলে আসতেই খেলেন করোনা ধাক্কা। সে ধাক্কা কাটিয়ে বিপিএল-পর্ব শুরু করতে একটু দেরি হলেও টুর্নামেন্ট রাঙাতে ভুল করেননি ময়মনসিংহ থেকে উঠে আসা এ তরুণ ক্রিকেটার। ৬ ম্যাচে ১৫২.১৩ স্ট্রাইক রেটে ১৭৮ রান—পরিসংখ্যান মুনিমের পুরোটা তুলে ধরে না। ভয়ডরহীন আর ইতিবাচক ক্রিকেটই এনেছে তাঁকে আলোচনায়। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল এমন টপঅর্ডার ব্যাটারই তো খুঁজছে হন্যে হয়ে। ব্যাটিংয়ের মতো কথাবার্তায় জড়তা নেই মুনিমের। বললেন, ‘ড্রাফটের বাইরে থেকে দল পাওয়ায় খুব খুশি হয়েছিলাম। সুযোগ পেয়ে টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে পেরেছি, ভালো লাগছে।’ আর নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নিয়ে বলছিলেন, ‘আক্রমণাত্মক কি না, বলতে পারব না। তবে নিজের একটা পরিকল্পনা থাকে, চেষ্টা করি সেটা কাজে লাগাতে। আমাকে যেভাবে বলা হয়, সেভাবে খেলার চেষ্টা করি।’
মুনিমের উঠে আসা ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সিঁড়ি পেরিয়ে এসেছেন প্রিমিয়ার লিগ। তবে পথটা যে কাঁটায় বিছানো, মুনিম সেটি বুঝে যান দ্রুতই। একটা সময় আর্থিক সংকটে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ক্রিকেটই ছাড়তে বসেছিলেন।
বাবা এইচ এম নুরুজ্জামানের সমর্থন ছিল বলেই ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পেরেছেন মুনিম। দুঃসময়ের স্মৃতি নিয়ে বলছেন, ‘পরিবারের কাছ থেকেই সব সময়ই সহযোগিতা পেয়েছি। আর আমি টুকটাক খেলে (ক্ষ্যাপ) মোটামুটি নিজের খরচ চালিয়ে নিতাম।’
এক বছর আগেও তাঁর জীবন ছিল একরকম। হঠাৎ জীবনের মোড় বদলে যাওয়ায় মুনিম কৃতজ্ঞ খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রতি। বলছিলেন, ‘তিনিই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাকে ভালো সুযোগ ও সমর্থন দিয়েছেন। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
অনেক সাধনার পর আসল পথের সন্ধান পেয়েছেন মুনিম। এ পথ নিশ্চয়ই দ্রুত হারাবেন না তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে