নীলফামারী প্রতিনিধি
দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে তিন জেলায় বোরো চাষের জন্য সেচের পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুরে কৃষকের জমিতে পানি সেচের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান।
প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্পের কমান্ড এলাকার তৃণমূল পর্যায়ে সেচের পানি পৌঁছে দিতে ৭৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি আর টারশিয়ারি সেচ ক্যানেল পুনর্নির্মাণে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা ২০২৪ সালের জুন মেয়াদ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরও জানান, এটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং একই সঙ্গে অন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়বে পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এ ছাড়া প্রকল্পের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অধিকতর উন্নীতকরণ, পরিবেশ তথা জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রকল্প এলাকায় বসবাসরত ৩০ লাখ জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
জানা যায়, সেচ প্রকল্পের আওতায় এবার ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নীলফামারী সদর, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর, রংপুর জেলার সদর, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর, খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলা। এসব এলাকার ২০ লক্ষাধিক কৃষক তিস্তা নদীর পানি দিয়ে বোরো চাষ করতে পারবেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, প্রকল্পের সেচ সুবিধার জন্য তিন জেলার ১২ উপজেলার সুবিধাভোগী কৃষকের মধ্যে ২৪২টি পানি ব্যবস্থাপনা দল গঠন করা হয়েছে। এসব দল মূলত কৃষকের সুবিধার্থে পানি বণ্টনের কাজ করবে।
সদরের সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রিশ আলী জানান, বৃষ্টির অভাবে কিংবা পানির স্তর নেমে যাওয়ায় যখন সেচের পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়, তখন নিশ্চিন্তে কম মূল্যে তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি পাই। প্রকল্পের আওতায় বছরে তিন মৌসুমে (আউশ, আমন, বোরো) একর প্রতি জমির সেচ খরচ দিতে হয় ৪৮০ টাকা। সে হিসাবে শুধু বোরো মৌসুমে এক একর জমিতে সেচ দিতে হয় মাত্র ১৬০ টাকা। প্রকল্পের বাইরে যেখানে পানি সেচের জন্য প্রতি একর গুনতে হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার জানান, তিস্তা কমান্ড এলাকায় চলতি বছর ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার উদ্যোগ নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এসব জমিতে রোটেশন পদ্ধতিতে সম্পূরক সেচ দেওয়া হবে। ফলে সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ দিয়ে তিন জেলায় বোরো চাষের জন্য সেচের পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুরে কৃষকের জমিতে পানি সেচের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান।
প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমান জানান, উত্তরাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্পের কমান্ড এলাকার তৃণমূল পর্যায়ে সেচের পানি পৌঁছে দিতে ৭৬৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি আর টারশিয়ারি সেচ ক্যানেল পুনর্নির্মাণে একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, যা ২০২৪ সালের জুন মেয়াদ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
তিনি আরও জানান, এটি বাস্তবায়িত হলে বছরে ১৩ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং একই সঙ্গে অন্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়বে পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এ ছাড়া প্রকল্পের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অধিকতর উন্নীতকরণ, পরিবেশ তথা জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রকল্প এলাকায় বসবাসরত ৩০ লাখ জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
জানা যায়, সেচ প্রকল্পের আওতায় এবার ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নীলফামারী সদর, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর, রংপুর জেলার সদর, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর, খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলা। এসব এলাকার ২০ লক্ষাধিক কৃষক তিস্তা নদীর পানি দিয়ে বোরো চাষ করতে পারবেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রমতে, প্রকল্পের সেচ সুবিধার জন্য তিন জেলার ১২ উপজেলার সুবিধাভোগী কৃষকের মধ্যে ২৪২টি পানি ব্যবস্থাপনা দল গঠন করা হয়েছে। এসব দল মূলত কৃষকের সুবিধার্থে পানি বণ্টনের কাজ করবে।
সদরের সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক ইদ্রিশ আলী জানান, বৃষ্টির অভাবে কিংবা পানির স্তর নেমে যাওয়ায় যখন সেচের পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়, তখন নিশ্চিন্তে কম মূল্যে তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি পাই। প্রকল্পের আওতায় বছরে তিন মৌসুমে (আউশ, আমন, বোরো) একর প্রতি জমির সেচ খরচ দিতে হয় ৪৮০ টাকা। সে হিসাবে শুধু বোরো মৌসুমে এক একর জমিতে সেচ দিতে হয় মাত্র ১৬০ টাকা। প্রকল্পের বাইরে যেখানে পানি সেচের জন্য প্রতি একর গুনতে হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকার জানান, তিস্তা কমান্ড এলাকায় চলতি বছর ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধার উদ্যোগ নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এসব জমিতে রোটেশন পদ্ধতিতে সম্পূরক সেচ দেওয়া হবে। ফলে সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকায় প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে