শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
শৈশব থেকেই পাখির সঙ্গে প্রেম আরিফুল ইসলামের। কোথাও পাখির ছানা পেলেই বাড়িতে এনে বাসা বেঁধে দিতেন। কিছু পাখি থাকত, অধিকাংশই উড়ে যেত। তবে এখন তাঁর খাঁচায় সারা বছর পাখি পাওয়া যায়। শৈশবের শখ বর্তমানে পরিণত হয়েছে পেশায়। বাড়িতে গড়ে তুলেছেন শৌখিন পাখির খামার। পাখি বিক্রি করে তাঁর মাসে আয় হচ্ছে ২০ হাজার টাকার মতো।
আরিফুলের বাড়ি তারাগঞ্জের মন্ডলপাড়া গ্রামে। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি খামারে পরিচর্যায় ব্যস্ত। কিচিরমিচির শব্দে মুখর উঠান। খাঁচায় খাবার দিয়ে তিনি বাইরে এসে শোনালেন পাখি পালনের গল্প।
আরিফুল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ছোট ভাইয়ের কর্মস্থল পাবনায় বেড়াতে গিয়ে দেখতে পান পাখির বড় বড় খামার। মুহূর্তে ফিরে যান শৈশবে। ইচ্ছা জাগে পাখি পালনের। এক খামারির কাছ থেকে তিন জোড়া ‘বাজরিকা’ পাখি কিনে বাড়িতে ফেরেন। সেই পাখি দেখে বাবা আসাদুর রহমানের সে কী রাগ! যদিও শেষে শান্ত হন তিনি।
সেই থেকে শুরু হয় আরিফুলের পাখি পালন। ছয় মাস পর কিনে আনেন দুই জোড়া ‘ডায়মন্ড ডাভ’। এগুলো ডিম দেয়, ডিম থেকে বাচ্চা হয়। এভাবে বাড়তে থাকে পাখির সংখ্যা। পাঁচ জোড়া পাখি এক বছরে ২০ জোড়ায় দাঁড়ায়। একসময় বাড়ির সামনে ঘর তুলে গড়ে তোলেন পাখির খামার। নাম দেন ‘ভাই ভাই পাখির খামার’।
আরিফুল এখন পুরোদস্তুর খামারি। তিনি ২০১১ সালে মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরির জন্য হন্যে হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। এখন পাখি পালনের পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হচ্ছে না তাঁকে। বর্তমানে প্রতি মাসে পাখি বিক্রি করে তাঁর আয় হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। তাঁর দেখানো পথে গ্রামের অনেক তরুণ-যুবক বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন শুরু করেছেন।
আরিফুলের খামারে বর্তমানে বাজরিকা, ফিঞ্চ, মুনিয়া, ডায়মন্ড ডাভ জাতের ৭০ জোড়া পাখি রয়েছে। এগুলো বয়স অনুযায়ী বিক্রি করা হয় বিভিন্ন দামে। তিন মাস বয়সী এক জোড়া বাজরিকা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০, ফিঞ্চ ৭০০ থেকে ৮০০, মুনিয়া ৫০০ থেকে ৬০০ ও ডায়মন্ড ডাভ দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। পাইকার ও শৌখিন পাখিপ্রেমীরা খামারে এসে কিনে নিয়ে যান।
আরিফুল বলেন, ‘আমার খামারে বাজরিকা জাতের পাখি সবচেয়ে বেশি। এই পাখি বছরে চারবার ডিম দেয়। বাচ্চার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ দিন হলেই উড়তে পারে। প্রজননের উপযোগী হতে চার মাস সময় লাগে। অন্য জাতের পাখিগুলোও প্রজননে কাছাকাছি সময় নেয়। পাখিকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয় চিকন ধান, কাউন, চিনা ও সূর্যমুখী ফুলের বীজ। প্রতি মাসে একেক জোড়া পাখির জন্য ৮০ থেকে ৯০ টাকা খরচ হয়।’
ওই গ্রামে আরিফুলকে দেখে সজীব হোসেন নামের এক যুবকও পাখির খামার গড়ে তুলেছেন। সজীব বলেন, ‘আরিফুল ভাইয়ের পরামর্শে তাঁর খামার থেকে পাখি কিনে আমি খামার করেছি। আমার খামারে এখন ১৫ জোড়া পাখি রয়েছে। পাখি পালনে মনে প্রশান্তি আসে। খরচ অনেক কম। এক জোড়া পাখি পালনে খরচ হবে সব মিলিয়ে ১০০ টাকা কিন্তু বিক্রি হবে এক থেকে দেড় হাজার টাকা।’
শুধু সজীবই নয়, গ্রামের হেলাল মিয়া, মিলন রহমান ও এমদাদুল হক পাখির খামার করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। পাখি বিক্রির টাকায় কেউ গাভি কিনেছেন, কেউ ছাগল পালন করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, ‘পাখি পালন লাভজনক। এতে আলাদাভাবে তেমন কোনো সময় দিতে হয় না। পরিবারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি পাখি পালন করা যায়। আরিফুল ইসলাম আদর্শ খামারি। তিনি গ্রামে বিদেশি শৌখিন পাখির খামার করে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। বেকার যুবকদের জন্য এটি অনুকরণীয়।’
শৈশব থেকেই পাখির সঙ্গে প্রেম আরিফুল ইসলামের। কোথাও পাখির ছানা পেলেই বাড়িতে এনে বাসা বেঁধে দিতেন। কিছু পাখি থাকত, অধিকাংশই উড়ে যেত। তবে এখন তাঁর খাঁচায় সারা বছর পাখি পাওয়া যায়। শৈশবের শখ বর্তমানে পরিণত হয়েছে পেশায়। বাড়িতে গড়ে তুলেছেন শৌখিন পাখির খামার। পাখি বিক্রি করে তাঁর মাসে আয় হচ্ছে ২০ হাজার টাকার মতো।
আরিফুলের বাড়ি তারাগঞ্জের মন্ডলপাড়া গ্রামে। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি খামারে পরিচর্যায় ব্যস্ত। কিচিরমিচির শব্দে মুখর উঠান। খাঁচায় খাবার দিয়ে তিনি বাইরে এসে শোনালেন পাখি পালনের গল্প।
আরিফুল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ছোট ভাইয়ের কর্মস্থল পাবনায় বেড়াতে গিয়ে দেখতে পান পাখির বড় বড় খামার। মুহূর্তে ফিরে যান শৈশবে। ইচ্ছা জাগে পাখি পালনের। এক খামারির কাছ থেকে তিন জোড়া ‘বাজরিকা’ পাখি কিনে বাড়িতে ফেরেন। সেই পাখি দেখে বাবা আসাদুর রহমানের সে কী রাগ! যদিও শেষে শান্ত হন তিনি।
সেই থেকে শুরু হয় আরিফুলের পাখি পালন। ছয় মাস পর কিনে আনেন দুই জোড়া ‘ডায়মন্ড ডাভ’। এগুলো ডিম দেয়, ডিম থেকে বাচ্চা হয়। এভাবে বাড়তে থাকে পাখির সংখ্যা। পাঁচ জোড়া পাখি এক বছরে ২০ জোড়ায় দাঁড়ায়। একসময় বাড়ির সামনে ঘর তুলে গড়ে তোলেন পাখির খামার। নাম দেন ‘ভাই ভাই পাখির খামার’।
আরিফুল এখন পুরোদস্তুর খামারি। তিনি ২০১১ সালে মাস্টার্স শেষ করার পর চাকরির জন্য হন্যে হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। এখন পাখি পালনের পর আর পিছু ফিরে তাকাতে হচ্ছে না তাঁকে। বর্তমানে প্রতি মাসে পাখি বিক্রি করে তাঁর আয় হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। তাঁর দেখানো পথে গ্রামের অনেক তরুণ-যুবক বাণিজ্যিকভাবে পাখি পালন শুরু করেছেন।
আরিফুলের খামারে বর্তমানে বাজরিকা, ফিঞ্চ, মুনিয়া, ডায়মন্ড ডাভ জাতের ৭০ জোড়া পাখি রয়েছে। এগুলো বয়স অনুযায়ী বিক্রি করা হয় বিভিন্ন দামে। তিন মাস বয়সী এক জোড়া বাজরিকা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০, ফিঞ্চ ৭০০ থেকে ৮০০, মুনিয়া ৫০০ থেকে ৬০০ ও ডায়মন্ড ডাভ দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। পাইকার ও শৌখিন পাখিপ্রেমীরা খামারে এসে কিনে নিয়ে যান।
আরিফুল বলেন, ‘আমার খামারে বাজরিকা জাতের পাখি সবচেয়ে বেশি। এই পাখি বছরে চারবার ডিম দেয়। বাচ্চার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ দিন হলেই উড়তে পারে। প্রজননের উপযোগী হতে চার মাস সময় লাগে। অন্য জাতের পাখিগুলোও প্রজননে কাছাকাছি সময় নেয়। পাখিকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয় চিকন ধান, কাউন, চিনা ও সূর্যমুখী ফুলের বীজ। প্রতি মাসে একেক জোড়া পাখির জন্য ৮০ থেকে ৯০ টাকা খরচ হয়।’
ওই গ্রামে আরিফুলকে দেখে সজীব হোসেন নামের এক যুবকও পাখির খামার গড়ে তুলেছেন। সজীব বলেন, ‘আরিফুল ভাইয়ের পরামর্শে তাঁর খামার থেকে পাখি কিনে আমি খামার করেছি। আমার খামারে এখন ১৫ জোড়া পাখি রয়েছে। পাখি পালনে মনে প্রশান্তি আসে। খরচ অনেক কম। এক জোড়া পাখি পালনে খরচ হবে সব মিলিয়ে ১০০ টাকা কিন্তু বিক্রি হবে এক থেকে দেড় হাজার টাকা।’
শুধু সজীবই নয়, গ্রামের হেলাল মিয়া, মিলন রহমান ও এমদাদুল হক পাখির খামার করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। পাখি বিক্রির টাকায় কেউ গাভি কিনেছেন, কেউ ছাগল পালন করছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফরহাদ নোমান বলেন, ‘পাখি পালন লাভজনক। এতে আলাদাভাবে তেমন কোনো সময় দিতে হয় না। পরিবারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি পাখি পালন করা যায়। আরিফুল ইসলাম আদর্শ খামারি। তিনি গ্রামে বিদেশি শৌখিন পাখির খামার করে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। বেকার যুবকদের জন্য এটি অনুকরণীয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে