আগৈলঝাড়ায় একটি রাস্তা দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের রথখোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে গৈলা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন গৈলা বাজারের ব্যবসায়ী, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করেন। কিন্তু এর কিছু কিছু জায়গায় ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে।

এই রাস্তায় চলাচলকারী ব্যবসায়ী পলাশ সরদার বলেন, ‘দোকানের মালামাল নেওয়ার সময় গর্তে পড়ে ভ্যান উল্টে দুর্ঘটনাসহ মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এটি ছাড়া মালামাল নেওয়ার আর রাস্তাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে এটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।’

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডি বিভাগে সংস্কারের দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গৈলা রথখোলা থেকে গৈলা বাজার পর্যন্ত এই সড়কটিতে প্রচুর মানুষের যাতায়াত। রাস্তাটি মেরামত না করায় রাস্তার বেশির ভাগ স্থানেই বিটুমিন ও ইট-পাথর উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভ্যান ও ইজিবাইক চলছে ধীর গতিতে।

এই রাস্তায় চলাচলকারী নাছির সরদার, সৈয়দ আনোয়ার তখন অভিযোগ করেন, রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। এতে তৈরি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। উপজেলার সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৈলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও গৈলা বাজারে আসা লোকজন এ ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।

রথখোলা বাজারের ব্যবসায়ী সোহল মোল্লা জানান, রাস্তার অসংখ্য স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে।

ইজিবাইক চালক লাল চান সরদার বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষেরও কষ্ট হয়।

ভ্যান চালক শাহিন ফকির বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় ভ্যান চালাতে গিয়ে প্রায়ই নাটবল্টু খুলে পড়ে যায়। এত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি খানাখন্দ থাকার পরও কেন সড়কটির সংস্কার করা হলো না তা আমাদের জানা নেই।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অহিদুর রহমান বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তাটির সংস্কার কাজ খুব দ্রুত শুরু করা হবে।