নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘দলিত জনগোষ্ঠীকে তাদের বেঁধে দেওয়া গণ্ডি থেকে বের হতে হবে। অনেক সুযোগের ব্যবস্থা করে দিলেও তারা নিজেরাই মান পরিবর্তনে অনাগ্রহী। ভবিষ্যতে প্রতিটি পরিবারের সন্তানদের বাধ্যতামূলক স্কুলে ভর্তি হতে হবে। নতুবা তাদের কলোনি থেকে বের করে দেওয়া হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার সকালে শহরের চুনকা পাঠাগার ও মিলনায়তনে দলিত নারী সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মেয়র।

মেয়র বলেন, ‘আপনারা বছরের পর বছর পিছিয়ে থাকবেন, এটা হয় না। আমরা আপনাদের বাসাবাড়ি, কলোনি দিচ্ছি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের জন্য বহুতল ভবনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা সাতটি ভবন করব। এর বাইরেও সরকার অনেক সুযোগ-সুবিধা দিতে চাইছে। আমরা চাই আপনাদের লাইফস্টাইল চেঞ্জ করতে।’

মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি যতবার ওদের কলোনিতে গিয়েছি, সেখানে তাদের খাবারদাবার খাই। আমার মনে হয় না বাংলাদেশে কেউ এমন ওদের ঘরে বসে খাবার খায়। আমরা নারীদের চেঞ্জ করতে চেয়েছিলাম। তবে তারা কেন জানি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। মনটাকে আগে ঠিক করতে হবে। মাথায় ঢোকাতে হবে যে আমি উঠে দাঁড়াব, সরকারি চাকরি করব। আমি অনেককে বলেছিলাম ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত পড়ালেখা চালাব, তোমরা চালিয়ে যাও। পরে গিয়ে দেখি বিয়ে দিয়ে দিয়েছে।’

আইভী আরও বলেন, ‘স্কুল-কলেজে বৈষম্যের খবর পেলেই আমরা লোকজন পাঠাই। আর নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে তো তাদেরই প্রাধান্য। নারায়ণগঞ্জের বাইরের অবস্থা কী তা জানি না। আমাদের অপরাজিতা স্কুল হবে। প্রয়োজনে সেখানেও তাদের জন্য কোটা রাখব।’

সভায় দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কর্মসূচি কর্মকর্তা সনু রানী দাস, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন, কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, শারমিন হাবিব বিন্নী প্রমুখ।