সাইফুল মাসুম ও আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর থেকে
একসময়ের শান্তিপ্রিয় এলাকা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন সন্ত্রাসী গ্রুপের ত্রাসের রাজত্বে এখন অশান্ত জনপদ। প্রকাশ্যে খুন, নৃশংসভাবে মানুষের হাত-পা কেটে ফেলা, চোখ উপড়ে ফেলার মতো ঘটনা এখানে নিয়মিত ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুন ও নৃশংস নির্যাতনের বিচার না পাওয়ার অভিযোগ আছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। ফলে আতঙ্ক এখন এলাকাবাসীর নিত্যসঙ্গী। সম্প্রতি বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে প্রকাশ্যে জোড়া খুনের ঘটনা মানুষের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে বশিকপুর। তাই সন্ধ্যার মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া থাকে সবার। গত ২৫ এপ্রিল রাতে খুন হওয়া রাকিব ইমামের ভাই সাইফুল ইসলাম রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে রাত ১১টা পর্যন্ত বাইরে থাকতাম। এখন সন্ধ্যার পর থেকে বের হতে পারি না। বাজার জমজমাট থাকত রাত ১টা পর্যন্ত। এখন সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সবার মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করে, কখন কী হয়!’
তবে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুল ইসলামের দাবি, বশিকপুরের মানুষ আতঙ্কে নেই। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কে আছে—এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বশিকপুরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে টহল বাড়ানো হয়েছে।’
ভয়ে গুটিয়ে থাকে সবাই
বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে ২৫ এপ্রিল ছিল হাটবার। ফলে বাজারে মানুষ ছিল অনেক বেশি। রাত পৌনে ১০টায় বাজারে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে লক্ষ্য করে। রক্তাক্ত রাকিব গাছের গুঁড়ির ওপর পড়ে যান। নোমান পিছিয়ে যেতে চাইলে আরও গুলি করা হয়। শেষ গুলিটা করা হয় মাথায়। অনেক মানুষ দেখলেও খুনিদের আটকানোর চেষ্টা করা দূরের কথা লুটিয়ে পড়া দেহ ধরতেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ২০-২৫ মিনিট পর আসেন নিহত দুজনের পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাস্থলের সামনেই চায়ের দোকান পা কাটা খোরশেদ আলমের। তিনি দেখেছেনও হত্যাকাণ্ডটি। খোরশেদ আলম বলেন, ‘১৯৯৯ সালে আরেক ভয়ংকর রাতে আবুল কাশেম জিহাদী আমার পা কেটে নিয়েছে। ২৪ বছর প্রশাসন, আদালত সবার কাছে গিয়েও বিচার পাইনি। ফলে সে দিনের খুনের ঘটনায় ভয়ে সামনে যাইনি।’
কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও বশিকপুরের বাসিন্দা শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, ‘এখানকার বাসিন্দারা ২৪ ঘণ্টাই ভয়ে থাকেন, কখন কী ঘটে!’
এত খুন তবু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয় না
জানা গেছে, বশিকপুরে অরাজকতার শুরু গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। তখন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বশিকপুরসহ আশপাশের এলাকায় গড়ে ওঠে সশস্ত্র গ্যাং বা গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠীগুলো থেকে তৈরি হয় আরও কিছু নতুন ছোট গ্রুপ। সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর মধ্যে ছিল আবুল কাশেমের জিহাদী বাহিনী, দত্তপাড়ার শামীম বাহিনী, লাদেন মাসুম বাহিনী, ইসমাইল বাহিনী, চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিমপাড়ার জিসান বাহিনী, উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের মুন্না বাহিনী, মতিন বাহিনী। একেক বাহিনীতে সদস্য ছিল ৫০ থেকে ১৫০ জন। তাদের হাতে ছিল বিপুলসংখ্যক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি করত। কোনো কোনো গ্রুপ পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুরের বিভিন্ন রাজনীতিকের হয়েও ভাড়ায় খাটত। কয়েক বছর আগে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অনেক বাহিনীর শীর্ষ নেতারা নিহত হন। লক্ষ্মীপুর জেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের আশীর্বাদে টিকে থাকেন আবুল কাশেম জিহাদী। বিলুপ্ত বাহিনীর অনেক সদস্যও এখনো আছেন, তাদের হাতে আছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। ক্ষয়িষ্ণু বিভিন্ন বাহিনীর দলছুট অনেক সদস্য যোগ দিয়েছে জিহাদী বাহিনীতে। অভিযোগ আছে, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না।
যুবলীগ নেতা শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, ‘১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বশিকপুরেই ২৪টি খুন হয়েছে। এ ছাড়া ১২-১৫ জন এখনো পঙ্গু। কেউ পা, কেউ হাত, কেউ চোখ হারিয়েছে। কঠোরভাবে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।’
নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কাশেম জিহাদী শত্রুতার জের ধরে আমার ভাইকে খুন করেছে। এর আগেও অন্তত এক ডজন খুনের সঙ্গে সে সরাসরি জড়িত। আমরা খবর পেয়েছি, জিহাদী বাহিনী নতুন করে ২০ লাখ টাকার অস্ত্র কিনেছে। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে জাতীয় নির্বাচনের আগে আরও অঘটন ঘটবে।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চলমান আছে।’
মুখ খুলতে শুরু করেছে মানুষ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তিন দশক ধরে ত্রাসের রাজত্ব চলছে বশিকপুরে। মানুষ দিনের পর দিন নৃশংস ঘটনা দেখে অনেকটাই বোবা হয়ে গেছে। তারা অনেক কিছু দেখেও দেখত না। শুনেও শুনত না। তবে জোড়া খুনের পর বশিকপুরের মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার, বশিকপুর বাজারে প্রতিবাদী মানববন্ধনও করেছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা। অনেকে মুখ না খুললেও চাইছেন এই অরাজকতার অবসান।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সমাজকর্মী মাইন উদ্দিন পাঠান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ক্ষমতাধর রাজনীতিকেরা নিজেদের প্রয়োজনে বাহিনীগুলো তৈরি করেছেন। এই সমস্যা নিরসনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো শুদ্ধ না হলে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না।’
একসময়ের শান্তিপ্রিয় এলাকা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন সন্ত্রাসী গ্রুপের ত্রাসের রাজত্বে এখন অশান্ত জনপদ। প্রকাশ্যে খুন, নৃশংসভাবে মানুষের হাত-পা কেটে ফেলা, চোখ উপড়ে ফেলার মতো ঘটনা এখানে নিয়মিত ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুন ও নৃশংস নির্যাতনের বিচার না পাওয়ার অভিযোগ আছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। ফলে আতঙ্ক এখন এলাকাবাসীর নিত্যসঙ্গী। সম্প্রতি বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে প্রকাশ্যে জোড়া খুনের ঘটনা মানুষের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে বশিকপুর। তাই সন্ধ্যার মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া থাকে সবার। গত ২৫ এপ্রিল রাতে খুন হওয়া রাকিব ইমামের ভাই সাইফুল ইসলাম রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগে রাত ১১টা পর্যন্ত বাইরে থাকতাম। এখন সন্ধ্যার পর থেকে বের হতে পারি না। বাজার জমজমাট থাকত রাত ১টা পর্যন্ত। এখন সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। সবার মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করে, কখন কী হয়!’
তবে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুল ইসলামের দাবি, বশিকপুরের মানুষ আতঙ্কে নেই। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষ আতঙ্কে আছে—এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বশিকপুরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে টহল বাড়ানো হয়েছে।’
ভয়ে গুটিয়ে থাকে সবাই
বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে ২৫ এপ্রিল ছিল হাটবার। ফলে বাজারে মানুষ ছিল অনেক বেশি। রাত পৌনে ১০টায় বাজারে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে লক্ষ্য করে। রক্তাক্ত রাকিব গাছের গুঁড়ির ওপর পড়ে যান। নোমান পিছিয়ে যেতে চাইলে আরও গুলি করা হয়। শেষ গুলিটা করা হয় মাথায়। অনেক মানুষ দেখলেও খুনিদের আটকানোর চেষ্টা করা দূরের কথা লুটিয়ে পড়া দেহ ধরতেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ২০-২৫ মিনিট পর আসেন নিহত দুজনের পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাস্থলের সামনেই চায়ের দোকান পা কাটা খোরশেদ আলমের। তিনি দেখেছেনও হত্যাকাণ্ডটি। খোরশেদ আলম বলেন, ‘১৯৯৯ সালে আরেক ভয়ংকর রাতে আবুল কাশেম জিহাদী আমার পা কেটে নিয়েছে। ২৪ বছর প্রশাসন, আদালত সবার কাছে গিয়েও বিচার পাইনি। ফলে সে দিনের খুনের ঘটনায় ভয়ে সামনে যাইনি।’
কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও বশিকপুরের বাসিন্দা শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, ‘এখানকার বাসিন্দারা ২৪ ঘণ্টাই ভয়ে থাকেন, কখন কী ঘটে!’
এত খুন তবু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয় না
জানা গেছে, বশিকপুরে অরাজকতার শুরু গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। তখন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বশিকপুরসহ আশপাশের এলাকায় গড়ে ওঠে সশস্ত্র গ্যাং বা গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠীগুলো থেকে তৈরি হয় আরও কিছু নতুন ছোট গ্রুপ। সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর মধ্যে ছিল আবুল কাশেমের জিহাদী বাহিনী, দত্তপাড়ার শামীম বাহিনী, লাদেন মাসুম বাহিনী, ইসমাইল বাহিনী, চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিমপাড়ার জিসান বাহিনী, উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের মুন্না বাহিনী, মতিন বাহিনী। একেক বাহিনীতে সদস্য ছিল ৫০ থেকে ১৫০ জন। তাদের হাতে ছিল বিপুলসংখ্যক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি করত। কোনো কোনো গ্রুপ পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুরের বিভিন্ন রাজনীতিকের হয়েও ভাড়ায় খাটত। কয়েক বছর আগে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অনেক বাহিনীর শীর্ষ নেতারা নিহত হন। লক্ষ্মীপুর জেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের আশীর্বাদে টিকে থাকেন আবুল কাশেম জিহাদী। বিলুপ্ত বাহিনীর অনেক সদস্যও এখনো আছেন, তাদের হাতে আছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। ক্ষয়িষ্ণু বিভিন্ন বাহিনীর দলছুট অনেক সদস্য যোগ দিয়েছে জিহাদী বাহিনীতে। অভিযোগ আছে, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না।
যুবলীগ নেতা শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী বলেন, ‘১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বশিকপুরেই ২৪টি খুন হয়েছে। এ ছাড়া ১২-১৫ জন এখনো পঙ্গু। কেউ পা, কেউ হাত, কেউ চোখ হারিয়েছে। কঠোরভাবে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।’
নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘কাশেম জিহাদী শত্রুতার জের ধরে আমার ভাইকে খুন করেছে। এর আগেও অন্তত এক ডজন খুনের সঙ্গে সে সরাসরি জড়িত। আমরা খবর পেয়েছি, জিহাদী বাহিনী নতুন করে ২০ লাখ টাকার অস্ত্র কিনেছে। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে জাতীয় নির্বাচনের আগে আরও অঘটন ঘটবে।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চলমান আছে।’
মুখ খুলতে শুরু করেছে মানুষ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তিন দশক ধরে ত্রাসের রাজত্ব চলছে বশিকপুরে। মানুষ দিনের পর দিন নৃশংস ঘটনা দেখে অনেকটাই বোবা হয়ে গেছে। তারা অনেক কিছু দেখেও দেখত না। শুনেও শুনত না। তবে জোড়া খুনের পর বশিকপুরের মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার, বশিকপুর বাজারে প্রতিবাদী মানববন্ধনও করেছেন স্থানীয় অনেক বাসিন্দা। অনেকে মুখ না খুললেও চাইছেন এই অরাজকতার অবসান।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সমাজকর্মী মাইন উদ্দিন পাঠান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ক্ষমতাধর রাজনীতিকেরা নিজেদের প্রয়োজনে বাহিনীগুলো তৈরি করেছেন। এই সমস্যা নিরসনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার। রাজনৈতিক দলগুলো শুদ্ধ না হলে প্রশাসনের কিছু করার থাকে না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে