সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
ছয় মাসে বাংলাদেশের ১৫ হাজার দক্ষ কর্মীকে ভিসা দেবে–এমন প্রস্তুতি নিয়ে গত মার্চে ঢাকায় এসেছিল রোমানিয়ার একটি ভিসা টিম। সম্ভাব্য আবেদনকারীদের ভিসাবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে তারা ফেসবুকে একটি পেজ খোলে। দেড় মাস এ দেশে থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কর্মীকে ভিসা দেয় তারা। ১৮ এপ্রিল ওই পেজে হঠাৎ বিরতি টানা হয়। এরপর গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দলটির সদস্যরা তড়িঘড়ি করে অনেকটা নীরবে ঢাকা ছেড়ে চলে যান।
কূটনৈতিক সূত্র ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলটি এসেছিল দক্ষ কর্মীকে ভিসা দিতে। কিন্তু দলটির সামনে যাঁদের পাঠানো হয়, তাঁরা নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার দাঁড়ায় প্রায় ৯০ শতাংশ। এ নিয়ে দলটি হতাশ ছিল। এই অবস্থায় অদক্ষ কর্মীদের ভিসা দেওয়ার জন্য তাঁদের ঘুষ সাধে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এমনকি ভয়ও দেখানো হয়।
জানা গেছে, বিদেশে কর্মী যাওয়ার বিষয়টি সরকারের পক্ষে ঢাকায় দেখভাল করে থাকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। কাজের সুবিধা হবে মনে করে ২০২২ সালে আসা রোমানিয়ার আরেকটি ভিসা টিমের জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছিল রাজধানীর কাকরাইলে বিএমইটি ভবনে। গত বছরের এপ্রিল থেকে ৩ মাসে ৫ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি ভিসা নিয়েছিলেন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন দেশটিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মী।
গত বছরের দৃশ্যমান সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এবার দেশটি পাঠায় আরও বড় ভিসা টিম। এবারও অফিস স্থাপন করে বিএমইটি ভবনে।
রোমানিয়ার কনস্যুলার টিম কেন তড়িঘড়ি ঢাকা ত্যাগ করেছে, এমন প্রশ্নে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে জানান, তারা কেন চলে গেল, সেটা তাঁর জানা নেই। তারা কিছু বলেও যায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়তো বলতে পারবে, তারা কেন চলে গেল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ডিসেম্বরে রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলীর পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২৩ সালে নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় এক লাখ বিদেশি কর্মী দরকার। এর বড় একটি অংশ তারা বাংলাদেশ, নেপালসহ কয়েকটি দেশ থেকে নিতে চায়। এমন চাহিদা সত্ত্বেও দেশটির কনস্যুলার টিমের তড়িঘড়ি ঢাকা ত্যাগে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সরকার ও সরকারের বাইরে বিভিন্ন মহলে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে রোমানিয়ায় মাত্র ১৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। সেই থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩ বছরে দেশটিতে বৈধভাবে কর্মী ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে গেছেন ২০ হাজার ব্যক্তি। একপর্যায়ে দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন প্রায় ৪০ শতাংশ। আর নেপালের ২০ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের।
ঢাকায় রোমানিয়ার দূতাবাস না থাকায় ভারতের রাজধানী দিল্লির দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে হয়। এই অসুবিধা কাটাতে ঢাকাতেই ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে রোমানিয়াকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে রাজিও হয় দেশটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি উইংয়ের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীনের তথ্য অনুয়ায়ী, রোমানিয়ার এবারের টিমটি কমপক্ষে ছয় মাস অবস্থান করে প্রায় ১৫ হাজার দক্ষ কর্মীকে ভিসা দেওয়ার জন্য ঢাকায় আসে।
রোমানিয়ার ভিসা টিমটি কেন তড়িঘড়ি ঢাকা ছেড়ে গেল, এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে আজকের পত্রিকা থেকে যোগাযোগ করা হয় ঢাকায় সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষ, বুখারেস্টে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে, যা দেশটির হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বিষয়গুলো দেখে থাকে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, রোমানিয়ার ভিসা টিমটি এবার কর্মী ভিসাপ্রত্যাশীদের মানে খুব হতাশ হয়েছে। তারা এসেছিল দক্ষ কর্মীদের ভিসা দিতে। কিন্তু ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যেসব ব্যক্তি ভিসার জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই নিজেরা দক্ষ কর্মী, এমন ধারণা রোমানিয়ার ভিসা কর্মকর্তাদের দিতে ব্যর্থ হন। বেশির ভাগ লোকই ইংরেজি জানেন না। ফলে শুরুর দিকে কিছু লোক ভিসা পেলেও একপর্যায়ে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ৯০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়।
বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল, বাংলাদেশ সরকারের এমন দুজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বাড়তে থাকায় একপর্যায়ে একশ্রেণির রিক্রুটিং এজেন্ট রোমানিয়ার টিমকে ঘুষ সেধেছে। টিমটি যে হোটেলে ছিল, সেখানে গিয়ে তারা বান্ডিল বান্ডিল ডলার দিতে চেয়েছে।
এমনকি ভিসা না দিলে ভালো হবে না, পরোক্ষে এমন হুমকিও দিয়েছে জানিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সম্ভবত রোমানিয়ার দলটি ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি ঢাকা থেকে চলে গেছে।
পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় কর্মীর মাসিক বেতন পেশা ও দক্ষতাভেদে ন্যূনতম ৭০০ থেকে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থেকে। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এবং রোমানিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপে, বিশেষ করে সেনজেনভুক্ত দেশে যাওয়া যাবে, এমন আশায় বহু কর্মী লাখ লাখ টাকা খরচ করেও দেশটিতে যেতে আগ্রহী।
রোমানিয়াগামী একেক কর্মীর দেশটিতে অভিবাসী কর্মী হিসেবে যেতে সাকল্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে সরকার নির্ধারণ করে দেয়। এর বিপরীতে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টরা ‘ইউরোপে পাঠাচ্ছে’ বলে কর্মীভেদে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকে বলে এক কূটনীতিক জানান।
রোমানিয়ার এক কূটনীতিক জানান, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যে ২০ হাজার বাংলাদেশি সে দেশে গিয়েছেন, তাঁদের চার ভাগের তিন ভাগ দেশটি ছেড়ে পশ্চিম ইউরোপের অন্য দেশে চলে গেছেন।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিল্লিভিত্তিক রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিয়েলা-ম্যারিয়ানা সেজনোভ তান জানান, বাংলাদেশ থেকে ভিসা নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা একসময় ‘গায়েব’ হয়ে যান। রোমানিয়ার ভিসা থাকলে সেনজেনভুক্ত যেসব দেশে প্রবেশের সুযোগ মেলে, এমন দেশগুলোয় যান তাঁরা।
রোমানিয়া পৌঁছানোর পর অন্য দেশে চলে যাওয়া অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ায় দেশটির অনীহ হয়ে ওঠার ঝুঁকি আছে বলে এক কূটনীতিক জানান।
ছয় মাসে বাংলাদেশের ১৫ হাজার দক্ষ কর্মীকে ভিসা দেবে–এমন প্রস্তুতি নিয়ে গত মার্চে ঢাকায় এসেছিল রোমানিয়ার একটি ভিসা টিম। সম্ভাব্য আবেদনকারীদের ভিসাবিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে তারা ফেসবুকে একটি পেজ খোলে। দেড় মাস এ দেশে থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কর্মীকে ভিসা দেয় তারা। ১৮ এপ্রিল ওই পেজে হঠাৎ বিরতি টানা হয়। এরপর গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দলটির সদস্যরা তড়িঘড়ি করে অনেকটা নীরবে ঢাকা ছেড়ে চলে যান।
কূটনৈতিক সূত্র ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলটি এসেছিল দক্ষ কর্মীকে ভিসা দিতে। কিন্তু দলটির সামনে যাঁদের পাঠানো হয়, তাঁরা নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার দাঁড়ায় প্রায় ৯০ শতাংশ। এ নিয়ে দলটি হতাশ ছিল। এই অবস্থায় অদক্ষ কর্মীদের ভিসা দেওয়ার জন্য তাঁদের ঘুষ সাধে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এমনকি ভয়ও দেখানো হয়।
জানা গেছে, বিদেশে কর্মী যাওয়ার বিষয়টি সরকারের পক্ষে ঢাকায় দেখভাল করে থাকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। কাজের সুবিধা হবে মনে করে ২০২২ সালে আসা রোমানিয়ার আরেকটি ভিসা টিমের জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছিল রাজধানীর কাকরাইলে বিএমইটি ভবনে। গত বছরের এপ্রিল থেকে ৩ মাসে ৫ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি ভিসা নিয়েছিলেন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন দেশটিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মী।
গত বছরের দৃশ্যমান সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এবার দেশটি পাঠায় আরও বড় ভিসা টিম। এবারও অফিস স্থাপন করে বিএমইটি ভবনে।
রোমানিয়ার কনস্যুলার টিম কেন তড়িঘড়ি ঢাকা ত্যাগ করেছে, এমন প্রশ্নে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে জানান, তারা কেন চলে গেল, সেটা তাঁর জানা নেই। তারা কিছু বলেও যায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়তো বলতে পারবে, তারা কেন চলে গেল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ডিসেম্বরে রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলীর পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ২০২৩ সালে নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় এক লাখ বিদেশি কর্মী দরকার। এর বড় একটি অংশ তারা বাংলাদেশ, নেপালসহ কয়েকটি দেশ থেকে নিতে চায়। এমন চাহিদা সত্ত্বেও দেশটির কনস্যুলার টিমের তড়িঘড়ি ঢাকা ত্যাগে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সরকার ও সরকারের বাইরে বিভিন্ন মহলে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে রোমানিয়ায় মাত্র ১৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। সেই থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩ বছরে দেশটিতে বৈধভাবে কর্মী ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে গেছেন ২০ হাজার ব্যক্তি। একপর্যায়ে দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশি ছিলেন প্রায় ৪০ শতাংশ। আর নেপালের ২০ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের।
ঢাকায় রোমানিয়ার দূতাবাস না থাকায় ভারতের রাজধানী দিল্লির দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে হয়। এই অসুবিধা কাটাতে ঢাকাতেই ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে রোমানিয়াকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে রাজিও হয় দেশটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি উইংয়ের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীনের তথ্য অনুয়ায়ী, রোমানিয়ার এবারের টিমটি কমপক্ষে ছয় মাস অবস্থান করে প্রায় ১৫ হাজার দক্ষ কর্মীকে ভিসা দেওয়ার জন্য ঢাকায় আসে।
রোমানিয়ার ভিসা টিমটি কেন তড়িঘড়ি ঢাকা ছেড়ে গেল, এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে আজকের পত্রিকা থেকে যোগাযোগ করা হয় ঢাকায় সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্তৃপক্ষ, বুখারেস্টে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে, যা দেশটির হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বিষয়গুলো দেখে থাকে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, রোমানিয়ার ভিসা টিমটি এবার কর্মী ভিসাপ্রত্যাশীদের মানে খুব হতাশ হয়েছে। তারা এসেছিল দক্ষ কর্মীদের ভিসা দিতে। কিন্তু ঢাকার রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে যেসব ব্যক্তি ভিসার জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই নিজেরা দক্ষ কর্মী, এমন ধারণা রোমানিয়ার ভিসা কর্মকর্তাদের দিতে ব্যর্থ হন। বেশির ভাগ লোকই ইংরেজি জানেন না। ফলে শুরুর দিকে কিছু লোক ভিসা পেলেও একপর্যায়ে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ৯০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়।
বিষয়টি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল, বাংলাদেশ সরকারের এমন দুজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বাড়তে থাকায় একপর্যায়ে একশ্রেণির রিক্রুটিং এজেন্ট রোমানিয়ার টিমকে ঘুষ সেধেছে। টিমটি যে হোটেলে ছিল, সেখানে গিয়ে তারা বান্ডিল বান্ডিল ডলার দিতে চেয়েছে।
এমনকি ভিসা না দিলে ভালো হবে না, পরোক্ষে এমন হুমকিও দিয়েছে জানিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সম্ভবত রোমানিয়ার দলটি ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি ঢাকা থেকে চলে গেছে।
পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় কর্মীর মাসিক বেতন পেশা ও দক্ষতাভেদে ন্যূনতম ৭০০ থেকে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থেকে। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে প্রবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এবং রোমানিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপে, বিশেষ করে সেনজেনভুক্ত দেশে যাওয়া যাবে, এমন আশায় বহু কর্মী লাখ লাখ টাকা খরচ করেও দেশটিতে যেতে আগ্রহী।
রোমানিয়াগামী একেক কর্মীর দেশটিতে অভিবাসী কর্মী হিসেবে যেতে সাকল্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে সরকার নির্ধারণ করে দেয়। এর বিপরীতে বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্টরা ‘ইউরোপে পাঠাচ্ছে’ বলে কর্মীভেদে ১০ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে থাকে বলে এক কূটনীতিক জানান।
রোমানিয়ার এক কূটনীতিক জানান, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যে ২০ হাজার বাংলাদেশি সে দেশে গিয়েছেন, তাঁদের চার ভাগের তিন ভাগ দেশটি ছেড়ে পশ্চিম ইউরোপের অন্য দেশে চলে গেছেন।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিল্লিভিত্তিক রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিয়েলা-ম্যারিয়ানা সেজনোভ তান জানান, বাংলাদেশ থেকে ভিসা নিয়ে যাওয়ার পর তাঁরা একসময় ‘গায়েব’ হয়ে যান। রোমানিয়ার ভিসা থাকলে সেনজেনভুক্ত যেসব দেশে প্রবেশের সুযোগ মেলে, এমন দেশগুলোয় যান তাঁরা।
রোমানিয়া পৌঁছানোর পর অন্য দেশে চলে যাওয়া অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ায় দেশটির অনীহ হয়ে ওঠার ঝুঁকি আছে বলে এক কূটনীতিক জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে