লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
টি-টোয়েন্টির রঙিন দুনিয়ায় বাংলাদেশের পা পড়েছিল জয় দিয়ে। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বড় দল আর ছোট দলের পার্থক্য খুব বেশি থাকে না বলে শুরুর দিকে বাংলাদেশ আশা করেছিল, এই ফরম্যাটে তাদের খুব বেশি হোঁচট খেতে হবে না। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বড় স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিল তারা।
কিন্তু দিন যত গেছে, বাংলাদেশের কাছে ততই ‘গোলকধাঁধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ২০ ওভারের ক্রিকেট। দর্শককে তুলনামূলক কম সময়ে সর্বোচ্চ বিনোদিত করার লক্ষ্যে হালকা মেজাজে যে খেলার শুরু, সেটিই পরে হয়ে গেছে ‘সিরিয়াস গেম’। কিন্তু বাংলাদেশ যেন এই সিরিয়াসনেস কিছুতেই বুঝতে পারছিল না। পাওয়ার হিটিং, ইম্প্যাক্ট ব্যাটিং, পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো, ডেথ ওভারে ব্যাটারদের কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া বোলিং, স্মার্ট ফিল্ডিং—ঘাটতি ছিল সবকিছুতেই। সময়ের সঙ্গে ২০ ওভারের ব্যাকরণ যেন বুঝতে শিখে গেছে বাংলাদেশও। দুই দিন আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেই বদলের গল্প লিখেছেন সাকিবরা, গেয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের নতুন দিনের গান।
নাজমুল হোসেন শান্ত-তৌহিদ হৃদয়দের ব্যাটিং, তাসকিন আহমেদ-হাসান মাহমুদদের বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে দেখা গেছে একদল বাজপাখি। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা গেছে নতুন এক বাংলাদেশকে।
এটাই কি টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার শিকল ছিঁড়ে সাফল্যের দিকে মোড় নেওয়া সিরিজ জয়? বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম বললেন, ‘বিষয়টা বুঝতে আমাদের আরও দু-একটা সিরিজ দেখা প্রয়োজন। যদি বাইরের কন্ডিশনে খেলা হয়, তাহলে বোঝা যাবে, আমাদের উন্নতি কতটুকু হয়েছে। কিন্তু কিছুটা উন্নতি হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইংল্যান্ড অবশ্যই শক্তিশালী দল। আমরা হোম কন্ডিশনে কিছুটা সুবিধা পেয়েছি, এটা সত্যি কথা। তবে আমরা আগে যেটা খেলতাম, ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। তবে কতটা উন্নতি হয়েছে, তা বলা মুশকিল। উন্নতির গ্রাফ যে ওপরের দিকে যাচ্ছে, সেটা পরিষ্কার।’
বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস মনে করেন, এ সিরিজ বাংলাদেশকে সামনে ইতিবাচক পথ দেখাবে, বাড়িয়ে দেবে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের এ উপব্যবস্থাপক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এই সিরিজ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটা ইতিবাচক পথ দেখাবে। বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে এ রকম দাপট দেখিয়ে পারফরম্যান্স। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’ নাফীস আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে পিছিয়ে ছিল। এ ধরনের পারফরম্যান্স অবশ্যই বাংলাদেশ দলকে সামনে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, ইনশা আল্লাহ।’
একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। নির্বাচকদের খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়েও প্রশংসা ছিল। তবে ফাহিম এই সাফল্যের নেপথ্যে কিছুদিন আগে শেষ হওয়া বিপিএলের প্রভাব দেখছেন, ‘গত বিপিএল। যেটা খুব ভালো আয়োজন ছিল। ভালো উইকেটে খেলা হয়েছিল। আমাদের ব্যাটাররা-বোলাররা ভালো করেছিল। তারাই এই সিরিজে সুযোগ পেয়েছে। সেরা পারফরমারদের সুযোগ দেওয়ায়ই আসলে এই ফল পেয়েছে।’
ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান মনে করছেন, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একটা সিরিজ। তিনি বললেন, ‘তিন ম্যাচই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খুব ভালোভাবে জিতেছি। বিপিএলের সেরা পারফরমারদের কারণেই দল ভালো করেছে সিরিজ। তার সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকেরা যাদের সুযোগ দেওয়া দরকার, তাদের দিয়েছেন, এটা ছিল বড় একটা ধাপ। তরুণ ক্রিকেটাররা আত্মবিশ্বাসী, ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলছে তারা। সবাই উদ্যমী। তাদের অ্যাপ্রোচ ছিল অসাধারণ। এভাবে যদি আমরা খেলতে পারি, সব দলই আমাদের সমীহ করবে। বাংলাদেশ শিখেছে কীভাবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে হবে এবং জিততে হবে।’
সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গেছে খেলোয়াড়দের লড়াকু মনোভাব। হাল না ছাড়ার পণ করেই যেন নেমেছেন তাঁরা। এটাও এই সিরিজের বড় অর্জন মনে করছেন ফাহিম, ‘আমরা হাল ছেড়ে দিয়ে খেলা শুরু করতাম টি-টোয়েন্টিতে। এখন আর সেটা হবে না। তবে প্রতিটি খেলোয়াড়কে আরও প্রস্তুত হতে হবে।’
এ সিরিজে আলাদাভাবে প্রশংসিত হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণ। প্রশংসিত হচ্ছে ফিল্ডিংও। সাকিব গত পরশু বলেছেন, এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল হতে তাঁরা খুব বেশি দূরে নেই। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ জয় বাংলাদেশকে দিয়েছে নতুন পথের সন্ধান।
টি-টোয়েন্টির রঙিন দুনিয়ায় বাংলাদেশের পা পড়েছিল জয় দিয়ে। সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বড় দল আর ছোট দলের পার্থক্য খুব বেশি থাকে না বলে শুরুর দিকে বাংলাদেশ আশা করেছিল, এই ফরম্যাটে তাদের খুব বেশি হোঁচট খেতে হবে না। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বড় স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিল তারা।
কিন্তু দিন যত গেছে, বাংলাদেশের কাছে ততই ‘গোলকধাঁধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ২০ ওভারের ক্রিকেট। দর্শককে তুলনামূলক কম সময়ে সর্বোচ্চ বিনোদিত করার লক্ষ্যে হালকা মেজাজে যে খেলার শুরু, সেটিই পরে হয়ে গেছে ‘সিরিয়াস গেম’। কিন্তু বাংলাদেশ যেন এই সিরিয়াসনেস কিছুতেই বুঝতে পারছিল না। পাওয়ার হিটিং, ইম্প্যাক্ট ব্যাটিং, পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো, ডেথ ওভারে ব্যাটারদের কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়া বোলিং, স্মার্ট ফিল্ডিং—ঘাটতি ছিল সবকিছুতেই। সময়ের সঙ্গে ২০ ওভারের ব্যাকরণ যেন বুঝতে শিখে গেছে বাংলাদেশও। দুই দিন আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেই বদলের গল্প লিখেছেন সাকিবরা, গেয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের নতুন দিনের গান।
নাজমুল হোসেন শান্ত-তৌহিদ হৃদয়দের ব্যাটিং, তাসকিন আহমেদ-হাসান মাহমুদদের বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে দেখা গেছে একদল বাজপাখি। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা গেছে নতুন এক বাংলাদেশকে।
এটাই কি টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতার শিকল ছিঁড়ে সাফল্যের দিকে মোড় নেওয়া সিরিজ জয়? বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম বললেন, ‘বিষয়টা বুঝতে আমাদের আরও দু-একটা সিরিজ দেখা প্রয়োজন। যদি বাইরের কন্ডিশনে খেলা হয়, তাহলে বোঝা যাবে, আমাদের উন্নতি কতটুকু হয়েছে। কিন্তু কিছুটা উন্নতি হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইংল্যান্ড অবশ্যই শক্তিশালী দল। আমরা হোম কন্ডিশনে কিছুটা সুবিধা পেয়েছি, এটা সত্যি কথা। তবে আমরা আগে যেটা খেলতাম, ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে উন্নতির ছাপ স্পষ্ট। তবে কতটা উন্নতি হয়েছে, তা বলা মুশকিল। উন্নতির গ্রাফ যে ওপরের দিকে যাচ্ছে, সেটা পরিষ্কার।’
বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস মনে করেন, এ সিরিজ বাংলাদেশকে সামনে ইতিবাচক পথ দেখাবে, বাড়িয়ে দেবে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের এ উপব্যবস্থাপক আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এই সিরিজ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে একটা ইতিবাচক পথ দেখাবে। বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে এ রকম দাপট দেখিয়ে পারফরম্যান্স। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।’ নাফীস আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে পিছিয়ে ছিল। এ ধরনের পারফরম্যান্স অবশ্যই বাংলাদেশ দলকে সামনে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে, ইনশা আল্লাহ।’
একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। নির্বাচকদের খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়েও প্রশংসা ছিল। তবে ফাহিম এই সাফল্যের নেপথ্যে কিছুদিন আগে শেষ হওয়া বিপিএলের প্রভাব দেখছেন, ‘গত বিপিএল। যেটা খুব ভালো আয়োজন ছিল। ভালো উইকেটে খেলা হয়েছিল। আমাদের ব্যাটাররা-বোলাররা ভালো করেছিল। তারাই এই সিরিজে সুযোগ পেয়েছে। সেরা পারফরমারদের সুযোগ দেওয়ায়ই আসলে এই ফল পেয়েছে।’
ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান মনে করছেন, এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া একটা সিরিজ। তিনি বললেন, ‘তিন ম্যাচই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে খুব ভালোভাবে জিতেছি। বিপিএলের সেরা পারফরমারদের কারণেই দল ভালো করেছে সিরিজ। তার সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকেরা যাদের সুযোগ দেওয়া দরকার, তাদের দিয়েছেন, এটা ছিল বড় একটা ধাপ। তরুণ ক্রিকেটাররা আত্মবিশ্বাসী, ভয়-ডরহীন ক্রিকেট খেলছে তারা। সবাই উদ্যমী। তাদের অ্যাপ্রোচ ছিল অসাধারণ। এভাবে যদি আমরা খেলতে পারি, সব দলই আমাদের সমীহ করবে। বাংলাদেশ শিখেছে কীভাবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে হবে এবং জিততে হবে।’
সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গেছে খেলোয়াড়দের লড়াকু মনোভাব। হাল না ছাড়ার পণ করেই যেন নেমেছেন তাঁরা। এটাও এই সিরিজের বড় অর্জন মনে করছেন ফাহিম, ‘আমরা হাল ছেড়ে দিয়ে খেলা শুরু করতাম টি-টোয়েন্টিতে। এখন আর সেটা হবে না। তবে প্রতিটি খেলোয়াড়কে আরও প্রস্তুত হতে হবে।’
এ সিরিজে আলাদাভাবে প্রশংসিত হচ্ছে পেস বোলিং আক্রমণ। প্রশংসিত হচ্ছে ফিল্ডিংও। সাকিব গত পরশু বলেছেন, এশিয়ার সেরা ফিল্ডিং দল হতে তাঁরা খুব বেশি দূরে নেই। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ জয় বাংলাদেশকে দিয়েছে নতুন পথের সন্ধান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে