দাকোপ প্রতিনিধি
দাকোপের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে এসব ক্লিনিক। এখান থেকে মানুষ ২৭ ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে পেয়ে থাকেন। ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা, পরামর্শ ও বিনা মূল্যের ওষুধ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। করোনাকালে এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে বেড়েছে রোগীর চাপ। সাধারণত সর্দি-কাশি-জ্বর-মাথাব্যথা-আমাশয় ও ডায়রিয়ার রোগী এখানে ভিড় করেন।
সরেজমিনে গত সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, রোগীদের লম্বা লাইন। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, চোখ ওঠা, আমাশয়, ডায়রিয়া, দুর্বলতাসহ বিভিন্ন রোগ ও লক্ষণ নিয়ে হাজির হয়েছেন রোগী। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মনোযোগ দিয়ে রোগীদের সমস্যার কথা শুনছেন এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। ক্লিনিকে আগত প্রত্যেক রোগীকে স্বাস্থ্যশিক্ষা দিচ্ছেন। জানাচ্ছেন করোনার লক্ষণ। বলছেন মাস্ক ব্যবহারের কথা। সাবান দিয়ে হাত ধুতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে ও তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
কথা হয় কয়েকজন রোগীর সঙ্গে। পানখালী হোগলাবুনিয়া ক্লিনিকে আগত পানখালী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান শেখ (৭৫) বলেন, ‘বয়স বেড়েছে। শরীর অনেক দুর্বল। এখানে এসেছিলাম দুর্বলতার ওষুধ নিতে। এখানকার চিকিৎসকেরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এবং কিছু ওষুধ দিয়েছেন।
বাজুয়া বেড়েরখাল ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা মাফুজা বেগম (৭০) বলেন, ‘বয়স বাড়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমি এসেছিলাম প্রেসার মাপাতে। সঙ্গে কিছু ওষুধ নিয়ে গেলাম। ডাক্তার করোনা সম্পর্কে যা বললেন তা মেনে চলার চেষ্টা করব।’
সুতারখালি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা আজগর আলী সরদার (৫৮) বলেন, ‘আগে ভাবতাম ওসব করোনা-টরোনা আমাদের গরিবদের হবে না। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারলাম করোনা গরিব-বড়লোক কাউরে ছাড়তেছে না। বেশ কিছুদিন ধরে রাতে গা গরম হচ্ছিল। ডাক্তার ভালো করে দেখে ওষুধ দিয়েছেন। তিন দিন পর আবার আসতে বলেছেন। সেবা পেয়ে আমি খুশি।’
হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ক্লিনিকগুলো সরকারি ছুটি ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন খোলা থাকে। এখানে আগত ব্যক্তিকে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত বেশ কয়েকজন সিএইচসিপির সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, এখানে সাধারণত শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা, সাধারণ রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনাসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী পাঠানো হয়। তবে ক্লিনিকে আগত সব রোগীকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, দাকোপ উপজেলায় ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। সেখানে কর্মরত সিএইচসিপিরা করোনা সম্পর্কে গ্রামের মানুষকে সচেতন করছেন। গ্রামের মানুষের প্রথম আস্থা এই কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রথমে মানুষ চিকিৎসা নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে যায়। সেখান থেকে তাঁদের পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, আমাশয় ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রায় ২৭ ধরনের ওষুধ রোগীদের বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে করোনাসহ বিভিন্ন রোগের ওপর স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে। দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। করোনা প্রতিরোধে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
দাকোপের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গ্রামের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে এসব ক্লিনিক। এখান থেকে মানুষ ২৭ ধরনের ওষুধ বিনা মূল্যে পেয়ে থাকেন। ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা, পরামর্শ ও বিনা মূল্যের ওষুধ পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। করোনাকালে এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে বেড়েছে রোগীর চাপ। সাধারণত সর্দি-কাশি-জ্বর-মাথাব্যথা-আমাশয় ও ডায়রিয়ার রোগী এখানে ভিড় করেন।
সরেজমিনে গত সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, রোগীদের লম্বা লাইন। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, চোখ ওঠা, আমাশয়, ডায়রিয়া, দুর্বলতাসহ বিভিন্ন রোগ ও লক্ষণ নিয়ে হাজির হয়েছেন রোগী। দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মনোযোগ দিয়ে রোগীদের সমস্যার কথা শুনছেন এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। ক্লিনিকে আগত প্রত্যেক রোগীকে স্বাস্থ্যশিক্ষা দিচ্ছেন। জানাচ্ছেন করোনার লক্ষণ। বলছেন মাস্ক ব্যবহারের কথা। সাবান দিয়ে হাত ধুতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে ও তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
কথা হয় কয়েকজন রোগীর সঙ্গে। পানখালী হোগলাবুনিয়া ক্লিনিকে আগত পানখালী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হাসান শেখ (৭৫) বলেন, ‘বয়স বেড়েছে। শরীর অনেক দুর্বল। এখানে এসেছিলাম দুর্বলতার ওষুধ নিতে। এখানকার চিকিৎসকেরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এবং কিছু ওষুধ দিয়েছেন।
বাজুয়া বেড়েরখাল ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা মাফুজা বেগম (৭০) বলেন, ‘বয়স বাড়ার কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমি এসেছিলাম প্রেসার মাপাতে। সঙ্গে কিছু ওষুধ নিয়ে গেলাম। ডাক্তার করোনা সম্পর্কে যা বললেন তা মেনে চলার চেষ্টা করব।’
সুতারখালি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা আজগর আলী সরদার (৫৮) বলেন, ‘আগে ভাবতাম ওসব করোনা-টরোনা আমাদের গরিবদের হবে না। কিন্তু এখানে এসে জানতে পারলাম করোনা গরিব-বড়লোক কাউরে ছাড়তেছে না। বেশ কিছুদিন ধরে রাতে গা গরম হচ্ছিল। ডাক্তার ভালো করে দেখে ওষুধ দিয়েছেন। তিন দিন পর আবার আসতে বলেছেন। সেবা পেয়ে আমি খুশি।’
হোগলাবুনিয়া কমিউনিটি গ্রুপের সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ক্লিনিকগুলো সরকারি ছুটি ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিন খোলা থাকে। এখানে আগত ব্যক্তিকে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া হয়। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত বেশ কয়েকজন সিএইচসিপির সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, এখানে সাধারণত শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবা, সাধারণ রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনাসেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী পাঠানো হয়। তবে ক্লিনিকে আগত সব রোগীকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক নিজামী বলেন, দাকোপ উপজেলায় ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। সেখানে কর্মরত সিএইচসিপিরা করোনা সম্পর্কে গ্রামের মানুষকে সচেতন করছেন। গ্রামের মানুষের প্রথম আস্থা এই কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রথমে মানুষ চিকিৎসা নিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে যায়। সেখান থেকে তাঁদের পরামর্শ দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। জ্বর, সর্দি, কাশি, মাথাব্যথা, আমাশয় ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রায় ২৭ ধরনের ওষুধ রোগীদের বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে করোনাসহ বিভিন্ন রোগের ওপর স্বাস্থ্যশিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে। দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। করোনা প্রতিরোধে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে