মো. আতিকুল ইসলাম চৌধুরী (দিনাজপুর)
প্রাকৃতিক উপায়ে ধান চাষ করে সাড়া ফেলেছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দুই কৃষক। তাঁরা কোনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেননি আমন আবাদে। ১০০ দিনের মাথায় তাঁদের খেত শিষে ছেয়ে গেছে। তাঁরা ভালো ফলনের আশা করছেন। তাঁদের চাষের প্রক্রিয়ায় খরচ কম হওয়ায় অন্য কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন।
‘জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং’ পদ্ধতি অনুসরণ করে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের ছাতনীপাড়ার বাবলু লাকড়া ও উজ্জ্বল তিরকী এবার বিআর ৭১ জাতের ধান চাষ করেছেন। এতে কোনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই গোবর ও গোমূত্র দিয়ে বিশেষভাবে চাষ করেছেন তাঁরা।
বেসরকারি সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশের (সিসিডিবি) দিকনির্দেশনা ও আর্থিক সহযোগিতায় বাবলু ও উজ্জ্বল এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন।
গতকাল বুধবার উজ্জ্বলের জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের মধ্যে শুধু তাঁদের জমিতে ধানের শিষে ভরে গেছে। উজ্জ্বল জানান, এবার আমন মৌসুমে ৬ বিঘা ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২০ শতক জমিতে সিসিডিবির সহযোগিতায় জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং পদ্ধতিতে বিআর ৭১ জাতের ধান চাষ করেছেন তাঁরা। এখন ধানগাছের বয়স ৩ মাস ১০ দিন। ১৫ দিনের মধ্যেই ধান কাটতে পারবেন তিনি।
অপর কৃষক বাবলু জানান, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে তাঁর বিঘাপ্রতি দুই হাজার টাকার বেশি সাশ্রয় হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে আরও বেশি পরিমাণে চাষাবাদ করবেন তিনি।
হরিরামপুর গ্রামের কৃষক রমেশ তিগ্গা বলেন, ‘শুনেছিলাম সার ও কীটনাশক ছাড়াই বাবলু ও উজ্জ্বল ধান চাষ করেছেন। অনেকে বলেছেন ফলন হবে না। শুধু কষ্ট বিফলে যাবে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ধানের শিষ আসায় এলাকার কৃষকেরা হতবাক। আমরাও এই পদ্ধতি অনুসরণে চাষ করব।’
চাষ পদ্ধতি
জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং পদ্ধতিতে প্রথমে ‘জীবামুরদ’ তৈরি করতে হয়। এতে ১০ কেজি গোবর, ১০ লিটার গোমূত্র, ১ কেজি চিটাগুড়, ১ কেজি বেসন ও পরিমাণমতো মাটি দিয়ে মেশাতে হয়। তিন দিন রাখার পর তা জীবামুরদে পরিণত হয়। পরে তা জমিতে দিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে হয়। এ পদ্ধতিতে ১১৪ দিনের মাথায় ধান ঘরে তোলা যায়।
সিসিডিবির দাউদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক হরি সাধন রায় বলেন, ‘আমরা দেখেছি কৃষকদের একটা বড় অঙ্ক রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পেছনে ব্যয় করতে হয়। তাতে কৃষকের লাভের অর্ধেক চলে যায়। এই অঞ্চলে প্রথমবার দুই কৃষক ৩৮ শতক জমিতে জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন।’
প্রাকৃতিক উপায়ে ধান চাষ করে সাড়া ফেলেছেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দুই কৃষক। তাঁরা কোনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেননি আমন আবাদে। ১০০ দিনের মাথায় তাঁদের খেত শিষে ছেয়ে গেছে। তাঁরা ভালো ফলনের আশা করছেন। তাঁদের চাষের প্রক্রিয়ায় খরচ কম হওয়ায় অন্য কৃষকেরা আগ্রহী হচ্ছেন।
‘জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং’ পদ্ধতি অনুসরণ করে নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের ছাতনীপাড়ার বাবলু লাকড়া ও উজ্জ্বল তিরকী এবার বিআর ৭১ জাতের ধান চাষ করেছেন। এতে কোনো রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই গোবর ও গোমূত্র দিয়ে বিশেষভাবে চাষ করেছেন তাঁরা।
বেসরকারি সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশের (সিসিডিবি) দিকনির্দেশনা ও আর্থিক সহযোগিতায় বাবলু ও উজ্জ্বল এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন।
গতকাল বুধবার উজ্জ্বলের জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠের মধ্যে শুধু তাঁদের জমিতে ধানের শিষে ভরে গেছে। উজ্জ্বল জানান, এবার আমন মৌসুমে ৬ বিঘা ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২০ শতক জমিতে সিসিডিবির সহযোগিতায় জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং পদ্ধতিতে বিআর ৭১ জাতের ধান চাষ করেছেন তাঁরা। এখন ধানগাছের বয়স ৩ মাস ১০ দিন। ১৫ দিনের মধ্যেই ধান কাটতে পারবেন তিনি।
অপর কৃষক বাবলু জানান, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে তাঁর বিঘাপ্রতি দুই হাজার টাকার বেশি সাশ্রয় হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে আরও বেশি পরিমাণে চাষাবাদ করবেন তিনি।
হরিরামপুর গ্রামের কৃষক রমেশ তিগ্গা বলেন, ‘শুনেছিলাম সার ও কীটনাশক ছাড়াই বাবলু ও উজ্জ্বল ধান চাষ করেছেন। অনেকে বলেছেন ফলন হবে না। শুধু কষ্ট বিফলে যাবে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ধানের শিষ আসায় এলাকার কৃষকেরা হতবাক। আমরাও এই পদ্ধতি অনুসরণে চাষ করব।’
চাষ পদ্ধতি
জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং পদ্ধতিতে প্রথমে ‘জীবামুরদ’ তৈরি করতে হয়। এতে ১০ কেজি গোবর, ১০ লিটার গোমূত্র, ১ কেজি চিটাগুড়, ১ কেজি বেসন ও পরিমাণমতো মাটি দিয়ে মেশাতে হয়। তিন দিন রাখার পর তা জীবামুরদে পরিণত হয়। পরে তা জমিতে দিয়ে ধানের চারা রোপণ করতে হয়। এ পদ্ধতিতে ১১৪ দিনের মাথায় ধান ঘরে তোলা যায়।
সিসিডিবির দাউদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক হরি সাধন রায় বলেন, ‘আমরা দেখেছি কৃষকদের একটা বড় অঙ্ক রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পেছনে ব্যয় করতে হয়। তাতে কৃষকের লাভের অর্ধেক চলে যায়। এই অঞ্চলে প্রথমবার দুই কৃষক ৩৮ শতক জমিতে জিরো বাজেট ন্যাচারাল ফার্মিং পদ্ধতিতে ধান চাষ করেছেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে