বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
র্যাপ সংগীতকে বলা হয় প্রতিবাদের ভাষা। সারা বিশ্বের সব অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করেন র্যাপাররা। অনিয়মের বিরুদ্ধে সজাগ বাংলাদেশের র্যাপাররাও। অসাম্প্রদায়িকতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে গান দিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে তাঁদের।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে র্যাপারদের ভূমিকা। কোটা সংস্কার নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর থেকে জেগে ওঠেন নতুন প্রজন্মের র্যাপাররা। প্রায় ৩০টির মতো র্যাপ গান প্রকাশিত হয় ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল হান্নান হোসাইন শিমুলের ‘আওয়াজ উডা’ ও মুহাম্মদ সেজানের ‘কথা ক’।
যেভাবে শুরু
হান্নান ও সেজান দুজনের বাড়িই নারায়ণগঞ্জে। র্যাপে দুজনের পথচলাও সমসাময়িক। র্যাপ সংগীতে তাঁদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। হান্নানের প্রথম গান ‘ডিসকাউন্ট’, সেজানের প্রথম গান ‘সাইড ল’। এর পর থেকে নিয়মিত র্যাপের সঙ্গেই আছেন হান্নান ও সেজান।
যেভাবে সৃষ্টি হলো আওয়াজ উডা ও কথা ক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা দাগ কাটে হান্নান ও সেজানের মনে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন গানের মাধ্যমে প্রতিবাদের। হান্নানের ভাষায়, ‘আন্দোলনে আমার ভাইবোনদের রাস্তায় মারা হচ্ছিল। আবু সাঈদের মতো অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সেই সময় আর চুপ থাকার অবস্থায় ছিলাম না। ভাবছিলাম আমার অবস্থান থেকে কিছু একটা করার। সেই চেষ্টা থেকেই আওয়াজ উডা। লেখা শুরু করার পর অটোমেটিক গানের কথাগুলো চলে আসছিল। মাত্র আড়াই ঘণ্টায় লিখেছিলাম গানটি।’
অন্যদিকে সেজান জানান, জেদ থেকেই তিনি লিখেছেন কথা ক। সেজান বলেন, ‘যেকোনো মানুষের দাবি থাকতেই পারে। সেটা নিয়ে যদি অত্যাচার করা হয়, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা কোথায়। সেই জেদ থেকেই গানটি লেখা।’
র্যাপে নিজেদের ভবিষ্যৎ
গান প্রকাশের পর থেকে সবার কাছ থেকে দারুণ সাপোর্ট পাচ্ছেন হান্নান ও সেজান। সবার এই ভালোবাসা নিজেদের ভবিষ্যতের পথচলায় অনেক অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করেন শিল্পীদ্বয়। সেজান বলেন, ‘র্যাপ সংগীত তরুণ প্রজন্মের মানুষ বেশি শোনে। কিন্তু আওয়াজ উডা, কথা কসহ বেশ কিছু গান সিনিয়র সিটিজেনরাও গ্রহণ করেছেন। এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল, গানগুলো একটি জেনারেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকুক, সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক।’ ভবিষ্যতে যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদে সামনের সারিতে থাকতে চান তাঁরা। হান্নান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন থেকে আমাদের সবার অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি, ভবিষ্যতে যেকোনো প্রতিবাদে আমরা সামনের দিকে থাকব।’
গান গেয়ে সাজা ভোগ
বিপ্লবী এই গান করে সাজার মুখে পড়তে হয়েছে হান্নানকে। ২৫ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হান্নানের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদ করেন শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। ১৩ দিন কারাগারে থাকার পর ৬ আগস্ট মুক্ত হন হান্নান। শিল্পী বলেন, ‘যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো, বুঝতে পারছিলাম না কী হবে আমার সঙ্গে। কারাগারে পাঠানোর পর বুঝতে পারলাম সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। ১৩ দিন কারাগারে থেকে বের হওয়ার পর জানতে পারলাম আমার মুক্তির জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, দেয়ালে গ্রাফিতি করেছে। আমার চোখ ভরে আসছিল, সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।’
অন্যদিকে, কারাগারে যেতে না হলেও বিভিন্ন মহল থেকে চাপের মুখে পড়েছিলেন সেজান। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম গান প্রকাশের পর চাপ আসতে পারে। কিন্তু দেশের ওই পরিস্থিতিতে আমরা চুপ করে থাকতে পারি না।’
যেমন বাংলাদেশ দেখতে চান
নতুন এই বাংলাদেশ নিয়ে নিজের প্রত্যাশা জানিয়ে হান্নান বলেন, ‘এখন যে মুক্ত বাংলাদেশ, এটা যেন এমনই থাকে। লেখকদের ওপর কোনো চাপ না আসুক, গায়কদের ওপর কোনো বাধা না আসুক। দেশের খারাপ পরিস্থিতির সময় সব মানুষ যেভাবে এক হয়েছে, সব সময় এমন করে এক থাকতে হবে। কখনোই যেন আর কেউ আমাদের দেশকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে না পারে।’
সেজান বলেন, ‘সবাই যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করার কারণেই দেশ আজ মুক্ত, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ যেন এক হয়ে থাকতে পারি। গানের মাধ্যমে সবার সমান অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করে যাব। আমরা যেন আমাদের কথাটা মন খুলে বলতে পারি, এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’
র্যাপ সংগীতকে বলা হয় প্রতিবাদের ভাষা। সারা বিশ্বের সব অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করেন র্যাপাররা। অনিয়মের বিরুদ্ধে সজাগ বাংলাদেশের র্যাপাররাও। অসাম্প্রদায়িকতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে গান দিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে তাঁদের।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে র্যাপারদের ভূমিকা। কোটা সংস্কার নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর থেকে জেগে ওঠেন নতুন প্রজন্মের র্যাপাররা। প্রায় ৩০টির মতো র্যাপ গান প্রকাশিত হয় ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল হান্নান হোসাইন শিমুলের ‘আওয়াজ উডা’ ও মুহাম্মদ সেজানের ‘কথা ক’।
যেভাবে শুরু
হান্নান ও সেজান দুজনের বাড়িই নারায়ণগঞ্জে। র্যাপে দুজনের পথচলাও সমসাময়িক। র্যাপ সংগীতে তাঁদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। হান্নানের প্রথম গান ‘ডিসকাউন্ট’, সেজানের প্রথম গান ‘সাইড ল’। এর পর থেকে নিয়মিত র্যাপের সঙ্গেই আছেন হান্নান ও সেজান।
যেভাবে সৃষ্টি হলো আওয়াজ উডা ও কথা ক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা দাগ কাটে হান্নান ও সেজানের মনে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেন গানের মাধ্যমে প্রতিবাদের। হান্নানের ভাষায়, ‘আন্দোলনে আমার ভাইবোনদের রাস্তায় মারা হচ্ছিল। আবু সাঈদের মতো অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সেই সময় আর চুপ থাকার অবস্থায় ছিলাম না। ভাবছিলাম আমার অবস্থান থেকে কিছু একটা করার। সেই চেষ্টা থেকেই আওয়াজ উডা। লেখা শুরু করার পর অটোমেটিক গানের কথাগুলো চলে আসছিল। মাত্র আড়াই ঘণ্টায় লিখেছিলাম গানটি।’
অন্যদিকে সেজান জানান, জেদ থেকেই তিনি লিখেছেন কথা ক। সেজান বলেন, ‘যেকোনো মানুষের দাবি থাকতেই পারে। সেটা নিয়ে যদি অত্যাচার করা হয়, তাহলে আমাদের স্বাধীনতা কোথায়। সেই জেদ থেকেই গানটি লেখা।’
র্যাপে নিজেদের ভবিষ্যৎ
গান প্রকাশের পর থেকে সবার কাছ থেকে দারুণ সাপোর্ট পাচ্ছেন হান্নান ও সেজান। সবার এই ভালোবাসা নিজেদের ভবিষ্যতের পথচলায় অনেক অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করেন শিল্পীদ্বয়। সেজান বলেন, ‘র্যাপ সংগীত তরুণ প্রজন্মের মানুষ বেশি শোনে। কিন্তু আওয়াজ উডা, কথা কসহ বেশ কিছু গান সিনিয়র সিটিজেনরাও গ্রহণ করেছেন। এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল, গানগুলো একটি জেনারেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকুক, সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক।’ ভবিষ্যতে যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদে সামনের সারিতে থাকতে চান তাঁরা। হান্নান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন থেকে আমাদের সবার অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি, ভবিষ্যতে যেকোনো প্রতিবাদে আমরা সামনের দিকে থাকব।’
গান গেয়ে সাজা ভোগ
বিপ্লবী এই গান করে সাজার মুখে পড়তে হয়েছে হান্নানকে। ২৫ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হান্নানের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদ করেন শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। ১৩ দিন কারাগারে থাকার পর ৬ আগস্ট মুক্ত হন হান্নান। শিল্পী বলেন, ‘যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো, বুঝতে পারছিলাম না কী হবে আমার সঙ্গে। কারাগারে পাঠানোর পর বুঝতে পারলাম সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। ১৩ দিন কারাগারে থেকে বের হওয়ার পর জানতে পারলাম আমার মুক্তির জন্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, দেয়ালে গ্রাফিতি করেছে। আমার চোখ ভরে আসছিল, সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।’
অন্যদিকে, কারাগারে যেতে না হলেও বিভিন্ন মহল থেকে চাপের মুখে পড়েছিলেন সেজান। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম গান প্রকাশের পর চাপ আসতে পারে। কিন্তু দেশের ওই পরিস্থিতিতে আমরা চুপ করে থাকতে পারি না।’
যেমন বাংলাদেশ দেখতে চান
নতুন এই বাংলাদেশ নিয়ে নিজের প্রত্যাশা জানিয়ে হান্নান বলেন, ‘এখন যে মুক্ত বাংলাদেশ, এটা যেন এমনই থাকে। লেখকদের ওপর কোনো চাপ না আসুক, গায়কদের ওপর কোনো বাধা না আসুক। দেশের খারাপ পরিস্থিতির সময় সব মানুষ যেভাবে এক হয়েছে, সব সময় এমন করে এক থাকতে হবে। কখনোই যেন আর কেউ আমাদের দেশকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে না পারে।’
সেজান বলেন, ‘সবাই যার যার জায়গা থেকে প্রতিবাদ করার কারণেই দেশ আজ মুক্ত, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব সম্প্রদায়ের মানুষ যেন এক হয়ে থাকতে পারি। গানের মাধ্যমে সবার সমান অধিকারের জন্য আমরা লড়াই করে যাব। আমরা যেন আমাদের কথাটা মন খুলে বলতে পারি, এটাই প্রত্যাশা থাকবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে