নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তমব্রু সীমান্তের উত্তেজনা থামছেই না। গত বুধবার থেকে থেমে থেমে চলছে গোলাগুলি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগেই কোনারপাড়াসংলগ্ন শূন্যরেখার অস্থায়ী ক্যাম্পের সব কটি ঘরই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এত দিন অবস্থান করা বাস্তুহারা রোহিঙ্গা এখন আশ্রয় নিচ্ছে সীমান্তবর্তী তমব্রু গ্রামে। মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।
জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের দুটি গ্রুপ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্য ও আল-ইয়াকিনের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনায় হতাহতের সঠিক তথ্য জানাতে পারছে না কেউ। তবে বুধবার দুপুরে উখিয়া থানা-পুলিশ একজন আরএসও সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে।
এদিকে কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি জানান, গত তিন দিনে অন্তত পাঁচজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কোনারপাড়ার অন্তত ৬০০ ঘর।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, তমব্রুতে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বসবাস শুরু করেছে শূন্যরেখা ছেড়ে আসা রোহিঙ্গারা। দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুড়ে যাওয়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মাঝি মো. ছাদেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন দিনে কমপক্ষে ৬০০ ঘর পুড়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে অসহায় হয়ে বাস করছি আমরা। কেউ খেতে দিলে খাচ্ছি।’
এদিকে বুধবারের পর থেকে ছাদেকের দুই ছেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে তিনি জানান এই প্রতিবেদককে। তাদের একজন বুরহান উদ্দিন (৭), আরেকজন মোহাম্মদ জুবাইর (৫)। গতকাল শুক্রবার তাঁকে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে দেখা যায়।
তমব্রুর গ্রাম পুলিশ আবদু জাব্বার বলেন, রোহিঙ্গাদের কেউ স্কুলঘরে, কেউ কেউ স্থানীয় ব্যক্তিদের বাড়ির উঠানে থাকছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারাও।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তমব্রু গ্রাম যেন এখন আরেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প। আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রেখেছে বলেও জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আসছে। চাপ সামলাতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন ফাঁড়িতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, দেশের অভ্যন্তরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, ‘তমব্রুর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সতর্ক আছি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে ৩৩টি ক্যাম্পে সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। আর আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) তথ্যমতে, শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৬৩০টি ঘরে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করত।’
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তমব্রু সীমান্তের উত্তেজনা থামছেই না। গত বুধবার থেকে থেমে থেমে চলছে গোলাগুলি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার আগেই কোনারপাড়াসংলগ্ন শূন্যরেখার অস্থায়ী ক্যাম্পের সব কটি ঘরই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এত দিন অবস্থান করা বাস্তুহারা রোহিঙ্গা এখন আশ্রয় নিচ্ছে সীমান্তবর্তী তমব্রু গ্রামে। মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।
জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের দুটি গ্রুপ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্য ও আল-ইয়াকিনের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনায় হতাহতের সঠিক তথ্য জানাতে পারছে না কেউ। তবে বুধবার দুপুরে উখিয়া থানা-পুলিশ একজন আরএসও সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে।
এদিকে কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝি জানান, গত তিন দিনে অন্তত পাঁচজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কোনারপাড়ার অন্তত ৬০০ ঘর।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, তমব্রুতে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বসবাস শুরু করেছে শূন্যরেখা ছেড়ে আসা রোহিঙ্গারা। দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুড়ে যাওয়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মাঝি মো. ছাদেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন দিনে কমপক্ষে ৬০০ ঘর পুড়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে অসহায় হয়ে বাস করছি আমরা। কেউ খেতে দিলে খাচ্ছি।’
এদিকে বুধবারের পর থেকে ছাদেকের দুই ছেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে তিনি জানান এই প্রতিবেদককে। তাদের একজন বুরহান উদ্দিন (৭), আরেকজন মোহাম্মদ জুবাইর (৫)। গতকাল শুক্রবার তাঁকে তমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে দেখা যায়।
তমব্রুর গ্রাম পুলিশ আবদু জাব্বার বলেন, রোহিঙ্গাদের কেউ স্কুলঘরে, কেউ কেউ স্থানীয় ব্যক্তিদের বাড়ির উঠানে থাকছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দারাও।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তমব্রু গ্রাম যেন এখন আরেক রোহিঙ্গা ক্যাম্প। আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রেখেছে বলেও জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আসছে। চাপ সামলাতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন ফাঁড়িতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, দেশের অভ্যন্তরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা বলেন, ‘তমব্রুর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সতর্ক আছি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে ৩৩টি ক্যাম্পে সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। আর আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) তথ্যমতে, শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৬৩০টি ঘরে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করত।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে