মো. আতিকুর রহমান ফারুকী, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)
মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছয় গ্রামে নেই কোনো স্থায়ী গোরস্থান। প্রায় পাঁচ হাজার মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস এই গ্রামগুলোতে। দুর্গম হাওরাঞ্চল হওয়ায় এখানে কোনো স্থায়ী গোরস্থান গড়ে ওঠেনি। বর্ষাকালে কেউ মারা গেলে ঘরের ভিটের মাটি কেটে কবর দিতে হয়। এমনকি শিশু মারা গেলে খাঁচার মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে বিলের মধ্যে রেখে আসেন স্বজনেরা। এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী গোরস্থান চান গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাইলানি, আরিফপুর, আনোয়ারপুর, অনন্তপুর, শিবরামপুর ও নতুন গ্রাম রাজাপুরে নেই স্থায়ী গোরস্থান। দুর্গম হাওরাঞ্চল হওয়ায় এখানে কোনো স্থায়ী গোরস্থান গড়ে ওঠেনি। যে দুটি অস্থায়ী গোরস্থান রয়েছে, সেগুলোতে হেমন্তকালে যেটুকু সময় পানি না থাকে, ওই সময় শুধু কবর দেওয়া যায়। বর্ষাকালে সেখানে আর কবর দেওয়া যায় না। উপজেলার মধ্যনগর অথবা পার্শ্ববর্তী উপজেলা কলমাকান্দা গোরস্থানে যেতে হয়।
অনন্তপুর গ্ৰামের মো. শহীদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের একটি গোরস্থান খুবই প্রয়োজন। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় হাওরে মাটি কেটে আমাদের পক্ষে স্থায়ী গোরস্থান তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আমরা সরকারের কাছে সাহায্য চাই।’
স্থানীয়রা আরও জানান, এই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাতটি গ্ৰাম রয়েছে। একটি গ্রাম বাদে সব কটিতেই মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস। এমনকি বর্ষাকালে কেউ মারা গেলে তাঁদের কবর দিতে হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলায়। এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।
আনোয়ারপুর গ্রামের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকেই গোরস্থানের সমস্যা দেখে আসছি। এই ওয়ার্ডে বর্ষায় উপযোগী ব্যবহারের জন্য স্থায়ী গোরস্থান স্থাপন করা হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।’
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, তাঁদের স্থায়ী কোনো গোরস্থান না থাকায় বর্ষাকালে বিপাকে পড়তে হয়। কেউ মারা গেলে ঘরের ভিটে কেটে কবর দিতে হয়। ছোট বাচ্চা মারা গেলে খাঁচার মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে বিলের মাঝে ফেলে দিয়ে আসতে হয়। এ গ্রামগুলোর এমন দুরবস্থা দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে এসব এলাকার মানুষের আর্থিক অবস্থা অসচ্ছল ও গ্রামগুলো হাওরাঞ্চলে অবস্থিত। যে পরিমাণ টাকা খরচ করে একটি স্থায়ী গোরস্থান করতে হয় তা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। বর্ষাকালে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে কবর দিতে হয় ১০ কিলোমিটার দূরে মধ্যনগর অথবা ২০ কিলোমিটার দূরে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা গোরস্থানে।
৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মীর হোসেন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে সারা বছর মাটি দেওয়ার মতো কোনো গোরস্থান নেই, বিশেষ করে বর্ষাকালে কেউ মারা গেলে পাশের উপজেলার গোরস্থানে দাফন করতে হয়। এমন অবস্থায় স্থায়ী একটি গোরস্থান করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ওয়ার্ড এটি। এখানে স্থায়ী একটি গোরস্থান খুবই জরুরি। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের কাছে আবেদন দেওয়া আছে, অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছয় গ্রামে নেই কোনো স্থায়ী গোরস্থান। প্রায় পাঁচ হাজার মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস এই গ্রামগুলোতে। দুর্গম হাওরাঞ্চল হওয়ায় এখানে কোনো স্থায়ী গোরস্থান গড়ে ওঠেনি। বর্ষাকালে কেউ মারা গেলে ঘরের ভিটের মাটি কেটে কবর দিতে হয়। এমনকি শিশু মারা গেলে খাঁচার মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে বিলের মধ্যে রেখে আসেন স্বজনেরা। এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী গোরস্থান চান গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাইলানি, আরিফপুর, আনোয়ারপুর, অনন্তপুর, শিবরামপুর ও নতুন গ্রাম রাজাপুরে নেই স্থায়ী গোরস্থান। দুর্গম হাওরাঞ্চল হওয়ায় এখানে কোনো স্থায়ী গোরস্থান গড়ে ওঠেনি। যে দুটি অস্থায়ী গোরস্থান রয়েছে, সেগুলোতে হেমন্তকালে যেটুকু সময় পানি না থাকে, ওই সময় শুধু কবর দেওয়া যায়। বর্ষাকালে সেখানে আর কবর দেওয়া যায় না। উপজেলার মধ্যনগর অথবা পার্শ্ববর্তী উপজেলা কলমাকান্দা গোরস্থানে যেতে হয়।
অনন্তপুর গ্ৰামের মো. শহীদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের একটি গোরস্থান খুবই প্রয়োজন। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় হাওরে মাটি কেটে আমাদের পক্ষে স্থায়ী গোরস্থান তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আমরা সরকারের কাছে সাহায্য চাই।’
স্থানীয়রা আরও জানান, এই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাতটি গ্ৰাম রয়েছে। একটি গ্রাম বাদে সব কটিতেই মুসলিম জনগোষ্ঠীর বসবাস। এমনকি বর্ষাকালে কেউ মারা গেলে তাঁদের কবর দিতে হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলায়। এমন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।
আনোয়ারপুর গ্রামের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকেই গোরস্থানের সমস্যা দেখে আসছি। এই ওয়ার্ডে বর্ষায় উপযোগী ব্যবহারের জন্য স্থায়ী গোরস্থান স্থাপন করা হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।’
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, তাঁদের স্থায়ী কোনো গোরস্থান না থাকায় বর্ষাকালে বিপাকে পড়তে হয়। কেউ মারা গেলে ঘরের ভিটে কেটে কবর দিতে হয়। ছোট বাচ্চা মারা গেলে খাঁচার মধ্যে মাটিচাপা দিয়ে বিলের মাঝে ফেলে দিয়ে আসতে হয়। এ গ্রামগুলোর এমন দুরবস্থা দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে এসব এলাকার মানুষের আর্থিক অবস্থা অসচ্ছল ও গ্রামগুলো হাওরাঞ্চলে অবস্থিত। যে পরিমাণ টাকা খরচ করে একটি স্থায়ী গোরস্থান করতে হয় তা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। বর্ষাকালে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে কবর দিতে হয় ১০ কিলোমিটার দূরে মধ্যনগর অথবা ২০ কিলোমিটার দূরে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা গোরস্থানে।
৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মীর হোসেন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে সারা বছর মাটি দেওয়ার মতো কোনো গোরস্থান নেই, বিশেষ করে বর্ষাকালে কেউ মারা গেলে পাশের উপজেলার গোরস্থানে দাফন করতে হয়। এমন অবস্থায় স্থায়ী একটি গোরস্থান করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ওয়ার্ড এটি। এখানে স্থায়ী একটি গোরস্থান খুবই জরুরি। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের কাছে আবেদন দেওয়া আছে, অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে