আতিক ফারুকী, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালী ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তাহিরপুর উপজেলার পাশাপাশি মধ্যনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাদামখেত। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাদামখেত তলিয়ে যাওয়ায় জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে বাদাম।
উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে তলিয়ে গেছে বাদামখেত। অনেক জমিতেই বাদাম পচে নষ্ট হচ্ছে। ডুবে থাকা ফসল বাঁচানোর চেষ্টায় খেত থেকে বাদাম তুলছেন কৃষকেরা।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের কৃষকেরা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢোকায় বাদাম চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ইউনিয়নের বেরবেরিয়া হাওরের উঁচু অংশে প্রতিবছর কৃষকেরা বাদাম চাষ করেন। বেশি দামে বাদামের বীজ কিনে চাষ করেছিলেন কৃষকেরা কিন্তু হাওরে পানি ঢোকায় তাঁদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বাদামচাষি মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘৮ হাজার টাকা মণ বীজ কিনে জমিতে বাদামের চাষ করি। সব এখন পানির নিচে। ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছি, এখন মহাজনের টাকা কীভাবে দেব এই চিন্তায় আছি।’
তাঁরা আরও জানান, ধারদেনা করে তাঁরা বাদামের চাষ করেন। এখন বাদাম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছে তাঁদের। ৮ হাজার টাকা দরে এক মণ বাদামবীজ কিনতে হয়েছে। ধানের পাশাপাশি বাদামও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে তাঁদের।
কৃষক নূরজাহান বেগম বলেন, ‘বাদাম তলাইয়া কোমরপানি হইয়া গেছে। কত টেহা-পয়সা খরচ কইরা বাদাম করছি। দেড় কেয়ার জমির বাদাম পানির নিচে তলাইয়া গেছে। যেটুকু উঠাইছি, তাও রইদের (রোদ) অভাবে নষ্ট হইতাছে।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় পাঁচ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেন কৃষকেরা। পাহাড়ি ঢলে প্রাথমিকভাবে দুই উপজেলায় আধা হেক্টর বাদামখেত নষ্ট হয়ে গেছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর নবী তালুকদার বলেন, ‘কৃষকেরা ধান চাষের পাশাপাশি বাদামও চাষ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গুয়ার হাওরের তাহিরপুর অংশের নজরখালী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় টাঙ্গুয়ার হাওরের মধ্যনগর অংশে ধানের পাশাপাশি বাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালী অংশটি মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলা সমন্বয় করে এখানে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক। তাহলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে এই এলাকার জনগণ বেঁচে যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরা পুঞ্জিতে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাদামচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছি। সরকারিভাবে ভুক্তভোগীদের জন্য প্রণোদনা এলে তা যথা সময়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালী ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তাহিরপুর উপজেলার পাশাপাশি মধ্যনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাদামখেত। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাদামখেত তলিয়ে যাওয়ায় জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে বাদাম।
উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে তলিয়ে গেছে বাদামখেত। অনেক জমিতেই বাদাম পচে নষ্ট হচ্ছে। ডুবে থাকা ফসল বাঁচানোর চেষ্টায় খেত থেকে বাদাম তুলছেন কৃষকেরা।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের কৃষকেরা জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পাহাড়ি ঢলে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢোকায় বাদাম চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ইউনিয়নের বেরবেরিয়া হাওরের উঁচু অংশে প্রতিবছর কৃষকেরা বাদাম চাষ করেন। বেশি দামে বাদামের বীজ কিনে চাষ করেছিলেন কৃষকেরা কিন্তু হাওরে পানি ঢোকায় তাঁদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বাদামচাষি মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘৮ হাজার টাকা মণ বীজ কিনে জমিতে বাদামের চাষ করি। সব এখন পানির নিচে। ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছি, এখন মহাজনের টাকা কীভাবে দেব এই চিন্তায় আছি।’
তাঁরা আরও জানান, ধারদেনা করে তাঁরা বাদামের চাষ করেন। এখন বাদাম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছে তাঁদের। ৮ হাজার টাকা দরে এক মণ বাদামবীজ কিনতে হয়েছে। ধানের পাশাপাশি বাদামও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে তাঁদের।
কৃষক নূরজাহান বেগম বলেন, ‘বাদাম তলাইয়া কোমরপানি হইয়া গেছে। কত টেহা-পয়সা খরচ কইরা বাদাম করছি। দেড় কেয়ার জমির বাদাম পানির নিচে তলাইয়া গেছে। যেটুকু উঠাইছি, তাও রইদের (রোদ) অভাবে নষ্ট হইতাছে।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় পাঁচ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করেন কৃষকেরা। পাহাড়ি ঢলে প্রাথমিকভাবে দুই উপজেলায় আধা হেক্টর বাদামখেত নষ্ট হয়ে গেছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর নবী তালুকদার বলেন, ‘কৃষকেরা ধান চাষের পাশাপাশি বাদামও চাষ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গুয়ার হাওরের তাহিরপুর অংশের নজরখালী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় টাঙ্গুয়ার হাওরের মধ্যনগর অংশে ধানের পাশাপাশি বাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালী অংশটি মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলা সমন্বয় করে এখানে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক। তাহলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে এই এলাকার জনগণ বেঁচে যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরা পুঞ্জিতে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় বেশ কয়েকটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাদামচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছি। সরকারিভাবে ভুক্তভোগীদের জন্য প্রণোদনা এলে তা যথা সময়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে