নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের ঢেউ সামলাতে চট্টগ্রামে জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। চিকিৎসক-নার্সদের তৈরি রাখার পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে জোরদার করা হচ্ছে স্ক্রিনিং। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওমিক্রন মোকাবিলায় ১৫টি নির্দেশনা মেনে আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে এ বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখানার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্য ইতিমধ্যে দুটি আবাসিক হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা সবাইকে করোনার পরীক্ষা করেই নগরীতে প্রবেশ করতে হবে। এ ছাড়া নগরীর সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনার চিকিৎসায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
একই ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সকল চিকিৎসক-নার্সকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছি। করোনার ডেল্টা ধরনের সময় যেভাবে আমরা কাজ করেছি ঠিক একইভাবে এখনো ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছি।’
২০১৯ সালে ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে চট্টগ্রাম নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো। চলতি বছরের আগস্ট মাসে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তারা করোনা নিবেদিতপ্রাণ বেড কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনার ভয়াবহ প্রকোপের সময় ১৫০ বেডে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই কোভিড নিবেদিতপ্রাণ হাসপাতালে তা কমিয়ে ৩০ শয্যায় আনা হয়েছে। করোনার পাশাপাশি বর্তমানে ওই হাসপাতালে সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘করোনার প্রকোপ কমে আসায় আমরা করোনার নিবেদিতপ্রাণ শয্যা কমিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় এখন আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। হাসপাতালে নার্স-চিকিৎসকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ন্যাজেল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরসহ করোনা চিকিৎসার যন্ত্রপাতিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখছি।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৮টি আইসিইউ ও ৬টি এইচডিইউ বেড আছে। এর মধ্যে বর্তমানে আমরা ৮টি আইসিইউ ও ৬টি এইচডিইউ বেডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে আবারও আমরা সবগুলোতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করব।’
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের ঢেউ সামলাতে চট্টগ্রামে জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। চিকিৎসক-নার্সদের তৈরি রাখার পাশাপাশি চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে জোরদার করা হচ্ছে স্ক্রিনিং। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান গতকাল শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওমিক্রন মোকাবিলায় ১৫টি নির্দেশনা মেনে আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে এ বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখানার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ জন্য ইতিমধ্যে দুটি আবাসিক হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা সবাইকে করোনার পরীক্ষা করেই নগরীতে প্রবেশ করতে হবে। এ ছাড়া নগরীর সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে করোনার চিকিৎসায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
একই ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সকল চিকিৎসক-নার্সকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছি। করোনার ডেল্টা ধরনের সময় যেভাবে আমরা কাজ করেছি ঠিক একইভাবে এখনো ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছি।’
২০১৯ সালে ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে চট্টগ্রাম নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো। চলতি বছরের আগস্ট মাসে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে তারা করোনা নিবেদিতপ্রাণ বেড কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনার ভয়াবহ প্রকোপের সময় ১৫০ বেডে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই কোভিড নিবেদিতপ্রাণ হাসপাতালে তা কমিয়ে ৩০ শয্যায় আনা হয়েছে। করোনার পাশাপাশি বর্তমানে ওই হাসপাতালে সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘করোনার প্রকোপ কমে আসায় আমরা করোনার নিবেদিতপ্রাণ শয্যা কমিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় এখন আবার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। হাসপাতালে নার্স-চিকিৎসকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ন্যাজেল ক্যানোলা, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরসহ করোনা চিকিৎসার যন্ত্রপাতিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখছি।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১৮টি আইসিইউ ও ৬টি এইচডিইউ বেড আছে। এর মধ্যে বর্তমানে আমরা ৮টি আইসিইউ ও ৬টি এইচডিইউ বেডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে আবারও আমরা সবগুলোতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করব।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২৯ মিনিট আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩৫ মিনিট আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
১ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ ঘণ্টা আগে