রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২২ সালের জুলাই থেকে চালু করা হয় দুই বছর মেয়াদি স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা প্রকল্প। তবে এ সুবিধা পেতে বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সময়মতো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া, ক্লেইমের (দাবি) টাকা না পাওয়াসহ নানা সমস্যা নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে তাঁদের মধ্যে। আবেদনের ছয় মাস পরও কর্তৃপক্ষের সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব ভোগান্তির কারণে অনেকে সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিমা কর্তৃপক্ষ জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের হালনাগাদ তালিকা এবং দাবি সঠিক সময়ে দেয় না। এ কারণে তাদের তথ্য সময়মতো হালনাগাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীরা আবেদন প্রক্রিয়ায় ভুল করার কারণে এ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই থেকে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য বছরে এককালীন ২৫০ টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা ব্যবস্থা চালু করা হয়। তখন জানানো হয়, তালিকাভুক্ত যেকোনো হাসপাতাল থেকে ছাড় মূল্যে চিকিৎসার সুযোগ মিলবে। ভর্তিকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার এবং অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে তাঁর অভিভাবক ২ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী বছরে ২০ হাজার টাকা পাবেন। এক দিনের বিল হলেও একই পরিমাণ টাকা পাবেন। আবার প্রতি মাসে বা কয়েকবার কনসালট্যান্সি ফি, মেডিকেল ফি, প্যাথলজি ফি বাবদও এই নির্দিষ্ট অর্থ নিতে পারবেন।
পিংকি মিত্র নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০২৩ সালের জুনে আমি আবেদন করেছিলাম, এখনো কোনো রেসপন্স পাইনি।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি বিমা কোম্পানিতে কল করেছিলাম। তাঁরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করেনি, তাই তাঁরা দিতে পারছেন না।’
তাবাসসুম জান্নাত নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিমার জন্য আবেদন করে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও টাকা না পেয়ে বিমা কর্তৃপক্ষকে ফোন করা হলে তাঁরা জানান সিরিয়াল আসেনি। কখনো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রিমিয়াম জমা দেয়নি। সব শিক্ষার্থী প্রতিবছর নির্ধারিত প্রিমিয়াম জমা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসিতে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সউদ বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে জটিলতাগুলো সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন; আবেদন করার সময় অনেক শিক্ষার্থী আবেদন-প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও লেখার সময় খেয়াল করেন না। আর বিমা কোম্পানিও মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত হয়। তবে আমার কাছে যে কজন সমস্যা নিয়ে এসেছে, আমি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে সেগুলোর সমাধান করে দিয়েছি।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিমা কর্তৃপক্ষ জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীদের আপডেট তালিকা এবং ক্লেইমের তালিকা থাকে, সেটা সময়মতো না পাওয়ায় আমাদের তথ্যগুলো আপডেট করতে পারছি না। আবার অনেক শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বাছাই করতেও সময় লাগে। আর দেরি হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে একজনই ৩০-৩৫টি ক্লেইমের আবেদন করে থাকেন। সে জন্য আমাদের বাছাই করতেও সময় বেশি লাগে। ফলে অনেকে আবেদন করেও টাকা পাচ্ছেন না। তবে প্রশাসন যদি আমাদের সময়মতো তথ্যগুলো দিতে পারে, তাহলে শিক্ষার্থীদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা যথাযথ কারণ উল্লেখ করে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব।’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য পাঠাতে বিলম্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কীভাবে সমাধান করা যায় আমরা দেখছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০২২ সালের জুলাই থেকে চালু করা হয় দুই বছর মেয়াদি স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা প্রকল্প। তবে এ সুবিধা পেতে বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সময়মতো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া, ক্লেইমের (দাবি) টাকা না পাওয়াসহ নানা সমস্যা নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে তাঁদের মধ্যে। আবেদনের ছয় মাস পরও কর্তৃপক্ষের সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব ভোগান্তির কারণে অনেকে সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিমা কর্তৃপক্ষ জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের হালনাগাদ তালিকা এবং দাবি সঠিক সময়ে দেয় না। এ কারণে তাদের তথ্য সময়মতো হালনাগাদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, শিক্ষার্থীরা আবেদন প্রক্রিয়ায় ভুল করার কারণে এ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই থেকে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য বছরে এককালীন ২৫০ টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা ব্যবস্থা চালু করা হয়। তখন জানানো হয়, তালিকাভুক্ত যেকোনো হাসপাতাল থেকে ছাড় মূল্যে চিকিৎসার সুযোগ মিলবে। ভর্তিকালীন চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার এবং অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে তাঁর অভিভাবক ২ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী বছরে ২০ হাজার টাকা পাবেন। এক দিনের বিল হলেও একই পরিমাণ টাকা পাবেন। আবার প্রতি মাসে বা কয়েকবার কনসালট্যান্সি ফি, মেডিকেল ফি, প্যাথলজি ফি বাবদও এই নির্দিষ্ট অর্থ নিতে পারবেন।
পিংকি মিত্র নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০২৩ সালের জুনে আমি আবেদন করেছিলাম, এখনো কোনো রেসপন্স পাইনি।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি বিমা কোম্পানিতে কল করেছিলাম। তাঁরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করেনি, তাই তাঁরা দিতে পারছেন না।’
তাবাসসুম জান্নাত নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিমার জন্য আবেদন করে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও টাকা না পেয়ে বিমা কর্তৃপক্ষকে ফোন করা হলে তাঁরা জানান সিরিয়াল আসেনি। কখনো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রিমিয়াম জমা দেয়নি। সব শিক্ষার্থী প্রতিবছর নির্ধারিত প্রিমিয়াম জমা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসিতে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সউদ বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে জটিলতাগুলো সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন; আবেদন করার সময় অনেক শিক্ষার্থী আবেদন-প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করেন না। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরাও লেখার সময় খেয়াল করেন না। আর বিমা কোম্পানিও মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত হয়। তবে আমার কাছে যে কজন সমস্যা নিয়ে এসেছে, আমি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে সেগুলোর সমাধান করে দিয়েছি।’
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিমা কর্তৃপক্ষ জেনিথ ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষার্থীদের আপডেট তালিকা এবং ক্লেইমের তালিকা থাকে, সেটা সময়মতো না পাওয়ায় আমাদের তথ্যগুলো আপডেট করতে পারছি না। আবার অনেক শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে বাছাই করতেও সময় লাগে। আর দেরি হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে একজনই ৩০-৩৫টি ক্লেইমের আবেদন করে থাকেন। সে জন্য আমাদের বাছাই করতেও সময় বেশি লাগে। ফলে অনেকে আবেদন করেও টাকা পাচ্ছেন না। তবে প্রশাসন যদি আমাদের সময়মতো তথ্যগুলো দিতে পারে, তাহলে শিক্ষার্থীদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীরা যথাযথ কারণ উল্লেখ করে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেব।’ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্য পাঠাতে বিলম্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কীভাবে সমাধান করা যায় আমরা দেখছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে