জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও হাসপাতালে কম ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। এখন পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে জটিল কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা ভালো আছে। তবুও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তাঁরা।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আসেন কাইযুম চৌধুরী। আসকারদিঘী পশ্চিম পাড় এলাকার এই বাসিন্দা সোনালি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তা। শরীর ব্যথা ও হালকা কাশি থাকায় ৭ দিন আগে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছিল। তবে তিন দিন পরই সুস্থ হয়ে যান তিনি।
গতকাল ৪৫ বছর বয়সী কাইয়ুম চৌধুরী এসেছিলেন দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষা দিতে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ৯ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হই। এর আগে প্রথম কয়েক দিন শরীর ব্যথা ও হালকা কাশি ছিল। কিন্তু তিন দিন পর থেকে পুরোপুরি ভালো অনুভব করি। বাসায় আলাদা থেকেছি। মনে হচ্ছে করোনা চলে গেছে, তাই আবার নমুনা দিতে আসলাম।’
দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার আগে করোনা নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছিলেন চকবাজার ধনিরপুল এলাকার বাসিন্দা নুর কবিরের। এই ব্যবসায়ীর শরীরের কোনো লক্ষণ না থাকলেও ১০ দিন আগের পরীক্ষায় পজিটিভ আসায় বিস্মিত হন তিনি। নিশ্চিত হতে আবারও নমুনা দিতে আসেন তিনি।
নুর কবির বলেন, ‘লক্ষণ না থাকলেও পজিটিভ আসার বিষয়টি প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরের দিন শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষায়ও পজিটিভ আসে। যেহেতু বাসায় বয়স্ক বাবা-মা আছেন, তাই ১০ দিন আলাদা থেকে আবারও নমুনা দিতে এসেছি।’
তাঁদের মতো জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা দিতে আসা অন্তত ১৫ জনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগের শরীরে তেমন কোনো লক্ষণ নেই। কেউ কেউ শরীরে ব্যথা অনুভব করছেন, সঙ্গে আছে সর্দি-কাশি। এ ছাড়া তেমন কোনো লক্ষণ নেই।
এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৬ রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের ১২ জন বিদেশযাত্রী। শাহ আমানত বিমানবন্দরের আরটিপিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের ফল পজিটিভ আসে। তাঁদের কারও কোনো রকম লক্ষণ ছিল না। তবে বাকি ৪ জন সাধারণ রোগীর মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ আছে। যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আবদুর রব মাসুম হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন। তিনি নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও রোগী দেখেন। ডা. মাসুম বলেন, ‘বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ব্যথা, ক্লান্তি-অবসাদ দেখা যাচ্ছে। কারও কারও সর্দি-কাশিও হচ্ছে। আক্রান্তরা কয়েক দিন পরই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত চেম্বারে যাঁদের দেখেছি, তাঁদের কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। গুরুতর তেমন কিছুও হচ্ছে না।’ তাই করোনায় আক্রান্ত হলেও আতঙ্কিত না হয়ে বাসায় আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ও সাবেক সিভিল সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও হাসপাতালে ভর্তি কম। এখন পর্যন্ত রোগীদের গুরুতর কিছু হচ্ছে না।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত ২০ দিনে দুই হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর আগের ২০ দিনে এ সংখ্যা দুই শ ছাড়ায়নি।
সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, যে হিসেবে আক্রান্ত হচ্ছে, সে তুলনায় ভর্তির হার অনেক কম। তবুও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও নগরের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও রোগী ভর্তির হার কম। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত এখানে ৬৪ রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকায় সমস্যা হওয়ায় এখানে আলাদাভাবে থাকছেন।
হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আফতাব উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগে থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। মৃত্যুর সংখ্যাও তেমন নেই। গত ৫ দিনে চট্টগ্রাম নগরে একজনও করোনায় মারা যাননি। সে হিসেবে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো আছে।
মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ জানান, গতকাল পর্যন্ত তাঁদের এখানে ৩৫ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের কারওই করোনা সংক্রান্ত তেমন জটিলতা নেই।
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও হাসপাতালে কম ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। এখন পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে জটিল কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা ভালো আছে। তবুও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তাঁরা।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আসেন কাইযুম চৌধুরী। আসকারদিঘী পশ্চিম পাড় এলাকার এই বাসিন্দা সোনালি ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার কর্মকর্তা। শরীর ব্যথা ও হালকা কাশি থাকায় ৭ দিন আগে নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ এসেছিল। তবে তিন দিন পরই সুস্থ হয়ে যান তিনি।
গতকাল ৪৫ বছর বয়সী কাইয়ুম চৌধুরী এসেছিলেন দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষা দিতে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ৯ জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হই। এর আগে প্রথম কয়েক দিন শরীর ব্যথা ও হালকা কাশি ছিল। কিন্তু তিন দিন পর থেকে পুরোপুরি ভালো অনুভব করি। বাসায় আলাদা থেকেছি। মনে হচ্ছে করোনা চলে গেছে, তাই আবার নমুনা দিতে আসলাম।’
দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার আগে করোনা নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছিলেন চকবাজার ধনিরপুল এলাকার বাসিন্দা নুর কবিরের। এই ব্যবসায়ীর শরীরের কোনো লক্ষণ না থাকলেও ১০ দিন আগের পরীক্ষায় পজিটিভ আসায় বিস্মিত হন তিনি। নিশ্চিত হতে আবারও নমুনা দিতে আসেন তিনি।
নুর কবির বলেন, ‘লক্ষণ না থাকলেও পজিটিভ আসার বিষয়টি প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরের দিন শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা পরীক্ষায়ও পজিটিভ আসে। যেহেতু বাসায় বয়স্ক বাবা-মা আছেন, তাই ১০ দিন আলাদা থেকে আবারও নমুনা দিতে এসেছি।’
তাঁদের মতো জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা দিতে আসা অন্তত ১৫ জনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগের শরীরে তেমন কোনো লক্ষণ নেই। কেউ কেউ শরীরে ব্যথা অনুভব করছেন, সঙ্গে আছে সর্দি-কাশি। এ ছাড়া তেমন কোনো লক্ষণ নেই।
এদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৬ রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের ১২ জন বিদেশযাত্রী। শাহ আমানত বিমানবন্দরের আরটিপিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় তাঁদের ফল পজিটিভ আসে। তাঁদের কারও কোনো রকম লক্ষণ ছিল না। তবে বাকি ৪ জন সাধারণ রোগীর মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ আছে। যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আবদুর রব মাসুম হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন। তিনি নগরীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও রোগী দেখেন। ডা. মাসুম বলেন, ‘বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ব্যথা, ক্লান্তি-অবসাদ দেখা যাচ্ছে। কারও কারও সর্দি-কাশিও হচ্ছে। আক্রান্তরা কয়েক দিন পরই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত চেম্বারে যাঁদের দেখেছি, তাঁদের কাউকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। গুরুতর তেমন কিছুও হচ্ছে না।’ তাই করোনায় আক্রান্ত হলেও আতঙ্কিত না হয়ে বাসায় আইসোলেশন থাকার পরামর্শ দেন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ও সাবেক সিভিল সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও হাসপাতালে ভর্তি কম। এখন পর্যন্ত রোগীদের গুরুতর কিছু হচ্ছে না।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত ২০ দিনে দুই হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর আগের ২০ দিনে এ সংখ্যা দুই শ ছাড়ায়নি।
সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, যে হিসেবে আক্রান্ত হচ্ছে, সে তুলনায় ভর্তির হার অনেক কম। তবুও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও নগরের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও রোগী ভর্তির হার কম। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত এখানে ৬৪ রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগের বাড়িতে আইসোলেশনে থাকায় সমস্যা হওয়ায় এখানে আলাদাভাবে থাকছেন।
হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আফতাব উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগে থেকে জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরাই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। মৃত্যুর সংখ্যাও তেমন নেই। গত ৫ দিনে চট্টগ্রাম নগরে একজনও করোনায় মারা যাননি। সে হিসেবে পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো আছে।
মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ জানান, গতকাল পর্যন্ত তাঁদের এখানে ৩৫ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁদের কারওই করোনা সংক্রান্ত তেমন জটিলতা নেই।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে