আরিফ আহম্মেদ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
চা-দোকানি জালাল উদ্দিনের (৭০) জমি-বাড়ি কিছুই নেই। ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ডৌহাখলা ইউনিয়নের সিংজানী গ্রামে তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ভাড়া নেওয়া ছাপরা ঘরে। চা বিক্রির আয়ে যেখানে সংসার চালানো কষ্টকর, সেখানে জমি কিনে পাকাঘর নির্মাণ তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পাকাঘরে বসবাস করেন।
আরেক ভূমিহীন উপজেলার তাঁতকুড়া গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল হেলিম (৫০)। সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে থাকতেন। মালিক কখন তাড়িয়ে দেয়, এই দুশ্চিন্তা কাজ করত সব সময়। সেই হেলিম মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন।
আব্দুল হেলিম বলেন, ‘রিকশা চালানোর আয়ে সংসারে অভাব-অনটন লেগে থাকত সব সময়। জমি কিনে পাকাঘর করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটা সম্ভব করে দিয়েছেন। এখন ঘর হারানোর দুশ্চিন্তা নেই। স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে।’
উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে ১৬৯টি পরিবারের জন্য জমিসহ পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে এসব ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা, ভিক্ষুক, দিনমজুর, শারীরিক অক্ষম, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা। ঘর পাওয়ার পর সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, একসময় যারা গৃহহীন ও ভূমিহীন ছিল, তারা পাকাঘর পেয়ে এখন আগের চেয়ে ভালো জীবন যাপন করছে। বাসিন্দাদের অনেকেই হাঁস, মুরগি ও ছাগল পালনের পাশাপাশি সবজি চাষ করেন। কেউ দিয়েছেন ছোট টং দোকান। ঘরের নারীরাও সেলাই মেশিন ও হাতের কাজ করে আয় করছেন। তাদের ছেলেমেয়েরাও বিদ্যালয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা করতে।
উপজেলা চূড়ালি গ্রামের সাহেরা খাতুন (৬০) বলেন, ‘নিজের ঘর না থাকায় সন্তানদের নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। পেটের দায়ে কাজ করতাম অন্যের বাড়িতে। শেষ বয়সে নিজের জমি ও ঘর হবে স্বপ্নেও ভাবিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই উপকার কখনো ভুলব না।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব দৃষ্টিনন্দন ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
চা-দোকানি জালাল উদ্দিনের (৭০) জমি-বাড়ি কিছুই নেই। ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ডৌহাখলা ইউনিয়নের সিংজানী গ্রামে তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ভাড়া নেওয়া ছাপরা ঘরে। চা বিক্রির আয়ে যেখানে সংসার চালানো কষ্টকর, সেখানে জমি কিনে পাকাঘর নির্মাণ তাঁর কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার আশ্রয়ণের ঘর পেয়ে। এখন তিনি পরিবার নিয়ে পাকাঘরে বসবাস করেন।
আরেক ভূমিহীন উপজেলার তাঁতকুড়া গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল হেলিম (৫০)। সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে থাকতেন। মালিক কখন তাড়িয়ে দেয়, এই দুশ্চিন্তা কাজ করত সব সময়। সেই হেলিম মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়েছেন।
আব্দুল হেলিম বলেন, ‘রিকশা চালানোর আয়ে সংসারে অভাব-অনটন লেগে থাকত সব সময়। জমি কিনে পাকাঘর করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটা সম্ভব করে দিয়েছেন। এখন ঘর হারানোর দুশ্চিন্তা নেই। স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে।’
উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে ১৬৯টি পরিবারের জন্য জমিসহ পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন হিসেবে এসব ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা, ভিক্ষুক, দিনমজুর, শারীরিক অক্ষম, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা। ঘর পাওয়ার পর সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, একসময় যারা গৃহহীন ও ভূমিহীন ছিল, তারা পাকাঘর পেয়ে এখন আগের চেয়ে ভালো জীবন যাপন করছে। বাসিন্দাদের অনেকেই হাঁস, মুরগি ও ছাগল পালনের পাশাপাশি সবজি চাষ করেন। কেউ দিয়েছেন ছোট টং দোকান। ঘরের নারীরাও সেলাই মেশিন ও হাতের কাজ করে আয় করছেন। তাদের ছেলেমেয়েরাও বিদ্যালয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা করতে।
উপজেলা চূড়ালি গ্রামের সাহেরা খাতুন (৬০) বলেন, ‘নিজের ঘর না থাকায় সন্তানদের নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। পেটের দায়ে কাজ করতাম অন্যের বাড়িতে। শেষ বয়সে নিজের জমি ও ঘর হবে স্বপ্নেও ভাবিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই উপকার কখনো ভুলব না।’
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব দৃষ্টিনন্দন ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে