আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি
আগৈলঝাড়া উপজেলায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কোনো মাথাব্যথা নেই। স্থানীয় জনগণ বারবার এলজিইডি অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামে উপজেলা পরিষদের রাস্তার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংযোগ সড়কের স্থলে খালের ওপরে একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পথচারীসহ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করছে। এই সাঁকোটি এলাকার জনগণ নিজেদের অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল খালের ওপর স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে প্রায় ৩০ বছর আগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। এই সাঁকোটি দুই বছর পরপর মেরামত করতে হয়। এই সাঁকোটি তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে সংস্কারও করে আসছেন।
এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পাড় হয়ে প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাটবাজারসহ উপজেলা সদরে কাজের জন্য যেতে হয় এই এলাকার মানুষের। কিন্তু তাঁদের চলাচলের সুবিধার্থে খালের ওপর নির্মিত এই বাঁশের সাঁকোটি বাধ্য হয়ে পার হতে হয়। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে তাঁদের যাতায়াতের জন্য প্রায় ১২০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, লোকজন সাইকেল কাঁধে নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছেন। সাবধানে চলাচল করছেন সবাই। কারণ, সাঁকোর দুই পাশে ধরনা এতটাই দুর্বল যেকোনো সময় পড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। প্রতিবছরই এই সাঁকোটির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
তবে দুই বছর পর বাঁশের খুঁটি পরিবর্তন করতে হয়। এর সবই চলে স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায়।
এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে এলাকার জনগণ নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। বড় বাশাইল গ্রামের ব্যবসায়ী জাকির সরদার বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করে আসছে।’
স্থানীয় মোহাম্মদ মোল্লা, সাইফুল ইসলাম রব জানান, ‘নিজেদের প্রয়োজনে গ্রামের মানুষ এক হয়ে এই বাঁশের সাঁকোটি বছরের পর বছর ধরে নির্মাণ ও সংস্কার করে থাকে। বর্ষার সময় কত যে দুর্ভোগ তা না দেখলে বোঝানো যাবে না।’
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই নড়বড়ে এই বাঁশের সেতু দিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করছি। সেতুটির কথা মনে হলে ভয় লাগে। কখন বই খাতা নিয়ে নিচে পড়ে যাই। আমরা চাই, এখানে দ্রুত একটি পাকা সেতু তৈরি করা হোক।’
স্থানীয় রুবেল সরদার অভিযোগ করেন, ‘স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় লোকজন লিখিত ও মৌখিকভাবে বারবার বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক নির্মাণের আগে উপজেলা সদর থেকে উত্তর অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিল উপজেলা পরিষদের টিঅ্যান্ডটি অফিসের পাশ দিয়ে যে সড়কটি বড় বাশাইলে সংযুক্ত হয়েছে।’
রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের হলেও সেতু তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে এই গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জোড়াতালি দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেতু করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি, তবে আশা করি খুব শিগগিরই সেখানে একটি সেতু তৈরি করা হবে।’
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন বলেন, ‘ওই স্থানসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০-১২টি সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ঢাকা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।’
আগৈলঝাড়া উপজেলায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কোনো মাথাব্যথা নেই। স্থানীয় জনগণ বারবার এলজিইডি অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল গ্রামে উপজেলা পরিষদের রাস্তার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংযোগ সড়কের স্থলে খালের ওপরে একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পথচারীসহ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা যাতায়াত করছে। এই সাঁকোটি এলাকার জনগণ নিজেদের অর্থায়নে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড় বাশাইল খালের ওপর স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে প্রায় ৩০ বছর আগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। এই সাঁকোটি দুই বছর পরপর মেরামত করতে হয়। এই সাঁকোটি তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে সংস্কারও করে আসছেন।
এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পাড় হয়ে প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, হাটবাজারসহ উপজেলা সদরে কাজের জন্য যেতে হয় এই এলাকার মানুষের। কিন্তু তাঁদের চলাচলের সুবিধার্থে খালের ওপর নির্মিত এই বাঁশের সাঁকোটি বাধ্য হয়ে পার হতে হয়। স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে তাঁদের যাতায়াতের জন্য প্রায় ১২০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোটি নির্মাণ করেছেন।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, লোকজন সাইকেল কাঁধে নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছেন। সাবধানে চলাচল করছেন সবাই। কারণ, সাঁকোর দুই পাশে ধরনা এতটাই দুর্বল যেকোনো সময় পড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। প্রতিবছরই এই সাঁকোটির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
তবে দুই বছর পর বাঁশের খুঁটি পরিবর্তন করতে হয়। এর সবই চলে স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায়।
এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে এলাকার জনগণ নানা দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। বড় বাশাইল গ্রামের ব্যবসায়ী জাকির সরদার বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করে আসছে।’
স্থানীয় মোহাম্মদ মোল্লা, সাইফুল ইসলাম রব জানান, ‘নিজেদের প্রয়োজনে গ্রামের মানুষ এক হয়ে এই বাঁশের সাঁকোটি বছরের পর বছর ধরে নির্মাণ ও সংস্কার করে থাকে। বর্ষার সময় কত যে দুর্ভোগ তা না দেখলে বোঝানো যাবে না।’
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই নড়বড়ে এই বাঁশের সেতু দিয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করছি। সেতুটির কথা মনে হলে ভয় লাগে। কখন বই খাতা নিয়ে নিচে পড়ে যাই। আমরা চাই, এখানে দ্রুত একটি পাকা সেতু তৈরি করা হোক।’
স্থানীয় রুবেল সরদার অভিযোগ করেন, ‘স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় লোকজন লিখিত ও মৌখিকভাবে বারবার বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক নির্মাণের আগে উপজেলা সদর থেকে উত্তর অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিল উপজেলা পরিষদের টিঅ্যান্ডটি অফিসের পাশ দিয়ে যে সড়কটি বড় বাশাইলে সংযুক্ত হয়েছে।’
রাজিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের হলেও সেতু তৈরির জন্য সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে এই গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জোড়াতালি দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেতু করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি, তবে আশা করি খুব শিগগিরই সেখানে একটি সেতু তৈরি করা হবে।’
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রকৌশলী রাজ কুমার গাইন বলেন, ‘ওই স্থানসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১০-১২টি সেতুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ঢাকা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে